জর্ডানে পরিবেশ রক্ষার জন্য লড়ছেন এক রাজকুমারী ও শিকারিরা
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ওয়াদি কারাক জর্ডানের একটি সুন্দর গিরিখাত৷ কিন্তু কাছের একটি পয়ঃনিষ্কাশনের খামার থেকে দুর্গন্ধ পানি নদীতে গিয়ে পড়ে, আবার টুরিস্টরাও ময়লা ফেলেন৷ ওয়াদি কারাকের পরিবেশ রক্ষার জন্য লড়ছেন এক রাজকুমারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা৷
বিজ্ঞাপন
জর্ডানের একটি বড় সমস্যা হলো, পশুচারণভূমি কমে আসছে, ওদিকে জমির মাটি তার উর্বরতা হারাচ্ছে৷ জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড-এর হয়ে মাহমুদ আহমেদ আল-বদুর ও তাঁর সতীর্থরা দেখছেন, কীভাবে আরো ভালোভাবে চারণভূমির দেখাশোনা করা যায়৷ মাঠে বেশি বা কম পশু চরলে, সেখানকার গাছপালা, ঘাস-পাতার ওপর তার কী প্রভাব পড়ে, সেটা তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চান৷
গোপা কনসাল্টান্টস-এর মাহমুদ আহমেদ আল-বদুর জানালেন, ‘‘আমরা এখানে আইন গজলে যে পরীক্ষা চালাচ্ছি, জর্ডানের অন্যান্য এলাকাতেও আমরা তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই৷ এই কাজে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে৷ প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এলাকাটির সুরক্ষার ব্যবস্থা করলে, তার ঘাসপাতা ও গাছপালা বাইরের এলাকাগুলো থেকে আলাদা হয়৷''
অর্থাৎ সুরক্ষিত এলাকায় বেশি ঘাসপাতা, গাছপালা গজায় – তার বৈচিত্র্যও বেশি হয়৷
আরো উত্তরে রয়েছে রয়্যাল বোট্যানিক গার্ডে, আল-রুম্মন উপত্যকার কাছে৷ এটি একটি পথিকৃৎ প্রকল্প, যা রাজকুমারী বাসমা বিন্ত আলি প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ ছোটবেলা থেকেই তাঁর গাছপালা সম্পর্কে আগ্রহ৷ তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে এখানে নানা বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির গাছপালা সংগ্রহ – ও চাষ করা হয়ে থাকে৷
ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের নাম বদলে ‘ট্রাম্প গ্রাম’
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ছোট্ট গ্রাম মরোরার বাসিন্দারা তাঁদের গ্রামের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ‘ট্রাম্প গ্রাম’৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’র যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই নাম পরিবর্তন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
ট্রাম্প গ্রামে স্বাগতম
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ছোট্ট গ্রাম মরোরার প্রবেশমুখে বিশাল একটি বিলবোর্ডে হিন্দি ও ইংরেজিতে লেখা ‘ট্রাম্প গ্রামে স্বাগতম’৷ বিলবোর্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি হাসি মুখের ছবি দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
নতুন নামে প্রকাশ
গত ২৩ জুন গ্রামটির নাম বদলে দেয়া হয়৷ এ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নারীরা ট্রাম্পের পোস্টারের পাশে জড়ো হয়েছেন স্পিকারে কী বলা হচ্ছে শোনার জন্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
অনানুষ্ঠানিকভাবে নতুন নাম
প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন৷ এ উপলক্ষ্যে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ‘সুলভ’ স্থানীয় কাউন্সিলকে গ্রামের নাম পরিবর্তন করার পরামর্শ দেয়৷
তাদের লক্ষ্য, গ্রামটিতে শত ভাগ টয়লেট স্থাপন করা৷ তবে কাগজে কলমে এখনও পুরোনো নামটি রয়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম
নির্বাচনী প্রচারণায় এবং নির্বাচনের পরেও বরাবরই মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাই মরোরা গ্রামের নাম পরিবর্তনকে অনেকে বিদ্রুপাত্মক মনে করছেন, কেননা, মরোরার ৮০ ভাগ মানুষই মুসলমান৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
মরোরার সাধারণ মানুষ
মরোরা গ্রামটির অনেক মানুষ এই প্রথম ট্রাম্পের নাম শুনেছেন৷ তাই তাঁদের এটা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই৷ নাম বদলের কারণে তাঁদের গ্রাম বিখ্যাত হচ্ছে, তাদের কাছে এটাই এখন বড় বিষয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
মরোরা গ্রামের সার্বিক চিত্র
রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান৷ গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় নেই বললেই চলে৷ মরোরা গ্রামে ১৬৫টি পরিবারের বাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা
গ্রামের মাত্র ২০টি পরিবারের টয়লেট বা শৌচাগার রয়েছে৷ গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, নাম পরিবর্তনের ফলে তাঁদের গ্রামের উন্নয়ন হবে৷ গ্রামটিতে মাত্র একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে৷ নেই পিচ ঢালা রাস্তা৷ বেশিরভাগ মানুষ ভূমিহীন শ্রমিক৷ তাঁদের বেশিরভাগই নির্মাণ কাজ বা অন্যের জমিতে কাজ করেন৷
ছবি: Aletta Andre
এই প্রথম নয়
হরিয়ানায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে গ্রামের নাম কিন্তু এই প্রথম নয়৷ ১৯৭৮ সালে গুরগাঁওয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তাঁর স্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষ্যে দৌলতপুর নাসিরাবাদের নাম বদলে ‘কার্টারপুরি’ রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
ট্রাম্প প্রীতি
গত বছর মার্কিন নির্বাচনের আগে মুসলমানবিরোধী নীতির কারণে ভারতের হিন্দু কট্টরপন্থিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই ছবিটি গত বছরের মে মাসে তোলা৷
ছবি: Reuters/A. Mukherjee
ট্রাম্পের পূজা
এই ছবিটিও গত বছরের মে মাসে তোলা৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু কট্টরপন্থি দল হিন্দু সেনার কর্মীরা ট্রাম্পের জন্য বিশেষ পূজা-অর্চনা করছে, যাতে নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হয়৷
ছবি: Reuters/A. Mukherjee
10 ছবি1 | 10
হার্বেরিয়ামে প্রথমে সব গাছপালার বৈজ্ঞানিক নাম-ধাম নির্ধারণ করা হয়৷ জর্ডানে যত ধরনের গাছপালা পাওয়া যায়, তাদের সকলকে এখানে নথিবদ্ধ করার প্রকল্প চলেছে৷ এছাড়া বোট্যানিক গার্ডেনের অতিথিরা প্রকৃতির মূল্য শিখবেন৷ রাজকুমারী বাসমা বিন্ত আলি বললেন, ‘‘মর্যাদা সহকারে বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতি আমাদের যা দেয়, তা অপরিহার্য৷''
রাজনীতিকদেরও বুঝতে হবে
রাজনীতিকদেরও পরিবেশের সুরক্ষার জন্য আরো বেশি কাজ করা উচিত, বলে তাঁর অভিমত: ‘‘প্রভাব যখন আরো বেশি হবে, তখন ওরা বুঝতে শুরু করবেন৷ গত পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী আসার ফলে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রধানত পানি সম্পদের উপর যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, তা আমরা দেখেছি৷ রাজনীতিকরা উপলব্ধি করবেন যে, বনানীকে রক্ষা করলে মাটি আরো বেশি পানি ধরে রাখতে পারে৷ প্রণালীটা একটা বৃত্তের মতো৷''
রাজনৈতিকভাবে স্থিতিহীন একটি এলাকায় নাজুক পরিবেশের সমস্যা অনেক, অথচ সেই সব সমস্যা সমাধানের জন্য বাজেট খুব বড় নয় – বলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের রায়েদ বানিহানি৷ তবে তিনি প্রকৃতি সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রগতি দেখেন৷
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের রায়েদ বানিহানি বললেন, ‘‘অতীতের পুরনো আইনকানুনে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কেনির্দিষ্ট করে কিছু বলা ছিল না৷ কিন্তু এক সপ্তাহ আগে যে নতুন আইন পাস করা হয়েছে, সেই আইনে জীববৈচিত্র্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এমনকি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য শাস্তিরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷''
ওয়াদি কারাক-এর পক্ষে ভালো খবর৷ গিরিখাতটি কারাক শহরের কাছে, ঊষর পারিপার্শ্বিকে জীববৈচিত্র্যের একটি মরুদ্যান৷ আজ এখানে যারা কাজ করছেন, তাদের কেউ কেউ নিজেই আগে এখানে শিকার করতেন – পরে দেখলেন যে, জীবজন্তু ক্রমেই কমে আসছে৷ তখন তারা গাছপালা ও জীবজন্তুর জন্য কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেন৷
জিআইজেড-এর মাহমুদ আহমেদ আল-বদুর জানালেন, ‘‘এরা কয়েকটি জরুরি কাজ করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, গিরিখাতটিকে সর্বদা সাফ রাখা৷ ওরা বারংবার নীচে নেমে জঞ্জাল পরিষ্কার করেন৷ ওরা আগন্তুকদের বোঝান, এমনকি তাদের হয়ে টুরিস্ট গাইডের কাজ করেন৷ এভাবে ওদের কিছু রোজগার হয়৷''
২০১৭ সালে পরিবেশবান্ধব ঘটনা কী ঘটেছে?
২০১৭ সালটিকে মোটেই পরিবেশবান্ধব বছর বলা যায় না৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো পরিবেশবিরোধী মানুষ ক্ষমতায় এসেছেন এ বছর৷ পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্য৷ কিন্তু একেবারে ভেঙে পড়ার কারণ নেই৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাই বাই ডিজেল
ভারত, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো বেশ কিছু দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গ্যাস এবং ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি তৈরিতে জোড় দেওয়ার৷ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাড়ি প্রস্তুত করে চীন৷ তারাও কেবলমাত্র জৈব জ্বালানি দিয়ে চালিত গাড়ি ‘ব্যান’ করার একটি পরিকল্পনা করেছে৷ পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে এক ধাপ এগোতেই পারে ২০১৮৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTOs
মৌমাছির স্বপ্ন
জীববৈচিত্রে মৌমাছিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু সেই মৌমাছিরাই এখন অস্তিত্বসংকটে৷ নিওনিকোটিনয়েডসের মতো কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে, মৌমাছিরাও বিলুপ্তির পথে৷ আশার কথা, ইউরোপীয় কমিশন তিনটি ক্ষতিকারক নিওনিকোটিনয়েডস বন্ধের পরিকল্পনা করেছে৷ যদিও এখনো অনেক কাজ বাকি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
কার্বনহীন ভবিষ্যৎ
জার্মানির মতো বিশ্বের বহু দেশেই শক্তি উৎপাদনে কয়লা এখনও প্রাথমিক জ্বালানি৷ বিকল্প শক্তির দাবিতে ও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে ২০১৭ সালে এই দেশগুলিতে আন্দোলন হয়েছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইইউ-র বহু দেশ৷ নতুন কারখানাগুলিতে কয়লার ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে ইউরোপের অধিকাংশ জাতীয় এনার্জি কোম্পানি৷ তবে পোল্যান্ড ও গ্রিস এখনও এ বিষয়ে সহমত হয়নি৷
ছবি: DW
সমুদ্র মন্থন
পরিবেশ আলোচনার অন্যতম বিষয় এখন সামুদ্রিক দূষণ৷ ২০১৭ সালে ২০০টি দেশ সামুদ্রিক দূষণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়ানো বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ ই-ওয়েস্টের বিষয়ে আরো কড়া মনোভাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
ট্রাম্পকে পোছে কে?
ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিবেশবিরোধী একের পর এক মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু এরও সদর্থক দিক আছে৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরোধিতা করছে বহু মার্কিন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ৷ পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতাও বাড়ছে৷ নভেম্বরে ‘কপ২৩’ সম্মেলনে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট যা-ই বলুন, পরিবেশ আন্দোলন বন্ধ হবে না৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন তার প্রমাণ৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
ফরাসি পরিবেশ
উষ্ণায়ন বিরোধী পরিবেশ আন্দোলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর ভূমিকা ‘সিম্বোলিক’ হতে পারে, কিন্তু তাঁর জন্যই পরিবেশচর্চা জনসমক্ষে আসছে৷ ১৮ জন আবহাওয়া বিষয়ক গবেষককে তিনি গ্রান্ট দিয়েছেন৷ বহু মার্কিন গবেষক তাঁদের আবহাওয়া সংক্রান্ত কাজ নিয়ে ফ্রান্সে চলে আসছেন ট্রাম্পের বিরোধিতা করে৷
ছবি: Getty ImagesAFP/P. Wojazer
বিন্দু জমেই সিন্ধু
বিশ্ব জুড়ে সাধারণ মানুষ পরিবেশ বান্ধব কাজ করছেন৷ সব খবর শিরোনামে আসে না৷ বিন্দু জমেই সিন্ধু হয়৷ যা ভবিষ্যত উন্নতির সোপান হতে পারে৷ উদাহরণ হিসেবে ফিজির মামানুকা দ্বীপপুঞ্জের কথা বলা যায়৷ সেখানে কোরাল গ্রোয়িং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে৷ আবার নিগারের পরিবেশকর্মীরা জিরাফদের জন্য অভয়ারণ্যের দাবিতে আন্দোলন করছেন৷
ছবি: Getty Images/C.De Souza
স্বপ্ন দেখব বলে
গত বছরের এপ্রিলে, ব্রিটেনে প্রথম কনজারভেশন অপটিমিসম সামিট অনুষ্ছিত হয়েছে৷ যেখানে পরিবেশবান্ধব বেশকিছু সদর্থক কাজের কাহিনি আলোচিত হয়েছে৷ অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, মধ্য ইউরোপে লিনসেক্স বা এক ধরনের বিলুপ্তপ্রায় বনবিড়ালকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে৷ ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই শতাব্দীতে প্রথম এই সংখ্যাবৃদ্ধির ঘটনা ঘটল৷ সমস্যা থাকবে৷ কিন্তু এই সামিটের লক্ষ্যই হলো সমস্যার মোকাবিলা করে স্বপ্ন রচনা করা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
গিরিখাত দিয়ে যাওয়ার সময় অতিথিদের কখনো-সখনো জলপ্রপাতের ভিতর দিয়ে যেতে হয়! অতিথিদের নিরাপদে গিরিখাত দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সব ‘টুরিস্ট গাইড'-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷
ওয়াদি কারাক-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার – কিন্তু তার সবটাই এতো সুন্দর নয়৷ কাছে একটা সিউয়েজ প্ল্যান্ট বা তরল ময়লা পরিষ্কার করার কারখানা আছে৷
একটি জায়গায় দিন দশেক আগেও ময়লা পানি নদীতে ফেলা হয়েছিল – পাথরের গায়ে এখনও তার গন্ধ লেগে রয়েছে৷
শালালত মুমিয়া পর্যটন সমবায়ের রামি সালেম আল-জা'ফ্রে বললেন, ‘‘সমিতি হিসেবে আমাদের অভিমত যে, আমাদের পর্যটন সংক্রান্ত কাজকর্মের উপর এর প্রভাব পড়ে৷ যে সব টুরিস্ট আমাদের সঙ্গে উপত্যকায় নেমে ট্রেকিং করতে যান, প্রথমে তারা খুব ভালো থাকেন৷ কিন্তু এই জায়গাটায় এলেই তারা নাক কোঁচকান, কেননা এখানকার পানিতে নোংরা আছে৷''
টুরিস্টদেরও বোঝাতে হবে যে, ওয়াদি কারাকে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা চলবে না৷