1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন

২৮ মার্চ ২০১২

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের নগর সভ্যতায় সবচেয়ে আগে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন৷ তাঁদের ভাষায়, বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে নগরীগুলোকেই তাই বেশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে৷

Titel: SASSCAL- Aufbau von Kompetenzenzentren für Klimawandel und Landnutzung im Südlichen Afrika Bilder von Vorgänger-Projekten von Prof. Dr. Norbert Jürgens University of Hamburg Biocentre Klein Flottbek and Botanical Garden Quelle: Norbert Jürgens, alle Rechte freigegeben;
ছবি: Norbert Jürgens

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘের ধারাবাহিক নানা বৈঠক ও কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২০ থেকে ২২শে জুন অনুষ্ঠিত হবে রিও সম্মেলন৷ এর আগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু বিষয়ক বৈঠক৷ উপস্থিত ছিলেন ধরিত্রী বাঁচাতে বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা৷

লন্ডন বৈঠকে উত্থাপিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট সাতশ' কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখন শহর ও নগরীতে বাস করে৷ ২০৫০ সাল নাগাদ শহুরে মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ৷ এগুলোর মধ্যে এশিয়ার নগরীগুলোতেই শহুরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে ৬০ শতাংশেরও বেশি৷ ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে শহরের বাসিন্দাদের এক অসম হুমকির সম্মুখীন হতে হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন৷ অবশ্য পরিবেশ বিপর্যয়ের এমন হুমকির মুখে নিজেদের নিরাপত্তা বিধানে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগও নগরীগুলোতেই গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্লাইমেট ইমপ্যাক্টস গ্রুপ এর প্রধান সিনথিয়া রোজেনসোয়াইগ৷

ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ dpa

তাঁর মতে, একদিকে যেমন শহরগুলো বেশি ক্ষতির হুমকিতে, অন্যদিকে, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের দিক থেকেও তারা এগিয়ে রয়েছে৷ লন্ডন বৈঠকে আরো জানানো হয়েছে, ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বে খরা, উষ্ণতা, ঝড় এবং বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার বাড়তে থাকবে৷ এছাড়া এগুলো হবে দীর্ঘকালীন৷ আর বদ্বীপ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের শহরগুলো হবে সমুদ্রতল আরো ফুলে ওঠার পরিণতির শিকার৷ ফলে সেসব জায়গায় ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাবে৷ যোগ হবে পানীয় পানির অভাব৷

২০০৩ সালের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল ছিল সেই বছর এবং এতে মারা গিয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ৷ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহাদেশের গ্রীষ্মকালগুলো হবে ২০০৩ সালের চেয়েও উষ্ণতর৷ তাই রূপ-রসে ভরা এই প্রকৃতি মাতার অভিশাপ থেকে বাঁচতে মানুষকে এখনই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সুপারিশ করেছেন লন্ডন বৈঠকে উপস্থিত পরিবেশবিদরা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ