জার্মানিতে বনজঙ্গলের পরিমাণ বিশ্বের অন্যান্য বহু দেশের চেয়ে বেশি৷ কিন্তু ভবিষ্যতে সেই জঙ্গল যখন খরার মুখে পড়বে, তখন কী ধরনের গাছপালা তার মোকাবিলা করতে পারবে?
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বনজঙ্গল৷ যুগ যুগ ধরে এ নিয়ে গল্পগাথা চলে আসছে: ডাইনি, বামন, রূপকথার প্রাণী, সুঁচলো পাতা দেওয়া ফার বা ঝাউগাছের আলোআঁধারিতে কতো কল্পনাই তো জন্ম নিয়েছে৷ সেই আদিম অরণ্যের কিন্তু আর বেশি বাকি নেই৷ আজ তা একটা বড় আবাদ কিংবা বাগানে পরিণত হয়েছে৷ সব গাছই পরিকল্পিতভাবে পোঁতা ও পরে বহু দশক ধরে বড় করা হয়েছে৷
বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বনজঙ্গলবকে সুরক্ষিত করার পন্থা খুঁজছেন৷ কেননা আজ যে সব গাছ লাগানো হচ্ছে, বিশ-ত্রিশ বছর পরে তাদের সম্পূর্ণ অন্য ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে৷
রাজধানী বার্লিনের আশপাশের হ্রদগুলোতে যে পানির গভীরতা কমছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের একটা লক্ষণ৷ গ্রীষ্মে আরো কম বৃষ্টি পড়ছে৷ অনেক গাছ পানি না পেয়ে মারা যাচ্ছে – সেগুলোকে কাটার সময় আসার আগেই৷ পাইন গাছগুলো বিশেষভাবে বিপন্ন৷
বিশ্বের প্রথম স্থানান্তরযোগ্য গবেষণাগার
অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ‘হ্যালি সিক্স’ নামের এই গবেষণাগারটি এমনভাবে তৈরি যেন প্রয়োজন হলে খুব সহজেই তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যায়৷ ‘ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে’-এর গবেষণাগার এটি৷
ছবি: British Antarctic Survey
বিশ্বে প্রথম
২০১৩ সালে অ্যান্টার্কটিকায় যখন ‘হ্যালি সিক্স’-এর উদ্বোধন হয় তখন সেটe বিশ্বের প্রথম ‘রিলোকেটেবল’ বা স্থানান্তরযোগ্য গবেষণাগার হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ প্রায় ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে নির্মিত গবেষণাগারটি অ্যান্টার্কটিকার যে কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব৷
ছবি: British Antarctic Survey
আছে স্কি লাগানো পা
খেয়াল করে দেখুন গবেষণাগারটিতে আটটি আলাদা অংশ একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লেগে আছে৷ প্রতিটি অংশের চারটি করে হাইড্রোলিক পা আছে৷ এসব পায়ের নীচে আছে বিশেষ স্কি, যার সাহায্যে প্রতিটি অংশকে সহজে ঠেলে এদিক-সেদিক নেয়া যায়৷
ছবি: British Antarctic Survey
ইতিমধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে
যে বিশাল ফাটলটি দেখতে পাচ্ছেন সে কারণে হ্যালি সিক্সকে একবার তার আগের জায়গা থেকে সরিয়ে আনতে হয়েছে৷ ‘ব্রান্ট আইস সেলফ’ নামে অ্যান্টার্কটিকার যে অংশে গবেষণাগারটি আছে সেখানে এই ফাটল দেখা দিয়েছে৷
ছবি: British Antarctic Survey
আরও একটি কারণে প্রথম
হ্যালি সিক্সই প্রথম গবেষণাগার যেটি ওজন স্তরে বিভিন্ন ছিদ্র থাকার খবর দিয়েছে৷ এছাড়া মহাকাশের আবহাওয়া, ওজন ডিপ্লেশন, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন সেখানকার বিশেষজ্ঞরা৷
দুই নম্বর ছবিতে হ্যালি সিক্সের মাঝখানে বড় লাল রঙের যে অংশটি দেখেছেন এই ছবিতে সেটিই আলাদাভাবে দেখতে পাচ্ছেন৷ এখানে গবেষক সহ অন্যরা আড্ডার জন্য জমায়েত হন৷ গ্রীষ্মকালে ৭০ আর শীতের সময় ১৬ জন থাকেন গবেষণাগারে৷
ছবি: British Antarctic Survey
আলোর নাচন
হ্যালি সিক্স এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে বছরের ১০৫ দিন ২৪ ঘণ্টাই আঁধার থাকে৷ চরম আবহাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই বাকি বিশ্বের সঙ্গে সেখানকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ তবে সেখানে শুধু যে খারাপ সময়ই যায় তা নয়৷ প্রায়ই সেখানকার বাসিন্দারা রাতের বেলায় আকাশে আলোর নাচন ‘অরোরা অস্ট্রালিস’ দেখতে পান৷
ছবি: British Antarctic Survey
6 ছবি1 | 6
লাইবনিৎস সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল ল্যান্ডস্কেপ রিসার্চ-এর বনবিজ্ঞানী হান্স-পেটার এন্ডে বললেন,‘‘আজ আমরা যা জানি, তা অনুযায়ী ভবিষ্যতে গ্রীষ্মে আরো কম বৃষ্টি পড়বে, অর্থাৎ সব মিলিয়ে বৃষ্টিপাত এমনিতেই কমে যাওয়ার পর গাছগুলোকে গ্রীষ্মেও খরার মুখোমুখি হতে হবে৷ বহু গাছপালা, যাদের অনেক পানি দরকার, তাদের অবস্থা সঙিন হয়ে উঠবে৷''
জঙ্গলের মধ্যে ল্যাবরেটরি
জঙ্গলের মধ্যে ল্যাবরেটরি খুলে গবেষকরা ভবিষ্যতের আবহাওয়ার ব্যাপারে গবেষণা চালাচ্ছেন৷ মাথার উপর ছাদ দিয়ে বৃষ্টি রুখে কৃত্রিম খরা সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তাতে কচি গাছের চারাগুলোর কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা দেখতে চান বনবিজ্ঞানীরা৷
প্রত্যেকটি চারা সঠিকভাবে মাপা হবে৷ পরিবেশ যতো উষ্ণ আর শুষ্ক হবে, ততো ধীরে ধীরে বাড়বে এই গাছের চারাগুলি৷ যেন তারা তেষ্টায় কষ্ট পাচ্ছে! একটি কাচের বাক্সে জঙ্গলের হাওয়ার নমুনা নেওয়া হচ্ছে৷ পরে ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে, ঐ হাওয়ায় কতোটা আর্দ্রতা আছে৷
গাছের পাতার সবুজ – অর্থাৎ ক্লোরোফিল – আর উদ্ভিদের মেটাবলিজমের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের কী প্রভাব পড়ে, তা পরীক্ষা করে দেখতে চান গবেষকরা৷ প্রাথমিক ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে: সেক্ষেত্রে গাছপালা আরো কম পুষ্টি উৎপাদন করে৷ জীববিজ্ঞানী কাটিয়া ফেল্সমান বললেন, ‘‘ওরা যথেষ্ট পরিমাণে পানি পাচ্ছে না, যার ফলে পানি আর কার্বনের সামগ্রিক চক্র ব্যাহত হচ্ছে৷ যার ফলে গাছের অবস্থা ভালো নয়, সে ঠিকমতো বাড়তে পারছে না, সে আরো কম ফটোসিন্থেসিস করছে, কেননা সে অত্যন্ত চাপের মুখে রয়েছে৷''
জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে যা যা করতে পারেন
জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, বিশেষ করে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা কমানোর উপায় নিয়ে বছর জুড়েই চলে আলোচনা৷ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের উদ্যোগেরও শেষ নেই৷ ব্যক্তি পর্যায়ের ছোট ছোট কিছু উদ্যোগও কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনতে পারে৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online
লাইটের বাল্ব বদলে ফেলুন
ঘরে খুব সুন্দর সুন্দর লাইট লাগিয়েছেন? সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি এসব লাইটের বাল্ব অনেক সময় খরচও বাড়ায়৷ বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাইলে শিগগির এলইডি বাল্ব লাগিয়ে নিন৷ অন্য সব বাল্বের চেয়ে এলইডি বাল্ব শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷
ছবি: DW/Gero Rueter
সব কাপড় রোদে-হাওয়ায় শুকান
কাপড় শুকানোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করেন? যখনই সম্ভব ধোঁয়া কাপড় ড্রায়ারে না দিয়ে বাইরে টানিয়ে দিন৷ একটু সময় লাগলেও এক সময় কাপড়গুলো ঠিকই শুকিয়ে যাবে৷ বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি যত কম ব্যবহার করবেন, ততই উপকার৷ জানেন তো, বিশ্বের উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর? ড্রায়ার আপনার কাপড় শুকায় ঠিকই, পাশাপাশি উষ্ণতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে৷
ছবি: picture-alliance/AP/Hussein Malla
রিসাইক্লিং
বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে অনেক জিনিসই রিসাইক্লিং, অর্থাৎ পুনর্ব্যবহার করার চল শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে৷ তবে রিসাইক্লিংয়ের চর্চা থেকে অনেক মানুষই এখনো দূরে৷ একজন একজন করে শুরু করলেও সংখ্যাটা বাড়বে৷ জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধের জন্য সেটাও কাম্য৷
ছবি: Fotolia/TrudiDesign
ঠান্ডা পানিতে কাপড় ধোয়া ভালো
আপনি কি গরম পানিতে কাপড় ধুয়ে অভ্যস্ত? তাহলে কিন্তু গ্রিন হা্উ গ্যাস নির্গমন বাড়িয়ে আপনি জলবায়ু পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখছেন৷ ঠান্ডা পানিতে কাপড় ধোয়া মোটেই কঠিন কাজ নয়৷ সহজ এই কাজটি করেও পরিবেশের উপকার করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
হাইব্রিড গাড়ি চালান
গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে৷ তাই গাড়ি যদি চালাতেই হয়, তাহলে হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি কিনুন৷ তাতে ক্ষতি কিছুটা কম৷
ছবি: picture-alliance/Photoagency Interpress
গরু, খাশির মাংস কম খান
গরু, খাশি এবং অন্যান্য পশুর মাংস খাওয়া কমিয়ে বা পুরোপুরি বাদ দিয়ে নিরামিষভোজী হলেও পরিবেশের উপকার৷
ছবি: FOX BROADCASTING/The Simpsons
স্বল্প দূরত্বে বিমানযাত্রা কমান
বিমান চলাচলেও পরিবেশের অনেক ক্ষতি৷ ফলে আপনি যদি দেশের ভেতরে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময় অন্তত বিমানে না ওঠেন, তা পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা ভূমিকা অবশ্যই রাখবে৷
ছবি: picture-alliance/P. Mayall
গাড়ি ছেড়ে বাইসাইকেল
যে কোনো ধরনের গাড়ি বর্জন করে যদি বাইসাইকেলে যাতায়াত করেন তাতে শরীর এবং পরিবেশ দুয়েরই উপকার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
বেশি সন্তান নয়
জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের ওপর চাপও বাড়ে৷ ফলে বেশি সন্তান না নেয়াই ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
9 ছবি1 | 9
‘ক্লাইমেট চেম্বার' বা জলবায়ু কক্ষে জঙ্গলের গাছপালা বসানো হয়েছে, যেন একটা মিনিয়েচার জঙ্গল৷ খুব সহজ কাজ নয়, কেননা বিচ গাছের একটা জঙ্গলেই থাকে ৪,০০০ ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ৷
বনের প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে
জঙ্গলের পরিবেশ প্রণালীতে জন্তুজানোয়ারদেরও একটা বড় ভূমিকা আছে৷ শুধু জন্তুজানোয়ার কেন, পোকামাকড়দেরও৷ যেমন বনবিজ্ঞানীরা জঙ্গলের ডাঁশ, মশা ইত্যাদি পোকামাকড় ধরার জন্য ব্যাগ ঝোলাচ্ছেন৷ এই ধরনের ছোট ছোট কীট নিয়ে জার্মানিতে এযাবৎ বিশেষ গবেষণা হয়নি৷ কিন্তু গরম বাড়লেই, এদের সংখ্যাও বাড়ে: বনে-জঙ্গলে নানা ধরনের নতুন ডাঁশ বাসা বাঁধে৷ এই সব ডাঁশের কামড় থেকে নানা ধরনের বিপজ্জনক অসুখবিসুখ ছড়াতে পারে৷
জঙ্গলে উদ্ভিদ আর প্রাণিজগতের মধ্যে ভারসাম্য এখনও বজায় আছে৷ কিন্তু তা বদলাতে চলেছে৷ কাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, কিন্তু তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে গেলে টেকসইভাবে গাছ কাটতে ও লাগাতে হবে৷ হান্স-পেটার এন্ডে বললেন, ‘‘ভবিষ্যতে জঙ্গলে কোন কোন ধরনের গাছ থাকবে, সে সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে৷ এবং সেই সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি চলবে ১২০ কি ১৪০ বছর ধরে – ওক গাছের ক্ষেত্রে যা ২০০ বছর হওয়াও অসম্ভব নয়৷''
জলবায়ু নিয়ে উদ্বেগের কারণে ইতিমধ্যেই জঙ্গল সংক্রান্ত কতোগুলো বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: বর্তমানেই জার্মানির বনেজঙ্গলে সুঁচলো পাতাওয়ালা কোনিফেরাস গাছের চেয়ে সাধারণ, চ্যাপটা পাতাওয়ালা গাছই বেশি লাগানো হচ্ছে৷ তার কারণ, পাতাওয়ালা গাছেদের খরা প্রতিরোধের ক্ষমতা দৃশ্যত পাইন, ফার ইত্যাদি সুঁচলো পাতাওয়ালা গাছেদের চেয়ে বেশি৷ অর্থাৎ ধীরে ধীরে বনের প্রকৃতিই বদলে যাচ্ছে৷
যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের হিসাব রাখছে নাসা
প্রথমে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের হিসাব রেখেছে নাসা৷ পরে সেটি বন্ধ হয়ে গেলে এখন আকাশ থেকে সেই কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে তারা৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
অপারেশন আইসব্রিজ
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ক্রিয়োস্ফিয়ার কর্মসূচির অন্তর্গত ‘অপারেশন আইসব্রিজ’-এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে আকাশ থেকে মেরু অঞ্চলের উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ ১৯৬৬ সালের লকহিড পি-৩ বিমান থেকে রিমোট সেন্সিংয়ের মাধ্যেমে ঐ অঞ্চলের বরফের পুরুত্ব ও স্থান পরিবর্তনের হিসাব রাখছে নাসা৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
প্রস্তুতি চলছে
অপারেশন আইসব্রিজের মেয়াদ ছয় বছর৷ এর আওতায় মার্চ থেকে মে-তে গ্রিনল্যান্ডে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরে অ্যান্টার্কটিকায় আট ঘণ্টা করে কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে বরফের পাত ও খণ্ডের ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
বিমানে আছে উচ্চ প্রযুক্তি
উপর থেকে কুয়াশার ভেতর দিয়ে ক্যানাডার এলেসমেয়ার দ্বীপের গ্লেসিয়ার দেখতে পাচ্ছেন৷ অপারেশন আইসব্রিজে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ ‘আইস-পেনিট্রেটিং রাডার’ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ বিমান নীচু দিয়ে উড়ে গেলে রাডারটি ভালো কাজ করে৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
প্রভাব এখনই দেখা যাচ্ছে
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনই দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ উপরের ছবিতেও সেটি বোঝা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
বিকল্প ব্যবস্থা
অপারেশন আইসব্রিজ আসলে নাসার একটি বিকল্প ব্যবস্থা৷ কারণ ২০০৩ সালে একই কাজের জন্য ‘আইসস্যাট’ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ চালু করেছিল তারা৷ কিন্তু ২০০৯ সালে সেটি হঠাৎ করে তথ্য সংগ্রহের কাজ বন্ধ করে দেয়৷ ফলে ‘আইসস্যাট-দুই’ নামে আরেকটি উপগ্রহ তৈরির কাজ শুরু করেছে নাসা, যেটি আগামী বছর চালু হওয়ার কথা৷ ২০০৯ থেকে ২০১৮ – এই নয় বছরের তথ্যও যেন সংগ্রহে থাকে সেজন্য অপারেশন আইসব্রিজ শুরু করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
সীমাবদ্ধতা
আইসস্যাট-এর মাধ্যমে সারা বছর ধরে অনেক বিস্তৃত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল৷ কিন্তু অপারেশন আইসব্রিজের সাহায্যে শুধু মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে এবং সেটিও মাত্র কয়েক মাসের জন্য৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
‘আইসস্যাট-দুই’ নিয়ে অনিশ্চয়তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাসার আর্থ সায়েন্স প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দেয়ায় আগামী বছর এই কৃত্রিম উপগ্রহের কাজ শুরুর বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়েছে৷
ছবি: Getty Images/M.Tama
7 ছবি1 | 7
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন? মন্তব্য করুন নিচের ঘরে৷