1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা

২২ নভেম্বর ২০১৬

একদল কিশোর-কিশোরী জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সরকারের ব্যর্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছে৷ ইতিপূর্বে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে এ ধরনের মামলা হয়েছে৷

Bildergalerie Klima Proteste USA New York
ছবি: Getty Images/K. Betancur

বাদিপক্ষের ২১ জনের বয়স ৯ থেকে ২১-এর মধ্যে৷ তাদের সঙ্গে রয়েছেন জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. জেমস হ্যানসেন৷ ব্যাপারটা আদালতে ওঠে ২০১৫ সালে৷ সরকারের বিরুদ্ধে মামলাকারীদের অভিযোগ, সরকার বিশ্বের উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করে তরুণ প্রজন্মের জীবনধারণ ও স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছেন৷ সরকার বায়ু ও পানির মতো অত্যাবশ্যক গণসম্পদ সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, এই হলো অভিযোগ৷

অরেগনের জেলা আদালত ১১ই নভেম্বরের রায়ে বাদীপক্ষের যুক্তি বজায় রেখে বলেছে, ‘‘জীবাশ্মজাত জ্বালানি পোড়ানো থেকে সৃষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইড জলবায়ু প্রণালীকে এমনভাবে প্রভাবিত করছে, যা বাদীদের লক্ষণীয়ভাবে বিপদে ফেলবে... এ-কথা সরকারের ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জানা ছিল৷'' তা সত্ত্বেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেননি, যে কারণে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উদ্ভূত হানির জন্য মার্কিন সরকার অংশত দায়ী৷ এই হলো আদালতের রায়৷

১৯ বছর বয়সি টিয়া হ্যাটন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা সকলেই আমাদের ভবিষ্যৎ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন৷জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমরাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হব৷'' বাদীপক্ষের সব কিশোর-কিশোরী ব্যক্তিগতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপে পড়েছে: কেউ হয়তো যে খামার এলাকায় থাকে সেখানে খরা চলেছে; অন্যরা বন্যার কবলে পড়েছে৷ টিয়া হ্যাটনের মতো কেউ হয়তো অরণ্যে দাবানলের কারণে হাঁপানিতে ভুগছে৷

টিয়াদের এই মামলাকে যুগান্তকারী বলে গণ্য করা হচ্ছে৷ বহু লবি গ্রুপ এই মামলার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল, যেমন অ্যামেরিকান  ফুয়েল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স বা এপিআই সংগঠন; অথবা ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ম্যানুফ্যাকচারার্স বা অ্যামেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট, এমনকি মার্কিন সরকার - সকলেই চেয়েছিল এই মামলা খারিজ হোক৷ ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান এইকেন কিন্তু তাঁর রায়ে লিখেছেন, ‘‘পরিবেশ সংক্রান্ত আইনের ক্ষেত্রে ফেডারাল আদালতগুলো বড় বেশি সাবধানী, যার ফলে দুনিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷''

ইউরোপ ছিল পথিকৃৎ৷ ২০১৫ সালে একটি ওলন্দাজ আদালত সরকারকে ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন দেশব্যাপী ২৫ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেয়৷ ইতিপূর্বে উর্জেন্ডা নামের একটি সংগঠন ৯০০ ওলন্দাজ নাগরিকের হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে৷ সেই প্রথম নাগরিকরা সরকারের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলা করে জেতেন৷ পরে বেলজিয়ামেও এ ধরনের মামলা হয়৷ পন্থা একই৷ প্রথমে নাম-করা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সচেতনতা অভিযান; তারপর নাগরিক সমর্থন সংগ্রহের জন্য একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান; সবশেষে মামলার খরচ তোলার জন্য একটি ক্রাউডফান্ডিং অভিযান৷

 আনে-জোফি ব্র্যান্ডলিন/এসি

 আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ