1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার আগ্রহ

গেরো শ্লিস / এসবি৩০ জুন ২০১৩

অ্যামেরিকা অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশের নেতা হিসেবে বারাক ওবামা নতুন উদ্যোগের ঘোষণা করেছেন৷

জলবায়ু সংরক্ষণের প্রায় সব উদ্যোগেই এতকাল বাধা সৃষ্টি করে এসেছে অ্যামেরিকা৷
ছবি: Reuters

জলবায়ু সংরক্ষণের প্রায় সব উদ্যোগেই এতকাল বাধা সৃষ্টি করে এসেছে অ্যামেরিকা৷ এবার সেই দেশই চালকের আসনে বসতে চায়৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জের বৈশ্বিক সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে অ্যামেরিকাকে সাহায্য করতেই হবে৷

২০০৯ সালে কোপেনহেগেন শহরে জলবায়ু সম্মেলনে ওবামা তাঁর ভাষণে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনছবি: picture-alliance/dpa

শুধু কথায় নয়, হাতেকলমে তা করে দেখাতে চান ওবামা৷ প্রথমেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কার্বন নির্গমনের মাত্রা বেঁধে দিতে চান৷ কারণ বেশিরভাগ কেন্দ্রই কয়লায় চলে৷ দেশের কার্বন নির্গমনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য এরাই দায়ী৷ পাশাপাশি সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়াতে ওবামা প্রশাসন বড় আকারে উৎসাহ দিতে চায়৷ ওয়াশিংটনে জার্মান মার্শাল ফান্ড-এর পল ব্লেলডসো মনে করেন, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা৷ এর আগে অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার লক্ষ্যে এতদূর যান নি৷ তাছাড়া চীন ও ভারতের মতো বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশের সঙ্গেও এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে চান ওবামা৷

জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যা যে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরেই সমাধান করা সম্ভব, ওবামার ঘোষণার মধ্যে সেই উপলব্ধির প্রতিফলন দেখা গেলো৷ যেমন চীন অ্যামেরিকার তুলনায় দ্বিগুণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তুলনায় তিন গুনেরও বেশি কার্বন নির্গমন করে৷ তাই এমন দেশকে শামিল না করলে কোনো সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন৷

২০০৯ সালে কোপেনহেগেন শহরে জলবায়ু সম্মেলনে ওবামা তাঁর ভাষণে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ২০০৫ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমানোর কথা বলেছিলেন তিনি৷ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য ওবামার হাতে আর বেশি সময় নেই৷ দ্বিতীয় ও শেষ কার্যকালের বাকি সময়ে সব মহলকে সঙ্গে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তাঁকে যে বেশ বেগ পেতে হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে ২০০৯ সালের তুলনায় এখন আর মার্কিন কংগ্রেসে বাধার সমস্যা নেই৷ ওবামার লক্ষ্য হলো৷ যে যত নির্গমন করবে, তাকে তত মাশুল গুনতে হবে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল ভবিষ্যতের কোনো কল্প-কাহিনি নয়ছবি: Reuters

ওবামার ঘোষণার পরেও সমালোচনার সুর পুরোপুরি বন্ধ হয় নি বটে৷ অনেকে মনে করছেন, এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়৷ তবে ওবামা যতদূর এগিয়েছেন, তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন বাকিরা৷ তাছাড়া দিনকাল বদলেছে৷ একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর অ্যামেরিকার মানুষও টের পাচ্ছেন, যে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল ভবিষ্যতের কোনো কল্প-কাহিনি নয়৷ ওবামা তাঁর ভাষণেও সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ বিরোধী রিপাবলিকান দলও আর আগের মতো প্রতিরোধ দেখাতে পারছে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ