1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝুঁকি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে ফিজি

১৩ নভেম্বর ২০১৭

দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ দেশটি তাই গোটা বিশ্বকে কার্বন নির্গমন কমাতে এবং গরীব দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে আরো সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে৷

ছবি: DW/A. March

বিশ্বব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে তৈরি এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট জিডিপির প্রায় দশ শতাংশের মতো খরচ করছে সে দেশ৷ পাঁচ বছর আগের তুলনায় এই ব্যয় চারগুণ বেশি বলে জানিয়েছে ফিজি৷

জার্মানির বন শহরে জলবায়ু সম্মেলন কপ২৩ চলাচালে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়৷ এই সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ফিজি৷ কিন্তু দেশটির এত বড় সম্মেলন আয়োজনের অবকাঠামো না থাকায় তা বন শহরে আয়োজন করা হচ্ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি বিষয়ক প্রতিবেদনটিতে ফিজির প্রধানমন্ত্রী ভোরেক বাইনিমারমা বলেন, ‘‘কপ২৩-র প্রেসিডেন্ট এবং ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে ফিজি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কঠোর উদ্যোগের দাবি জানাচ্ছে, যাতে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের উন্নয়নের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে৷’’

বলাবাহুল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এজন্য বিভিন্ন গ্রাম সরিয়ে নিতে এবং আরো মজবুত সেতু এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে চলতি বছর ১৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করছে ফিজি৷ অতীতে কখনোই এই খাতে এত অর্থ খরচ করতে হয়নি দেশটির৷ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে ফিজি'র জনগণ এবং অর্থনীতির উপরে ঝুঁকি যেভাবে বাড়ছে, তাতে তা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ ক্রমশ দুরূহ হয়ে পড়ছে৷’’

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা এবং ভূমিধসের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ফসল এবং চাষবাসের উপকরণ ধ্বংসের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেঙ্গু, লেপটোসপাইরোসিস এবং টাইফয়েড সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফলে ফিজির মতো দেশগুলোকে ভবিষ্যতে জিডিপির একটি বড় অংশ এসব মোকাবিলায় ব্যয় করতে হবে৷

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে তহবিল তৈরির ব্যাপারে প্যারিসে সমঝোতা হয়েছিল, তা অর্জন জরুরি৷ তহবিল তৈরির সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনো সুদূর পরাহত বলে জানা যাচ্ছে৷ আগামী বুধবার বনে জলবায়ু সম্মেলনে এক বক্তব্যে এই বিষয়ে জোর দেবেন গুতেরেস৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ