বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের প্রশাসন ২০৩০ সাল নাগাদ ‘কার্বন ইনটেনসিটি’ ২০০৫ সালের তুলনায় ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে চায়৷ সেইসঙ্গে জীবাশ্মভিত্তিক নয়, এমন জ্বালানির অনুপাত বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করতে চায় চীন৷

২০২৫ সালের মধ্যে (২০০৫ সালের তুলনায়) কার্বন নির্গমনের মাত্রা ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সে দেশের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রগুলি কার্বন ডাই-অক্সাইড দূষণের মাত্রা ৩২ শতাংশ কমাতে চায়৷

২৮ সদস্যের এই রাষ্ট্রজোট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ১৯৯০ সালের তুলনায় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ কমাতে চায়৷ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ২৭ শতাংশ বাড়ানোরও লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ইইউ৷

২০৩০ সালের মধ্যে (২০০৫ সালের তুলনায়) ‘কার্বন ইনটেনসিটি’ ৩৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের৷ সেইসঙ্গে জ্বালানির চাহিদার ৪০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি দিয়ে মেটাতে চায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল এই দেশ৷

২০৩০ সালের মধ্যে (১৯৯০ সালের তুলনায়) নির্গমনের মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে চায় আয়তনের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া৷ অবশ্য অন্যান্য বড় দূষণকারী দেশের অঙ্গীকারের উপর এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে৷

২০৩০ সালের মধ্যে (২০১৩ সালের তুলনায়) নির্গমনের মাত্রা ২৬ শতাংশ কমানোর অঙ্গীকার করেছে জাপান৷ তবে ফুকুশিমা বিপর্যয় সত্ত্বেও আবার ২০ থেকে ২২ শতাংশ পরমাণু বিদ্যুতের উপর নির্ভর করছে সে দেশ৷ বিকল্প জ্বালানির অনুপাত বাড়িয়ে ২২ থেকে ২৪ শতাংশে আনতে চায় জাপান৷

প্রথম ধাপে ২০২৫ সালের মধ্যে (২০০৫ সালের তুলনায়) নির্গমনের মাত্রা ৩৭ শতাংশ কমাতে চায় ব্রাজিল৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সেই মাত্রা বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সে দেশ৷

২০৩০ সালের মধ্যে ইরান নির্গমনের মাত্রা ৪ শতাংশ কমানোর শর্তহীন অঙ্গীকার করেছে৷ সেইসঙ্গে ‘অন্যায় নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নিলে এবং আর্থিক সাহায্য ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি দিলে সে দেশ বাড়তি ৮ শতাংশ নির্গমন কমাতে প্রস্তুত৷