1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনে কাজ করবে আবু

৮ অক্টোবর ২০০৯

এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচারকরা এবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কাজ করতে একমত হয়েছেন৷ তারা বলেছেন, এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে তারা আগের চেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করবেন৷

ফাইল ফটোছবি: AP

মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর-এ অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন বা আবুর সাধারণ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এই সংগঠনের সদস্যরা৷ একই সঙ্গে তারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উলানবাটর ঘোষণা গ্রহণ করেন৷ এই ঘোষণায় টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচারকদের প্রতি পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে মাথায় রেখে এই শিল্পের গুণগত মান বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কার্বন নির্গত হয় এমন সব যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে৷ সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে প্রতিটি দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে৷

১৯৬৪ সালে এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এই সংস্থা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেতার ও টেলিভিশন খাতের একটি অমুনাফামূলক আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ এ ইউনিয়নের উদ্দেশ্য হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেতার ও টেলিভিশনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো ৷ বর্তমানে এ অঞ্চলের ৫৮টি দেশের রেডিও এবং টেলিভিশন সংস্থা এই ইউনিয়নের সদস্য৷ মঙ্গোলিয়ার এই অধিবেশনে যোগ দেন সদস্য দেশগুলোর দুই শতাধিক প্রতিনিধি৷ গত ৫ অক্টোবর এই সভা শেষ হয়৷

এশিয়া প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডেভিড আষ্টলে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতির উপর একটা বড় ধরণের হুমকি৷ সকলের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখনি সময়৷ আবুর সদস্যরা এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন৷ তাদেরও ভুমিকা রয়েছে এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের৷ আবু এবং এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক ইতমধ্যেই যৌথভাবে আঠারো মাসের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে৷ যে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে গণমাধ্যম বিশেষ করে রেডিও এবং টেলিভিশনগুলো কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে তা নিরূপণ করা হচ্ছে৷

এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য এই মারাত্মক ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে৷ সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ১২ শতাংশ ঐ অঞ্চল থেকে ঘটে৷ তাদের হিসাব মতে, সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিলে ২১০০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে৷ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ঐ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ কেননা সেখানে ১৯৫১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.১ থেকে ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

এছাড়া প্রতিবছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে ১ থেকে ৩ মিলিমিটার করে৷ এডিবি'র মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণ হচ্ছে এর দীর্ঘ উপকূল এলাকা এবং কৃষিখাতের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা৷ ঐ অঞ্চলের ৪৩ শতাংশ শ্রম শক্তি কৃষিখাতে নিয়োজিত৷ এডিবি'র পরিবেশ বিষেশজ্ঞ ডেভিড ম্যাককলি ডয়চে ভেলেকে বলেন : আমরা দেখেছি, যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষিপণ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে যা দেশগুলোর অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ