1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু ঝুঁকির তালিকায় প্রথমে বাংলাদেশ

৯ ডিসেম্বর ২০০৯

জার্মান বেসরকারি সংগঠন জার্মান ওয়াচ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানায় বিগত ১৯ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান প্রথম৷

ফাইল ফটোছবি: DW

আরো বলা হয়েছে, জার্মানি ফ্রান্সসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ প্রথম ৩০ এর মধ্যে রয়েছে৷

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গেল ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ৷ দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিয়ানমার, আর হন্দুরাস৷ সাত নম্বর স্থানে আছে ভারত৷ চীনের স্থান দশ নম্বরে৷ ২০টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে দুইটি উন্নত দেশ৷ এই প্রতিবেদন নিয়ে ডয়েচেভেলের সঙ্গে কথা বলেন জার্মান ওয়াচের ক্লাইমেট এডাপটেশন পলিসি এডভাইজার ইউংকে ক্রাফ্ট৷ তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মধ্যে আছে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এক নম্বর স্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, এর ভিত্তিটা কি? তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি জলবায়ু সম্মেলনে আমরা চেষ্টা করি একটি করে তালিকা প্রকাশ করার৷ যেখানে বিশ্বে কোন দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কি ধরণের ঝুঁকির মধ্যে আছে তার একটি স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়৷ আমারা দীর্ঘ এবং স্বল্প উভয় মেয়াদি তথ্যই প্রকাশ করে থাকি৷ আর এবার আমরা যে তথ্য প্রকাশ করেছি সেখানে মৃতের সংখ্যা, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবার যে ধারা তার উপর নির্ভর করেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ যার ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত৷''

তিনি আরো বলেন, বিমা কোম্পানি মিউনিক রি-এর দেয়া তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে জামার্ন ওয়াচ তার এই রিপোর্ট বের করেছে৷ কিন্তু এক থেকে দশের মধ্যে শুধুমাত্র স্বল্পন্নোত দেশগুলোকেই দেখা যাচ্ছে৷ এর কারণ হিসাবে ইউংকে ক্রাফ্ট বলেন, সাধারণভাবে বলা যায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে একদিকে যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার কম তেমনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থান এমন যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় সবচেয়ে বেশি৷ তাই দশের মধ্যে তারাই আছে কিন্তু জার্মান ওয়াচের এই প্রতিবেদন মতে আফ্রিকার দেশগুলো তালিকার বেশ বাইরেই রয়েছে৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবাহ ক্ষতির সম্মুখীন৷

এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ক্রাফ্ট বলেন, এটি সত্য যে আফ্রিকার অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ৷ কিন্তু তা আমাদের এই রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়নি৷ আফ্রিকাতে সবচেয়ে বেশি যেটা হয়ে থাকে তা হচ্ছে ক্ষরা এবং মরুভূমির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া৷ কিন্তু এই দুটো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটে যাওয়া দুটি বিষয় মাত্র৷ এর চেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়েছে বন্যা, ঝড় বা বেশি বৃষ্টিপাতের মতো বিষয়গুলো৷ তাই আফ্রিকা বেশি প্রতিফলিত হয়নি এবারের প্রতিবেদনে৷

এই প্রতিবেদন আর সংশ্লিষ্ট গবেষণার ফল কি অ্যামেরিকার মত অগ্রণী শিল্পন্নোত দেশের সামনে তুলে ধরা হবে? উত্তরে ক্রাফ্ট বলেন, ‘‘অবশ্য,ই কারণ আমরা এই প্রতিবেদনকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবো৷ যেখানে স্পষ্টই বলা থাকবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে কোন দেশগুলো৷ জার্মান ওয়াচ উত্তর এবং দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য কাজ করে থাকে৷ এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি উপায় তৈরি করে দিল যেন আমরা তাদের বলতে পারি তোমরা কিছু করো৷ কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন সব কিছুর আগে আসা উচিত৷''

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী, কোপেনহেগেন থেকে

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ