কৃষিকাজ থেকে শুরু করে কৃষি পণ্য বাজারে আনা বা রপ্তানির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব বেড়েই চলেছে৷ মরোক্কোয় এক জলবায়ু বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে৷
বিজ্ঞাপন
মরক্কোয় চাষিদের জন্য জলবায়ু বিমা!
05:24
গোটা এলাকার চাষিরা বড় হাটে নিজেদের পসার নিয়ে আসেন৷ তাঁদের ফসল কেমন হয়েছে, এসিআরই প্লাস প্রকল্পের মাক্সিম সুভিনিয়ে তা জানতে চান৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের কৃষিকাজের ক্ষতি হচ্ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এড়াতে বিমা চালু করার লক্ষ্যে এক গবেষণা প্রকল্পের সমন্বয় করছেন তিনি৷ মাক্সিম বলেন, ‘‘মরক্কোয় ছোট চাষিদের জন্য আগে থেকেই বিমা চালু রয়েছে৷ সরকারি ভরতুকির কল্যাণে বিমা কোম্পানিগুলি তাদের নানা পরিষেবা দেয়৷ কিন্তু সেটা আমাদের লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে না৷ আমরা গোটা ‘ভ্যালু ক্রিয়েশন চেন'-এর জন্য সমাধানসূত্র দিতে চাই৷''
মাঠে বীজ বপন থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল প্যাকেজিং ও তার পরিবহণ পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সব ব্যক্তির জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে বিমা করা হচ্ছে৷ সুস এলাকার সমতলভূমিতে কৃষিকাজই আয়ের মূল উৎস৷ কিন্তু খরা থেকে বন্যা – চরম আবহাওয়ার সব রূপই বড় সমস্যা হয়ে উঠছে৷
আঞ্চলিক রাজধানী তারুদঁ-য় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে চরম আবহাওয়ার প্রভাব সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যা গোটা অঞ্চলের ক্ষতি করছে৷ রাস্তাঘাট ও সেতু বিশেষভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে৷ কিন্তু সমস্যা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই৷ সেখানকার পৌরসভার সভাপতি সমাইল এলহারিরি বলেন, ‘‘শহরের সেতুসহ সব অবকাঠামোর সুরক্ষার ব্যয়ের মাত্রা জানতে আমরা এক রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম৷ দেখা গেল, ৮ লক্ষ ইউরোর বেশি ব্যয় হবে৷ শহর কর্তৃপক্ষ তার ২০ শতাংশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩০ শতাংশ দেবে৷ বাকি ৫০ শতাংশের জন্য আমাদের দাতা খুঁজতে হবে৷''
আর্বান ফার্মিং: শহরে চাষ
বাড়ির বাগানে মুরগি পোষা, কিংবা ছাদ কি বারান্দার টবে সবজি ফলানো, এ ধরণের শহুরে চাষ চলে আসছে বহুকাল ধরে৷ কিন্তু ‘আর্বান ফার্মিং’ আজ একটি বিশ্বব্যাপী প্রবণতা – হয়তো একটি বিশ্বব্যাপীসমাধান৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
আর্বান ফার্মিং কেন?
২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১,০০০ কোটি কিংবা তারও বেশি৷ এর দুই-তৃতীয়াংশ বাস করবে শহরে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে এই পরিমাণ মানুষের খাদ্য জোগাড় করা সহজ কথা নয়৷ সেক্ষেত্রে শহরের মধ্যে চাষবাস সাহায্য করতে পারে৷
ছবি: Imago/UIG
শহুরে চাষি
শহরে যাদের বাস, তাদের প্রকৃতির প্রতি টান কোনো অংশে কম নয়৷ তার খানিকটা মেটে বাগান করতে পেরে৷ কিন্তু আর্বান ফার্মিং মানুষ আর মানুষের মধ্যে হৃদ্যতা আনে, নতুন চাকরি সৃষ্টি করে, বাড়ায় নগরবাসীদের খাদ্য নিরাপত্তা৷
ছবি: Imago/AFLO/Yoshio Tsunoda
সবুজের স্নিগ্ধ প্রলেপ
ঊষ্ণায়নের ফলে যখন বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, তখন গাছপালা শহরের তাপমাত্রা কমায়৷ হংকংয়ের ইয়াউ মা তেই একটি প্রাচীন এলাকা৷ ২০১২ সালের মার্চ মাসে সেখানকার নানা ছাদের বাগান মিলিয়ে ‘এইচকে ফার্ম’ সৃষ্টি করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
ছাদে চাষ
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন গ্রেঞ্জ হল বিশ্বের বৃহত্তম ছাদের খামার৷ দু’টি ছাদ মিলিয়ে তৈরি এই খামারে বছরে ২২,০০০ কিলোগ্রাম অরগ্যানিক খাদ্য উৎপাদন করা হয়৷ এছাড়া খামারটি শহর জুড়ে বাড়ির ছাদে ৩০টি মৌমাছির দল ও মৌচাক পোষে৷ আর্বান ফার্মিংয়ের টেকসই মডেল হিসেবে ব্রুকলিন গ্রেঞ্জ গড়ে ওঠে ২০১০ সালে৷
ছবি: Imago/UIG
ময়লা ফেলার জায়গায় চাষ
নাম হলো ‘প্রিন্ৎসেসিনেনগ্যার্টেন’ বা রাজকুমারীর বাগান৷ বার্লিনের ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকার এই অংশটি অর্ধশতাব্দী ধরে ময়লা ফেলার জায়গা ছিল৷ পরে সেখান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অরগ্যানিক সবজি চাষের পোর্টেবল, অর্থাৎ অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া যায় এমন প্লট তৈরি করা হয়৷ সংগঠনটি আজ শহরের ভিতরে অনেক পোড়োজমি বা কনস্ট্রাকশন সাইটেও আর্বান ফার্মিং করে থাকে৷
ছবি: Prinzessinnengärten/Marco Clausen
ছাদে ধান রোয়া
টোকিও-র রোপোঙ্গি হিলস আসলে একটি বিজনেস ও শপিং কমপ্লেক্স৷ তার ছাদে মাটি ফেলে ধানের ক্ষেত করা হয়েছে৷ শহরের অন্যত্র ‘সিটি ফার্ম’ নামের একটি সংগঠন তরমুজ, টমেটো, সয়াবিন ফলায়৷ এছাড়া ধানচাষও করে থাকে৷ সংগঠনের সদস্যরা ধান ঝাড়ার কাজে সাহায্য করতে পারেন, কিংবা জাপানের ‘সাকে’ সুরা বানানোর পদ্ধতি শিখতে পারেন৷
ছবি: Imago/AFLO/Yoshio Tsunoda
বিপদের সময়
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের উপকণ্ঠে এলিনিকো কমিউনিটি গার্ডেন আসলে একটি ‘গেরিলা গার্ডেন’৷ গেরিলা যুদ্ধের মতোই অভাব-অনটনের দিনে গ্রিসের সর্বত্র এ ধরণের বাগান বা খেতখামার গজিয়ে উঠেছে, কেননা মানুষের খাদ্য চাই৷ এলিনিকো বাগানটি যেখানে, ২০০১ সাল পর্যন্ত সেটা ছিল একটা বিমানবন্দর৷ পরে জমি পরিষ্কার করে স্বেচ্ছাসেবীরা এখানে সবজি ও ফলমূল ফলাতে শুরু করেন দুঃস্থ এথেন্সবাসীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে৷
ছবি: Heidi Fuller-love
7 ছবি1 | 7
কয়েক সপ্তাহ আগে মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিও দেখলে বন্যার নাটকীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷ বন্যার ফলে অনেক সেতু ধ্বংস হয়ে যায়৷ স্থানীয় কর্তৃপক্ষর সামর্থ্য না থাকলে তার মেরামতি হয় না৷ তখন তাজা ফল ও সবজির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে৷ এমন সমস্যার সমাধানে তড়িঘড়ি এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে চলে না, যা আবার বৃষ্টি হলে অর্থহীন হয়ে পড়বে৷ মাক্সিম সুভিনিয়ে বলেন, ‘‘তারুদঁ শহরে কোনো সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপাদন এবং এইত মেলোউল শহরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে৷ ফলে গোটা শৃঙ্খলের ক্ষতি হবে৷ তারুদঁ শহরে একটি সেতুর ক্ষতির কুফল গোটা অঞ্চলকে ভোগ করতে হবে৷'' এইত মেলোউল শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি গোটা এলাকার তাজা ফলমূল ও শাকসবজি সংগ্রহ করে রপ্তানি করে৷ জোগানদাররা তাদের পণ্য সরবরাহ না করতে পারলে অর্থনীতির ক্ষতি হয়৷ মরক্কোর কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানির ৯০ শতাংশ এখান থেকেই চালিত হয়৷
সুভিনিয়ে-র জলবায়ু বিমা স্কিমের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ নির্দিষ্ট মাত্রায় বৃষ্টি হলে বিমা কোম্পানি টাকা দেবে৷ তাতে ক্ষতির মাত্রাও নথিভূক্ত করতে হবে না৷ এইত মেলোউল শহরের ৪০০ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কথা ভেবে এই স্কিম ভাবা হয়েছে৷ মাক্সিম সুভিনিয়ে বলেন, ‘‘আমরা সরাসরি কোম্পানিগুলির সঙ্গে কাজ করি না৷ তাদের নাগাল পাওয়া কঠিন৷ আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনের সাহায্য ছাড়া নতুন প্রস্তাব দেওয়া বেশ জটিল৷ সে কারণে আমরা আঞ্চলিক বিনিয়োগ কেন্দ্রের মতো সহযোগীর সঙ্গে কাজ করি৷''
স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন৷ একটি কোম্পানি নিজস্ব প্লান্টেশনে উৎপাদিত ফল বাক্সবন্দি করে৷ কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে তাপপ্রবাহ কমলালেবু গাছের জন্য ভালো নয়৷ আবার বন্যা হলে গাছে ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে৷ কোম্পানির প্রধান মনে করেন, বর্তমান বিমা স্কিমগুলি সঠিক দিশায় পদক্ষেপ হলেও এখনো ঘাটতি রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক বিষয় এখনো বিমার আওতায় আসেনি৷ আর লাল ফিতের ফাঁস তো আছেই৷ বিমা থাকলে ক্ষতির কারণ হিসেবে যদি জলবায়ু পরিবর্তন প্রমাণিত হয়, তাহলে কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না৷ কিছু হতে অনেক সময় লাগে৷''
পানির উপর হচ্ছে সবজি চাষ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশিরভাগই বছরের পুরোটা সময় জলাবদ্ধ থাকে৷ এ সব গ্রামের মানুষেরা ভাসমান পদ্ধতিতে গাছের চারা এবং সবজি উৎপাদন করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন৷
ছবি: DW
কৃষকের কৌশল
বছর জুড়েই জলাবদ্ধতা, সাথে কচুরিপানার মিছিল৷ ফলে পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক উপায়ে কৃষিকাজ কার্যত অসম্ভব৷ তবে বৈরী এই পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে নাজিরপুরের কৃষকরা নিজেদের কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজ৷
ছবি: DW
ভাসমান কৃষিক্ষেত্র
নাজিরপুরের মুগাঝোর এলাকার জলাভূমিতে ভাসমান কৃষিক্ষিত্র৷ নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ধাপ’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন এ সব এলাকার মানুষরা৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ‘কৃষি ঐতিহ্য অঞ্চল’ হিসেবেও স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাজিরপুরে উদ্ভাবিত ভাসমান পদ্ধতির এ চাষাবাদ৷
ছবি: DW
যেভাবে তৈরি হয় ধাপ
নাজিরপুরের পানিতে ডোবা নিম্নাঞ্চল কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জল সহিষ্ণু ঘাসসহ নানান জলজ উদ্ভিদে ভরপুর৷ এ সব জলজ উদ্ভিদকে স্তূপ করে পচিয়ে তারা তৈরি করেন ভাসমান এক ধরণের ধাপ৷ এই ভাসমান ধাপের উপরেই চাষাবাদের এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তাঁরা৷
ছবি: DW
পুরনো ধারা
কৃষি জমির বিকল্প হিসেবে জলাশয়ে ভাসমান চাষাবাদ দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে এ অঞ্চলে৷ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতিতে কৃষির উৎপাদনশীলতা জমির চেয়ে ১০ গুণ বেশি৷
ছবি: DW
জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ
ধাপ পদ্ধতির এ চাষাবাদ হয় সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে৷ রাসায়নিক সারের ব্যবহার নেই বললেই চলে৷ ফলে উৎপাদন খরচও কম এবং স্বাস্থ্যকর৷
ছবি: DW
ভাসমান বীজতলা
জলাভূমিতে প্রথমে কচুরিপানা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জলজ ঘাস স্তরে স্তরে সাজিয়ে দুই ফুট পুরু ধাপ বা ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়৷ এগুলো কয়েকদিন ধরে পচানো হয়৷ একেকটি ভাসমান ধাপ ৫০-৬০ মিটার লম্বা ও দেড় মিটার চওড়া হয়৷
ছবি: DW
চাষ করা যায় অনেককিছু
ভাসমান এ সব ধাপে সাধারণত লাউ, সিম, বেগুন, বরবটি, করলা, পেঁপে, টমেটো, শশা, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, মরিচ ইত্যাদি শাকসবজি ও মশলার চারা উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা৷ অনেক কৃষক আবার লাল শাক, ঢেঁড়স, হলুদ ইত্যাদিও চাষ করে থাকেন৷
ছবি: DW
নেই কোনো কৃষিঋণের ব্যবস্থা
মুগারঝোরের চাষীদের জন্য কৃষি ঋণের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চরা হারে সুদ নিয়ে গরিব এ চাষীরা তাঁদের কৃষি কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন৷ স্থানীয় কৃষক আশুতোষ জানান, সরকার সহজশর্তে ঋণ দিলে তাঁরা ভাসমান এ চাষাবাদের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে পারবেন৷
ছবি: DW
বিক্রি হয় কচুরিপানা
নাজিরপুরের মুগারঝোরে নৌকা বোঝাই কচুরিপানা নিয়ে ক্রেতার খোঁজে এক বিক্রেতা৷ এক নৌকা কচুরিপানা সাধারণত বিক্রি হয় ২-৩ হাজার টাকায়৷ এছাড়া নাজিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসব কচুরিপানার হাটও বসে৷
ছবি: DW
9 ছবি1 | 9
নতুন জলবায়ু বিমা এই পরিস্থিতির উন্নতি করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ বাণিজ্য চেম্বারে এক কর্মশালায় বিমা কোম্পানি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সংঘের প্রতিনিধিরা একত্র হয়েছেন৷ প্রকল্পের সমন্বয়ক মাক্সিম সুভিনিয়ে অবশ্যই রয়েছেন৷ শুধু নতুন বিমা স্কিম সৃষ্টি করাই লক্ষ্য নয়, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে৷