জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের ফলে খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে৷ জার্মানির দুই বিজ্ঞানী অরগ্যানিক ভিত্তিতে চাষবাসের নতুন এক পদ্ধতি সৃষ্টি করে এক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখছেন৷
বিজ্ঞাপন
দেখলে সাধারণ খেত মনে হতে পারে বটে, কিন্তু এখানে যে শস্যের ফলন হচ্ছে তা সত্যি বিস্ময়ের কারণ৷সিডফরোয়ার্ড নামের স্টার্টআপকোম্পানির প্রতিষ্ঠাতারা কাজে অগ্রগতি দেখতে এসেছেন৷ বপনের আগে বীজগুলির উপর পরিবেশবান্ধব এক বিশেষ আস্তরণ লাগানো হয়৷ স্বাধীন এক কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে৷ এখনো পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে৷ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়াকব বুসমান বলেন, ‘‘যেমনটা দেখছেন, আমি একটি গোছা তুলে নিলে শিকড়ে অনেক বেশি মাটি লেগে থাকে৷ সেগুলি আলাদা করাও কঠিন৷ আরও ভালোভাবে দেখলে অনেক সূক্ষ্ম শিকড় চোখে পড়বে, যা মাটি ধরে রাখে৷ সঙ্গে বড় মজবুত শিকড়ও রয়েছে৷ মরসুমের এত প্রাথমিক পর্যায়ে এমনটা হলে বিষয়টি সত্যি অভিনব৷''
গবেষণাগারে দীর্ঘ পরীক্ষানিরীক্ষার সুফল মাঠ পর্যায়ে এই সাফল্য এনে দিয়েছে৷ কয়েক বছর ধরে এলকে হাসে জীববিজ্ঞানী হিসেবে সিডফরোয়ার্ড কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছেন৷ প্রাকৃতিক পুষ্টি ও ‘বায়োলজিকাল্স' নামে পরিচিত মাটির ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করার কাজে তিনিও যুক্ত৷ এর ফলে উদ্ভিদ রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই ভালোভাবে বেড়ে ওঠে৷ বিজ্ঞানীরা লাইলাক বুশ থেকে শুরু করে আলু পর্যন্ত প্রায় সবরকম বীজ নিয়ে কাজ করেছেন৷ সিডফরোয়ার্ড কোম্পানির কৃষিবিজ্ঞানী ইয়ান রিটার মনে করেন, ‘‘বিষয়টি খুবই কঠিন৷ কোনো নির্দিষ্ট স্তরে অথবা আপনার ব্যবহৃত কোনো উদ্ভিদ বা মাইক্রো অরগ্যানিজমের মধ্যে ঠিক কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান রয়েছে, তার পূর্বাভাষ দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়৷ বিষয়টি অনেকটা প্রাকৃতিক ঔষধির মতো৷''
বীজে রাসায়নিক প্রয়োগ করা অনেক সহজ হলেও বায়োলজিকাল প্রক্রিয়ায় তার তুলনায় অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়৷ উদ্ভিদ অনেক বেশি সবুজ ও স্থিতিশীল হয়, শিকড় আরও মজবুত হয়৷ জীববিজ্ঞানী হিসেবে এলকে হাসে বলেন, ‘‘আমি এত বড় পার্থক্য আশা করিনি৷ ভেবেছিলাম বড়জোর অভ্যন্তরীণ কিছু মানের উন্নতি হবে, যার ফলে পরে উৎপাদনশীলতাও বাড়বে৷ মোটকথা সামগ্রিক প্রবণতার আশা করেছিলাম৷ কিন্তু কিছু বিষয়ে অভাবনীয় ফল পাওয়া গেছে, যা কখনো ভাবতে পারিনি৷''
ইয়ান রিটার বীজের উপর আবরণের ফর্মুলা সৃষ্টি করেছিলেন৷ তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী ইয়াকব বুসমান-ও তার কম্পোজিশন সম্পর্কে জানেন না৷ গবেষণাগার ও গ্রিনহাউসে পরীক্ষানিরীক্ষার ভিত্তিতে তাঁরা প্রথম পণ্য বাজারে আনেন৷ অরগ্যানিক পদার্থ দিয়ে তৈরি নীল রঙের আস্তরণ শুকনা জলবায়ু সত্ত্বেও ভুট্টার ফলনে উন্নতি আনে৷
এই কোম্পানি এমন কয়েকজন চাষির খোঁজ পেয়েছেন, যাঁরা ভুট্টার নতুন বীজ বপন করতে প্রস্তুত ছিলেন৷ ক্লাউস হিনরিশ্স তাঁদেরই একজন৷ এ বছর তাঁর জমির মাটি আবার বড় শুকনা হয়ে গেছে৷ নতুন ‘ব্লু কর্ন' শুষ্ক পরিবেশের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবে, এটাই তাঁর আশা৷ প্রচলিত ভুট্টার তুলনায় এ ক্ষেত্রে কম পানির প্রয়োজন হয়৷ কোনো বিশেষ প্রক্রিয়ারও প্রয়োজন হয় না৷
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ‘ভাসমান’ যুদ্ধ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি জমি বছরে ছয় মাসেরও বেশি সময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে৷ জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করে বেঁচে থাকার গল্প শুনুন তাদের মুখেই৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
শৈশব থেকেই ভাসমান চাষ করেন সানোয়ার মিয়া
পিরোজপুর জেলার বৈঠাকাটা ইউনিয়নের সানোয়ার মিয়ার বয়স ৪৩ বছর৷ শৈশব থেকেই বাবার হাত ধরে শিখেছেন ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ৷ পাঁচ হাজার টাকায় এক খণ্ড জমি দুই বছরের জন্য লিজ নিয়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করছেন৷ সব খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে তাতে সংসার চলে যায় কোনোরকমে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
মৌসুমে পাঁচবার চারা
বাবুল হাওলাদার যে যায়গাটিতে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন, সেটি তাঁর নিজেরই৷ শুকনো মৌসুমে মাত্র একবার এ জমিতে ধান চাষ করতে পারলেও ডুবন্ত জমিতে ভাসমান পদ্ধতিতে তিনি কমপক্ষে পাঁচ বার চারা উৎপাদন করতে পারেন৷ এতে তাঁর লাভও ভালো হয়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
স্বামীকে সহায়তা করেন আকলিমা
আকলিমা বেগমের স্বামী ভাসমান পদ্ধতিতে গাছের চারা ও সবজি চাষাবাদ করেন জলভূমিতে৷ স্বামীর কৃষিকাজে সবসময় সহায়তা করেন তিনি৷ বীজ বপন থেকে চারা গজানো পর্যন্ত যতরকমের পরিচর্যা, তার সবই তিনি করে থাকেন বাড়ির আঙ্গিনায় বসে৷ ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদে, চারা গজানোর কাজটি বাড়িতেই করতে হয়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
বীজ বপন করেই চলে সংসার
আঞ্জু আরা বেগম অন্যের জমির জন্য বীজ বপনের কাজ করেন৷ কচুরিপানা ও ঘাস দিয়ে একটি গোলাকার বল তৈরি করে তার ভেতরে বীজ বপন করতে হয়৷ এক হাজার বীজ বপনের জন্য তিনি পারিশ্রমিক পান দেড়শ টাকা৷ দিনে সর্বোচ্চ দেড় হাজার পর্যন্ত বীজ বপন করতে পারেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
ভাসমান চাষাবাদ সহজ
ডুবে থাকা জমিতে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদই সহজ মনে হয় বৈঠাকাটা এলাকার খায়রুল ইসলামের কাছে৷ ভাসমান পদ্ধতিতে তিনি বিভিন্ন রকম লতা-জাতীয় সবজি চাষ করেন৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
কচুরিপানা বিক্রি
হারুনুর রশীদের মতো অনেকেই আছেন, কচুরিপানা বিক্রিই যাঁদের একমাত্র পেশা৷ বাড়ির আশপাশের বিভিন্ন নীচু এলাকায় তাঁরা আটকে রাখেন কচুরিপানা৷ মৌসুমে তা বিক্রি করেন কৃষকদের কাছে৷ এক নৌকা কচুরিপানা বিক্রি হয় পাঁচ থেকে আট হাজার টাকায়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
শ্যাওলা-ঘাস বিক্রি করেন হারেছ মিয়া
ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য পানির নিচের শ্যাওলা খুবই প্রয়োজনীয়৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের কাছে শ্যাওলা বিক্রি করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
ছয় মাসে ছয় বার
নিজের জলমগ্ন জায়গায় ছয় মাসে ছয় বার সবজির চারা উৎপাদন করেন আব্দুর রহমান৷ প্রথম দুই বারের চারা বিক্রি করে তাঁর সব খরচ উঠে যায়, বাকি চার বারের পুরোটাই লাভ৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
জৈব পদ্ধতিতেই চাষাবাদ
নাজিরপুরের রুহুল আমিন জানান, ভাসমান পদ্ধতিতে যে চাষাবাদ হয়, তাতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না৷ পচা কচুরিপানাই এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে জৈব সার হিসেবে কাজ করে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman.
9 ছবি1 | 9
৬ থেকে ৮ সপ্তাহের পর আস্তরণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই লোপ পায়৷ তার মধ্যেই বীজ এই আস্তরণের সুফল পেয়ে যায়৷ চাষি হিসেবে ক্লাউস হিনরিশ্স এই প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘এখনই ভালো অনুভূতি হচ্ছে, যার মূল্য কম নয়৷ শেষে ফলনও অনেক বেশি হবে৷ তাই বসন্তে বিনিয়োগের ফল হেমন্তকালে পাওয়া যাবে৷''
ইয়ান রিটার ও ইয়াকব বুসমান আফ্রিকায় অনেক সময় কাটিয়েছেন৷ সেখানেই তাঁদের প্রথম আলাপ৷ কঠিন জলবায়ুর পরিবেশে শস্যের ফলন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে তাঁদের গভীর আগ্রহ রয়েছে৷ এই মুহূর্তে তাঁদের পণ্য ইউরোপের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত৷ কিন্তু আফ্রিকার দেশ মালাউই-তে এক সাহায্যকারী সংস্থা তাঁদের ‘ব্লু সিড' পরীক্ষা করছে৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে সিডফরোয়ার্ড কোম্পানি আফ্রিকার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত বীজ সৃষ্টির কাজে হাত দেবে৷ সিডফরোয়ার্ড কোম্পানির ইয়াকব বুসমান বলেন, ‘‘আমরা তখন স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী রদবদল ঘটাতে পারবো, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে সেটি মজুত রাখা যায় এবং তার পানি ধারণের ক্ষমতা বাড়ানো যায়৷ সেই লক্ষ্যে বীজে আরও পদার্থ ঢোকাতে হবে৷ একমাত্র এক্ষেত্রেই রদবদল ঘটাবো৷ আমরা স্থানীয় পর্যায়ে সেটি উৎপাদন করবো এবং মোটেই রপ্তানি করবো না৷''
দুই উদ্যোগপতি বলছেন, ভুট্টা দিয়েই এই যাত্রা সবে শুরু হলো৷ তাঁরা আরও কিছু শস্যের প্রতি নজর দিচ্ছেন৷ বিভিন্ন শাকসবজির বীজের ক্ষেত্রেও তাঁরা বায়োলজিক্যাল্স প্রয়োগ করতে চান৷ তাঁদের সম্পূর্ণ অরগ্যানিক প্রক্রিয়া শুধু মাটির জন্যই ভালো নয়, বিজ্ঞানীদের মতে এর মাধ্যমে চরম শুষ্ক এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি ঘটবে৷
ক্রিস্টিনা ব়্যোডার/এসবি
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা
জার্মানি ও উত্তর ইউরোপের বেশ কিছু স্থানে কৃষকরা গত কয়েক মাসে প্রচণ্ড গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া মোকাবেলায় হিমসিম খেয়েছে৷ কেউ কেউ মনে করছেন, গরমে এমন আবহাওয়া এখন প্রায়ই থাকবে, তাই প্রয়োজন অভিযোজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Skolimowska
কমেছে জলীয় উপাদান
বার্লিনের উত্তরে গাড়িতে ৯০ মিনিট গেলে হান্স-হাইনরিশ গ্র্যুনহাগেনের আবাদী জমি৷ তিনি দেখলেন যে, তাঁর ফসল বেড়ে উঠতে এবার বেশি সময় লাগছে৷ কয়েক বছর আগেও যেখানে অক্টোবরের শুরুর দিকেই তিনি আলু তুলতেন, এখন তার চেয়ে বেশি সময় লাগছে৷ তাঁর মতে, এর কারণ শীতের কুয়াশা পড়তে দেরি হওয়া৷
ছবি: DW/T. Walker
এক বস্তা আলু
গ্র্যুনহাগেন একটি চারা থেকে এ পরিমাণ আলুর ফলন আশা করেন৷ কিন্তু যেহেতু ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশি হলে এরা বিবর্ণ হয়ে পড়ে, তাই ভালো আলুর ফলন কঠিন হয়ে পড়ছে৷ সেজন্য প্রচুর পানি খরচ করতে হচ্ছে৷ তারপরও এই গ্রীষ্মে তিনি অর্ধেক ফলন ঘরে তুলছেন৷
ছবি: DW/T. Walker
নানা শস্য
এই কৃষক নানা রকমের শস্য উৎপাদন করেন৷ অনেক শস্যেরই দ্রুত অঙ্কুর বের হয় এবং তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে৷ এতে দেরিতে আসা কুয়াশায় এদের ফলন খারাপ হয়ে যাচ্ছে৷ যেখানে সম্ভব, সূর্যের তাপের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তিনি এখন শস্যের বহুমুখীকরণ করছেন৷
ছবি: DW/T. Walker
কুয়াশার কামড়
আঙ্গুর চাষিরাও বিপাকে পড়েছেন৷ নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের যেসব জায়গায় ওয়াইন তৈরি হয়, সেখানে উজ্জ্বল দিনের আলোর কারণে অঙ্কুর দ্রুত বের হয়৷ কিন্তু রাতে তাপমাত্রা অনেক কমে গেলে এদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে৷ কুয়াশার কামড়ে এদের মৃত্যুও হতে পারে৷
ছবি: DW/T. Walker
আঙুর ঘরে তোলা
লম্বা গ্রীষ্মকাল মানে আঙুর পাকবেও দ্রুত৷ তার মানে, ফল তুলতেও হবে তাড়াতাড়ি৷ এমনকি বেশি উষ্ণ তাপমাত্রায় এদের স্বাদও বদলে যায়৷ অথচ ওয়াইন তৈরি প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা বজায় রাখতে প্রযুক্তির বিশেষ ব্যবহার প্রয়োজন হয়৷ তাই চাষিরা রাতে অথবা খুব ভোরে, তাপমাত্রা বেড়ে যাবার আগে আঙুর তুলে ফেলতে চেষ্টা করেন৷
ছবি: Reuters/R. Orlowski
মৃত্তিকার যত্ন
ভূমির প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে জার্মান চাষিরা আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁদের কথা হলো, যেই ভূমি দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটায়, তাকে তুষ্ট রাখতে হলে প্রচুর গাছ ও ঝোঁপ লাগাতে হবে, যেন শুষ্ক বাতাস না আসে৷
ছবি: Sarah Selig
মাটির পুষ্টি
জার্মানির অরগ্যানিক ফুড ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ফেলিক্স সু ল্যোভেনস্টাইন বলেছেন, মাটিতে হিউমাস ও অন্য উদ্ভিদ অণু কতটা আছে, তার ওপর এর পুষ্টি নির্ভর করে৷ এসব উপাদান যত বেশি থাকবে, তত মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়বে৷ তখন এটি খরা ও অত্যাধিক বৃষ্টি উভয়কেই মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে৷