জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শুরু হলো বন বৈঠক
১১ আগস্ট ২০০৯বিশ্বের ১৮০টি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪শ' প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছেন৷ এটি জলবায়ু বিষয়ক কোপেনহেগেন সম্মেলনের আগে ধারাবাহিক প্রস্তুতি আলোচনার শেষ বৈঠক৷ এই বছরের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিতব্য কোপেনহেগেনের বৈঠকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কিয়োটো প্রোটোকলের পরবর্তী ভাগ্য নির্ণয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, পরিবেশ বিষয়ক ঐতিহাসিক চুক্তি কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ ২০১২ সালে শেষ হয়ে যাচ্ছে৷
এবারের বৈঠকে মূলত বিশ্ব উষ্ণতার জন্য দায়ী গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে৷ এছাড়া বনের বৈঠকে যে সব প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিনিধিবৃন্দ ঐকমত্যে পৌঁছবেন সেগুলো কোপেনহেগেন সম্মেলনে পেশ করার জন্য খসড়া আকারে প্রণীত হবে৷ একই শহরে অনুষ্ঠিত বিগত দু'টি বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবনার চূড়ান্ত রূপ দেয়া হবে এবারের বৈঠকে৷ প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার ঐ খসড়া প্রস্তাবনাটি এখন পর্যন্ত ৫০ পৃষ্ঠায় নেমে দাঁড়িয়েছে৷
জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের প্রধান ইভো ডে বোয়ের বলেন, সময় ফুরিয়ে আসছে৷ আমাদের এই বৈঠকের লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গৃহীত প্রস্তাবনার একটি সংক্ষিপ্ত ও চূড়ান্ত লিপি দাঁড় করানো৷ বনের বৈঠকের পর এই প্রস্তাবনা লিপি নিয়ে সেপ্টেম্বরে ব্যাংককে এবং নভেম্বরে বার্সেলোনায় আরো দু'টি সভা অনুষ্ঠিত হবে৷ বার্সেলোনায় সম্পন্ন করা প্রস্তাবনাটিই কোপেনহেগেন সম্মেলনে পেশ করা হবে৷
উল্লেখ্য, শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৮ এর সদস্যরা গত মাসে ইটালির বৈঠকে সম্মত হয়েছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ৮০ শতাংশ কমানো হবে৷ এছাড়া একই সময়ে শিল্প-পূর্ব সময়ের চেয়ে বিশ্ব উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে তাদের৷ তবে বোয়েরের মন্তব্য, 'বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রির মধ্যে বেঁধে রাখার জন্য যা করণীয় আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারিনি৷'
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী