1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় বিশ্বকে নজর দিতে হবে

২ ডিসেম্বর ২০১৯

সোমবার স্পেনের মাদ্রিদে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৫৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে দায়ী দেশগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

COP25 in Madrid |  Bangladeschi Premierministerin Sheikh Hasina mit dem spanischen Pedro Sanchez
ছবি: Getty Images/AFP/P. P. Marcou

স্পেনের মাদ্রিদে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কপ-২৫ সম্মেলন৷ দুই সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ হুমকির কথা স্মরণ করিয়ে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব৷ তিনি বলেন, আমরা দ্রুত এমন একটা জায়গায় পৌছে যাচ্ছি যেখান থেকে আর ফেরার কোনো সুযোগ নেই৷ ‘‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ থামাতে হবে, এবং আমরা জানি সেটা সম্ভব,'' বলেন আন্তোনিও গুতেরেস৷ এজন্য খনি খনন বাদ দিয়ে সবাইকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে মনোযোগ দেয়ার আহবান জানান৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, তাহলে তারা ক্ষমা করবে না৷ প্রতি মুহূর্তে আমাদের নিষ্ক্রিয়তা পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে৷ এখনই সময় কাজ করার৷''

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ‘জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' (ইউএনএফসিসি) প্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়েও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোতে জাতীয়ভাবে গ্রহণ করা অভিযোজনমূলক উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য খুব কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গঠন করা তহবিলগুলোতে পর্যাপ্ত মূলধনের অভাব রয়েছে৷ সরাসরি এবং সহজে তহবিল পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত এবং মানদণ্ড রয়েছে, বেশিরভাগই সেসব সক্ষম দেশগুলোর পক্ষেই যায়৷''

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা আমাদের মতো দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও ধারণার চেয়েও কম সহায়তা পাচ্ছি৷ এক্ষেত্রে একটি নতুন সিভিএফ এবং ভি-২০ ট্রাস্ট তহবিল গঠন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ সম্ভব হলে সেটি হবে বড় সাফল্য৷''

বক্তৃতায় শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয়ের কথা তুলে ধরেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিবেদনে৷ ‘‘মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নানাভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এরই মধ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতাও আমাদের হয়েছে৷ সুতরাং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, এর প্রভাব এবং মোকাবেলার সক্ষমতা অভাবের ওপর ভিত্তি করে দুর্বল দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে,'' বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

এই সম্মেলন চলবে দুই সপ্তাহব্যাপী৷ ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশকে ‘ন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান' তৈরির কাজ শেষ করতে হবে৷ যেসব দেশ এখনো এই কাজ শেষ করতে পারেনি, তাদের উপর চাপ তৈরির শেষ সুযোগ এবারের সম্মেলন৷ 

এফএস/ এসিবি (এপি, এএফপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ