বিশ্বে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ সংসদ৷ আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
লন্ডনে আন্দোলনকারীদের টানা দেড় সপ্তাহের বিক্ষোভের পর প্রতীকী ‘পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সংসদ৷ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন, যা বিনা ভোটেই পাস করেছে সংসদ৷
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসের মধ্যে টেরেসা মে সরকারকে যুক্তরাজ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, বর্জ্য বিহীন অর্থনীতি গড়ে তুলতে সংসদে একটি প্রস্তাব পাঠাতে হবে৷ তবে এই উদ্যোগটির কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই৷
যুক্তরাজ্যের আদালতে বিরোধী দলের এ ধরনের প্রস্তাব সাধারণত নীতি প্রণয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না৷ তবে বিশ্বে প্রথম কোনো সংসদে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা হওয়ায় এটি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে৷
পর্যটকদের চাপে বিপর্যস্ত যেসব প্রাকৃতিক বিস্ময়
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ থেকে অসাধারণ সুন্দর হিমবাহ অবধি বেশ কিছু স্থানে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে, কেননা অনেকেই সেগুলো হারিয়ে যাওয়ার আগে দেখতে চান৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকিতে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময়৷
ছবি: picture-alliance/McPhoto/SBA
অস্থায়ী সম্পদ
প্রতিবছর যে বিশ লাখ মানুষ গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ভ্রমণ করেন, তাদের ৬৯ শতাংশই সেখানে যান এক বিশেষ উদ্দেশ্যে৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তারা হারিয়ে যাওয়ার আগেই দেখতে চান৷ আইপিসিসি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আমরা যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেও সীমাবদ্ধ রাখতে পারি, তাহলেও বিশ্বের ৯৯ শতাংশ কোরাল হারিয়ে যাবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Probst
শ্বেত ভাল্লুকের রাজ্যে
প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিগুলো দেখতে যেতে কী পরিমাণ কার্বন নির্গমন হচ্ছে ভেবেছেন কখনো? ২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখে গেছে ক্যানাডার চার্চিলে অবস্থিত শ্বেত ভাল্লুকের সাফারিতে পর্যটন ব্যবসার কারণে বছরে ২০ মেগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হচ্ছে৷ অধিকাংশ পর্যটক বিমানে করে সেখানে যান৷
ছবি: picture-alliance/McPhoto/SBA
বাড়ছে তাপমাত্রা, গলছে বরফ
হিমশৈলের বরফ গলে সৃষ্ট এমন প্রাকৃতিক ভাস্কর্য দেখে অনেকে মুগ্ধ হতে পারেন৷ কেউ কেউ আবার লাখ টাকা খরচ করে সেসবের কাছেও যান৷ গত শতকের নব্বইয়ের দশকের দিকে অ্যান্টার্কটিকায় বছরে পাঁচ হাজারের মতো পর্যটক যেতেন৷ এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬,০০০-এ৷ তবে হিমশৈলের এই করুণ দশা আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তে থাকলে একসময় হয়ত তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না৷
ছবি: S. Weniger/M. Marek
ভরা মৌসুম
তবে হারিয়ে যেতে বসা বরফখণ্ড দেখতে আপনার মেরু অঞ্চলেই যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই৷ কিলিমাঞ্জারোর তুষারাবৃত্ত চূড়াও অনেকের প্রিয়৷ প্রতিবছর সেখান থেকে পর্যটন খাতের আয় হয় ৪৪ মিলিয়ন ইউরো৷ অনেকে আবার পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে ফ্যুর্টভেঙ্গলার গ্ল্যাসিয়ারে চলে যান৷ সেখানকার ৮৫ শতাংশ বরফ ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে, বাকিটাও হারিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে মনে হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Schnoz
মুকুটহীন রাজা
মন্টানার গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক ১৯১০ সালে যখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তখন সেখানে একশো’র বেশি বরফের আকৃতি ছিল৷ এখন তা কমে দুই ডজনের মতো হয়েছে৷ অবস্থা এমন যে পার্কটি এখন জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ প্রতিবছর ত্রিশ লাখের মতো হাইকার এবং পর্যটক সেখানে ছুটি কাটাতে যান৷
ছবি: Imago Images/Aurora/J. Miller
হারিয়ে যাচ্ছে স্বর্গ
মালদ্বীপ হচ্ছে পর্যটকদের আদি স্বর্গ৷ সেখানকার সাদা সমুদ্রতটযুক্ত বারোশো কোরাল দ্বীপ পানি থেকে মাত্র আড়াই মিটার উচ্চতায় জেগে রয়েছে৷ তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটি তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে৷ আর সেকথা শুনে পর্যটকদের সংখ্যা এত বেড়েছে যে ২০১৭ সালে দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণ এবং পর্যটন খাত থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে দেশটির বাসিন্দাদের জন্য নতুন দ্বীপ তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷
ছবি: Colourbox
6 ছবি1 | 6
এর আগে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে গত মাসে লন্ডনে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ সড়ক, রেল বন্ধের পর হিথ্রো বিমাবন্দর বন্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ টানা দেড় সপ্তাহের এই আন্দোলন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা৷
সংসদে কর্বিন বলেছেন, যাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের কথা সংসদ সদস্যদের বিবেচনায় নেয়া উচিত৷ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি নিয়ে তরুণরা রাজনীতিবিদদের চেয়েও এগিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
প্রস্তাবটি উত্থাপনের আগে দেয়া বক্তৃতায় কর্বিন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমরা তোমাদের কথা শুনছি, এটি বলার সুযোগ আজকে আমাদের সামনে এসেছে৷ আমাদের সুযোগ এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণায় বিশ্বের প্রথম সংসদ হওয়ার৷ আমি আশা করছি, আমরা সারা বিশ্বের সংসদ ও সরকারগুলোর জন্য একটি কাজের ধারা প্রতিষ্ঠা করতে পারব৷''
বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে বেঁধে রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি, যার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০১০ সালের চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে৷
এদিকে ‘দ্য কমিটি অন ক্লাইমেইট চেঞ্জ’ নামের একটি আলাদা সংস্থা ব্রিটিশ সরকারকে আরো বাড়তি পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছে৷ তারা বলছে, যুক্তরাজ্যকে নতুন নীতি তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে মানুষের ঘর উষ্ণ করার পদ্ধতি থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস পর্যন্ত সবকিছুই বদলে ফেলতে হবে৷ মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমানো, কৃষি উৎপাদনে পরিবর্তন আনা ও ২০৩৫ সালের মধ্যে শুধু বিদ্যুৎ চালিত যান চলাচল নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করতে সরকারকে এসব উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি৷
এফএস/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
ভাসমান ক্ষেতে টিকে থাকতে চাচ্ছেন বাংলাদেশের কৃষকরা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের কৃষকরা টিকে থাকতে এক সনাতনী পন্থা বেছে নিয়েছেন: পানিতে ভাসমান ক্ষেত তৈরি করছেন তারা৷ দেশটির বন্যাপ্রবণ এলাকার কিছু ব্যতিক্রমী ছবি ডয়চে ভেলেকে পাঠিয়েছেন ইয়াকোপো পাসোত্তি৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
স্বর্গে অনিশ্চয়তা
গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হওয়ার আগ অবধি এক উর্বর ব-দ্বীপ গড়েছে৷ নদী দু’টি হিমালয় থেকে যে পলি বয়ে আনছে তা ব-দ্বীপটিকে করে তুলেছে কৃষিকাজের জন্য আদর্শ অঞ্চল৷ তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের হার এবং প্রতাপ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের কৃষকরা৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
কৃষিকাজের বদলে অন্যকিছুর সন্ধান
নোনা জলের প্রকোপে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একসময়ের উর্বর জমি৷ কৃষকরা তাই কৃষিকাজের বদলে অন্যকিছু করার পরিকল্পনা করছেন৷ কেউ কেউ শহর এলাকায় পশ্চিমাদের জন্য পোশাক তৈরির কারখানাগুলো স্বল্পবেতনের চাকুরি নিচ্ছেন৷ অন্যরা নোনাজলে চিংড়িচাষ বেছে নিচ্ছেন, তাও অবশ্য ইউরোপের বাজারের জন্য৷ তবে চিংড়িচাষ ব-দ্বীপটির উপকূলীয় অঞ্চলের ধ্বংস আরো ত্বরান্বিত করছে৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
ঐতিহ্যগত প্রযুক্তি
কিছু পরিবার অবশ্য আরো ঐতিহ্যগত এবং পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর পন্থার দিকে এগুচ্ছে৷ আর সেটা হচ্ছে কচুরিপানার মতো জলজ উদ্ভিদ এবং খড় ব্যবহার করে তৈরি ভাসমান ক্ষেত৷ বাংলা ব-দ্বীপের কৃষকরা এভাবে শতশত বছর ধরে কৃষিকাজ করছেন৷ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই পন্থার ব্যবহার বাড়ছে৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করেন
ভাসমান ক্ষেত তৈরি করতে নারী এবং পুরুষরা একসঙ্গে কাজ করেন৷ পিরোজপুরের এই কৃষক ক্ষেতে বোনার বীজ সাজাচ্ছেন৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
জৈব এবং পুর্নব্যবহারযোগ্য
ভাসমান ক্ষেতে নানারকম শাক, ঢেড়শ, লাউ, বেগুন, কুমড়া এবং পেঁয়াজ চাষ করা যায়৷ পানির উপরে ভাসার কারণে সেগুলো কীটপতঙ্গ থেকে দূরে থাকে৷ আর এ ধরনের ক্ষেতে আলাদা করে কোন রাসায়নিক সারও প্রয়োগ করতে হয় না৷ প্রতিটি ভাসমান ক্ষেত তিনমাসের মতো টিকে থাকে৷ এরপর সেটিকে ডাঙ্গায় তুলে শুকনো ক্ষেতে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
ভাসমান ক্ষেতের জন্য আদর্শ কচুরিপানা
শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাজন জঙ্গলসহ বিশ্বের নানাপ্রান্তে কচুরিপানার দেখা মেলে৷ ভাসমান ক্ষেত তৈরির জন্য এই কচুরিপানাকেই আদর্শ মানছেন বাংলাদেশের কৃষকরা৷ কেননা, এটি নোনাজলের মধ্যেও টিকে থাকতে পারে৷ এবং অনেক কচুরিপানা একত্রে ভাসলে সেটি প্রাকৃতিকভাবেই একটি ভাসমান কাঠামোতে পরিণত হয়৷ এরপর তাতে কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে এবং বাড়তি কিছু যোগ করে ভাসমান ক্ষেত বানিয়ে নেয়া যায়৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
জীবন বাঁচিয়েছিল কচুরিপানা
হরিপদ এবং তাঁর পরিবার ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় বড় এক কচুরিপানার ভেলায় দু’মাস জীবনযাপন করেছিলেন৷ ‘‘মানুষ একপাশে ছিল, অন্যপাশে গৃহপালিত পশু৷ এমনকি আমরা সেই ভেলায় রান্না করেছি এবং ঘুমিয়েছি,’’ বলেন তিনি৷ বর্ষীয়ান এই কৃষক মনে করেন, ঋতুগুলো বদলে গেছে৷ আগের চেয়ে বৃষ্টি এখন বেশি হয়৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
পানি সরিয়ে থেকে জমি উদ্ধার
ব-দ্বীপের বাসিন্দা কোথাও কোথাও পানিতে হারিয়ে যাওয়া জমি আবার পুর্নউদ্ধারও করছেন৷ নাজির বাজারের এই গ্রামটি একসময় পানির নীচে তলিয়ে গিয়েছিল৷ পরবর্তীতে সেখানে মাটি ফেলে এবং খালের মাধ্যমে পানি সরিয়ে কৃষি উপযোগী জমি এবং বাসস্থানের স্থান তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
বৃষ্টি কখন হবে?
নাজির বাজারের এক কৃষক আকাশের দিকে তাকিয়ে আবার বৃষ্টি কখন হবে তা বোঝার চেষ্টা করছেন৷ পানিতে মাটি ফেলে তৈরি কৃষিজমিতে উৎপাদিত কলা নৌকায় করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ সেখানকার খালগুলো যোগাযোগের নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে৷ নৌকায় করে শিশুরা স্কুলে যায় এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে নিয়ে যায়৷
ছবি: DW/Jacopo Pasotti
মানিয়ে নিতে শেখা
নাজির বাজারের কৃষক গিয়াসউদ্দিন সর্দার গত কয়েকবছের তারা আবাস বদলে যেতে দেখেছেন৷ তবে, ভবিষ্যত সম্পর্কে এখনো আশাবাদী তিনি৷ কেননা, তাঁর এলাকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখেছে৷ ‘‘আমাদের সামনে যাই আসুক — নদী, খাল, বৃষ্টি, বন্যা — আমরা পরিবর্তিত পরিবেশের মধ্যে টিকে থাকতে শিখেছি,’’ বলেন তিনি৷