1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু আর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ইইউ সম্মেলন

হাফসা হোসাইন১১ ডিসেম্বর ২০০৮

জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ঠেকানো এবং ইউরোপের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিয়ে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে দুদিনের সম্মেলনে বসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা৷

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত ইইউছবি: picture-alliance/ dpa

সম্মেলনের ঠিক আগে ব্রাসেলস এবং লিজ থেকে আল-কায়দা নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব চলছে ইউরোপেও৷ সেই সঙ্গে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের ফলে হুমকির মুখে গোটা বিশ্ব৷ তাই জলবায়ু এবং অর্থনীতিকে মূল ইস্যু করে ব্রাসেলসে শুরু হয়েছে ইইউ নেতাদের সম্মেলন৷ তবে দুটো বিষয়েই রয়েছে মতবিরোধ৷ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন রোধে নতুন একটি চুক্তি নিয়ে চলছে বিতর্ক৷ টুয়েন্টি-টুয়েন্টি-টুয়েন্টি নামের ওই জলবায়ু-জ্বালানি প্যাকেজে ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন ২০ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে৷ পরিবেশ দূষণকারী জ্বালানির পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে চুক্তিতে৷ এর ফলে মোট জ্বালানির ২০ শতাংশই উত্পাদন করতে হবে বায়ু, পানির স্রোত এবং সৌর রশ্মি থেকে৷ তবে এজন্য জ্বালানি খাতে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ৷

বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জলবায়ুর চেয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিকেই বেশি মনোযোগ ইইউ নেতাদের৷ সবচেয়ে বেশি দূষণকারী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, সাবেক সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলো এবং ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ এই চুক্তির বিপক্ষে৷ জলবায়ুর চেয়ে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগ বাড়ানোর উপরই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানি৷ সম্মেলনের আগে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য বলেছেন, ব্রাসেলস সম্মেলনে জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে ইতিবাচক ফলাফল আসবে৷ এদিকে, ইইউ-র বর্তমান সভাপতি, ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে জলবায়ু চুক্তির কোন বিকল্প নেই৷ তাই এ ব্যাপারে একমত হতে ইইউ নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও বলেছেন, ব্রাসেলস সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গোটা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ৷

অন্যদিকে ইইউ অঞ্চলে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে ২শ বিলিয়ন ইউরোর উদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ৷ এতে সমর্থন থাকলেও অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে প্যাকেজে খুব বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চায় না জার্মানি৷ তবে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে জার্মানি পূর্ণ সচেতন৷ প্রস্তাবিত উদ্ধার প্যাকেজ ইইউ অঞ্চলের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ