1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনের খোঁজ

ভল্ফ গেবহার্ট/এসি২২ মার্চ ২০১৪

সুমেরুর বরফ গলছে৷ তাই নিয়ে চিন্তিত জলবায়ু গবেষকরা৷ কিন্তু কী পরিমাণ বরফ গলছে? তা জানার একমাত্র উপায় হল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তার পরিমাপ করা৷ ইউরোপীয় ‘স্মস’ স্যাটেলাইট ঠিক তাই করে থাকে৷

ছবি: NASA/dpa

সাগরের জীবন্ত মানচিত্র

03:56

This browser does not support the video element.

‘স্মস'-এর পাঠানো বিপুল পরিমাণ তথ্য সেঁচে পৃথিবীর সামুদ্রিক মানচিত্র তৈরি করছেন হামবুর্গের আবহাওয়াবিদ ও পদার্থবিদরা৷ কালে কালে হয়তো গোটা জলবায়ু প্রণালীকেই এভাবে কম্পিউটারের ছবি হিসেবে ফুটিয়ে তোলা যাবে৷

ইউরোপীয় কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্মস' প্রতি সেকেন্ডে দশ লক্ষ বর্গকিলোমিটার পরিমাণ এলাকা পরিমাপ করে সেই ছবি বেতার মারফৎ পৃথিবীতে পাঠাতে পারে৷ স্মস-এর ৮০০ কিলোমিটার নীচে ভূপৃষ্ঠে বসে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করছেন হামবুর্গের আবহাওয়া বিশারদরা ৷

সুমেরুর বরফ গলছে

সামুদ্রিক বরফ সংক্রান্ত গবেষণার পদার্থবিদ লার্স কালেশকে স্মস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সুমেরু অঞ্চলের কোথায় কী পরিমাণ বরফ জমেছে, তা পর্যবেক্ষণ করেন৷ সবচেয়ে কম বরফের রেকর্ড ছিল ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷ সত্তরের দশকে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক নজরদারি শুরু হওয়া যাবৎ সুমেরুর ‘আইস ক্যাপ' বা বরফের আস্তরণ কখনো এতো সংকীর্ণ ছিল না৷

এছাড়া কালেশকে বিশেষ হাই রেজোলিউশনের স্যাটেলাইট ছবিও ব্যবহার করতে পারেন – তবে প্রতিবার ক্ষুদ্র একটি এলাকার জন্য৷ কালেশকে বলেন: ‘‘বিভিন্ন ধরনের কাঠামো দেখা যায়, খোলা সমুদ্র, তার পাশে গত গ্রীষ্মের পুরনো বরফ, যাতে নানা ধরনের কাঠামো দেখা যায়: আইস রিজ গোত্রীয়, যা শুধুমাত্র হাই রেজোলিউশনের এই স্যাটেলাইটের ছবিতেই ঠিকমতো দেখতে পাওয়া যায়৷''

কালেশকে চান আরো অনেক তথ্য, যাতে গোটা সুমেরু অঞ্চলটির উপরেই এভাবে খুঁটিয়ে নজর রাখা যায়৷ তাঁর মতে ‘‘এই সব পরিমাপ করার জন্য নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন পড়বে৷ নতুন সব অ্যান্টেনার প্রয়োজন পড়বে৷ নতুন স্যাটেলাইট লাগবে, যেগুলি গোটা এলাকার হাই রেজোলিউশনের ফটো ও তথ্য পাঠাতে পারবে৷''

সাগরের পরিমাপ

যেখানে বাস্তব তথ্য হাতে নেই, সেখানে জলবায়ু গবেষকরা কম্পিউটারের সাহায্য নেন৷ গ্রিড সেলের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে সমুদ্রবক্ষ অবধি তাপমাত্রা কিংবা বায়ুর চাপ মাপা চলে৷ আবহাওয়াবিদ জিন-সং ফন স্টর্শ এভাবেই গোটা সাগরের পরিমাপ করতে চান৷ এমন সব ইকোয়েশন, যা সাগরের গতিশীলতা বর্ণনা করে থাকে৷

আবহাওয়াবিদ জিন-সং ফন স্টর্শ বলেন: ‘‘সাগরের জলে লবণের পরিমাণ, কিংবা পানির তাপমাত্রা কিংবা স্রোতের তীব্রতা, এ সবই চলে বিশেষ বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী৷ এই নিয়মগুলো হলো আমাদের মডেলের বুনিয়াদি ইকোয়েশনের ভিত্তি৷''

সেজন্য চাই সুপারকম্পিউটার

এই সব মডেল কোনো মানুষের পক্ষে অঙ্ক কষে বার করা সম্ভব নয়৷ সেজন্য জার্মান জলবায়ু কম্পিউটার সেন্টারের ‘ব্লিজার্ড'-এর মতো একটি সুপার-কম্পিউটারের প্রয়োজন৷ ব্লিজার্ড প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ বিলিয়ন অঙ্ক কষতে পারে৷ জার্মান জলবায়ু কম্পিউটার কেন্দ্রের ভূপদার্থবিদ মিশায়েল ব্যোটিঙার জানালেন: ‘‘এটা আমাদের পরীক্ষাগার বলা যায় – জলবায়ু গবেষকরা এখানেই তাঁদের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন৷ এখানে আমাদের নানা ধরনের কম্পিউটার আছে, যেগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটা বিশেষ শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, যাতে সব ক'টি কম্পিউটার যুগপৎ একটি সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারে৷''

জলবায়ু গবেষণায় এ পর্যন্ত যা অভাবনীয় ছিল, সুপারকম্পিউটার সেই অসাধ্য-সাধন করেছে৷ সমুদ্রের একটি বিশদ মডেল, যার রেজোলিউশন হল দশ কিলোমিটার৷ ঘূর্ণি, স্রোত এবং পানির তাপমাত্রা৷ একেবারে সমুদ্রগর্ভ অবধি৷ ফন স্টর্শ বলেন: ‘‘সাগরের গভীর অংশ হল এমন একটি রহস্য, যার বিষয়ে আমরা স্বল্পই জানি এবং আমাদের খুব কমই বাস্তবিক পর্যবেক্ষণ আছে৷ এই মডেলটির কল্যাণে আমরা প্রথমবার দেখতে পাই, সেটা কেমন দেখায়৷''

কম্পিউটারের সৃষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একটি গোটা মহাসাগর তৈরি করা যায়৷ এবার লক্ষ্য হলো, সম্পূর্ণ জলবায়ু প্রণালীকেই তার পূর্ণ জটিলতায় কম্পিউটার সিমিউলেশন হিসেবে দেখানো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ