1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ুর উষ্ণতার ফলে খাদ্য সংকট তীব্রতর হতে পারে

হোসাইন আব্দুল হাই৯ জানুয়ারি ২০০৯

দ্রুত জলবায়ুর উষ্ণতার ফলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং এর আশ-পাশের অঞ্চলে শস্য উৎপাদন কমে যেতে পারে৷ফলে দেখা দেবে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি৷ আগামী শতাব্দীর শুরুতে এ সংকট ভয়াবহ হবে বলে আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট আরো ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারেছবি: picture-alliance/ dpa

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বাটিস্টি এবং ক্যালিফর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিভাগের পরিচালক রোজামন্ড নেইলর পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ আশংকা প্রকাশ করা হয়৷ এ দুই আবহাওয়া বিজ্ঞানী ২৩ টি আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেল পর্যবেক্ষণ করেন৷

শুধুমাত্র অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনের উপর চাপ পড়বে খুবই বেশি৷ছবি: picture-alliance/ dpa

আবহাওয়া বিজ্ঞানের অধ্যাপক জনাব বাটিস্টি বলেন, শুধুমাত্র অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনের উপর চাপ পড়বে খুবই বেশি৷ তিনি বলেন, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে এখন আমাদের অবশ্যই তাপ ও খরা সহিষ্ণু ফসল ফলাতে হবে৷তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এমনকি মাটির আর্দ্রতা কমে যাবে এবং উল্লেখযোগ্য হারে শস্যের ফলন হ্রাস পাবে৷

বর্তমানে গ্রীষ্ণমন্ডলীয় এবং এর আশ-পাশের অঞ্চলে তিন বিলিয়ন মানুষ বাস করে যাদের সংখ্যা এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ তাই পরিবর্তিত উষ্ণ জলবায়ুতে তাদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বৈচিত্র্যময় শস্য আবাদে বিনিয়োগ করার জন্য গবেষকরা আবেদন জানিয়েছেন৷

সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেন, গ্রীষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রার বৃদ্ধি মৌলিক খাদ্য শস্য যেমন ধান ও ভূট্টার ফলন প্রায় ২০-৪০ শতাংশ হ্রাস করবে৷

উদাহরণ হিসেবে তাঁরা ২০০৩ সালের জুন, জুলাই এবং আগষ্ট মাসে পশ্চিম ইউরোপে বিরাজমান রেকর্ড তাপমাত্রার কথা উল্লেখ করেন যখন সেখানে প্রায় ৫২০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল৷ এ সময় ফ্রান্স এবং ইতালিতে গম এবং পশুখাদ্যের উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছিল৷

এ সময় এক বছরে ইতালি ও ফ্রান্সে ভূট্টা উৎপাদন যথাক্রমে ৩৬ ও ৩০ শতাংশ এবং ফল ও গম চাষ যথাক্রমে ২৫ ও ২১ শতাংশ কমে গিয়েছিল৷

বিজ্ঞানীরা আশংকা করেন যে, গ্রীষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১০০ সালের মধ্যে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পরিণত হবে৷ তবে তাঁরা উপসংহারে উল্লেখ করেন, শস্য উৎপাদন হ্রাস ও খাদ্য ঘাটতি শুধুমাত্র গ্রীষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷

আশার কথা হচ্ছে এই যে, খরা ও তাপ সহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির শস্য উৎপাদনে বেশ কিছু গবেষণা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে৷ কৃষি-রসায়ন বিষয়ক বৃহৎ প্রতিষ্ঠান মনসান্টো এ সপ্তাহে এই তথ্য প্রকাশ করেছে যে, তারা খরা সহিষ্ণু ভূট্টা উৎপাদনে বেশ সফলতা পেয়েছে যা ২০১০ সালের মধ্যে সবার জন্য সহজলভ্য করে তোলা সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ