জলবায়ু সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা স্থগিত
১৪ ডিসেম্বর ২০০৯রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫তম জলবায়ু আলোচনা বন্ধ থাকলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক দেশ আলোচনায় বসে৷ রোবাবার ৪৮টি দেশের পরিবেশ মন্ত্রীরা যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে সেখানে দুটি বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়৷ এক, কিয়োটো প্রটোকল ২০১২ সালের পর শেষ না করে উন্নত দেশগুলো আবারো প্রতিশ্রুতি দেবে যে তারা দ্বিতীয় দফায় কিয়োটোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ দ্বিতীয়ত, বালি অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় এবারের সম্মেলন থেকে কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে দেশগুলো একটি আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে আসবে৷ আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ডয়েচে ভেলেকে বলেন, আলোচনা মোটামুটি দুটি ধারায় এগোচ্ছে৷ আর এ বিষয়ে স্বল্পন্নোত দেশগুলো একমত৷ তবে শেষপর্যন্ত কি হবে সে বিষয়ে এখনো কোন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়৷
তবে সোমবার সকালে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীর দেশগুলোর বড় সংগঠন জি ৭৭ এ্যান্ড চায়নার বৈঠকে আফ্রিকান গ্রুপ জানায়, তারা কোন ধরণের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক মানে না৷ তাদেরকে সমর্থন জানায় এলডিসি তাই বিকেল পর্যন্ত সকল ধরণের আলোচনা স্থগিত করা হয়৷
বাংলাদেশের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আলোচনা আবার শুরু হোক৷
এদিকে ভারত, চীন এবং ব্রাজিলের দাবি, কার্বন নির্গমনের বিষয়ে তারা কোন ধরণের আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে যেতে চায় না৷ আর এই বিষয়টি নিয়েই এখন উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বিতর্ক চলছে৷
এদিকে সম্মেলন মহাসচিব ইভো দে ব্যোর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন আলোচনা আবার শুরু হবে৷ তবে কিয়োটো প্রটোকলে সংযুক্ত হবার ব্যাপারে যু্ক্তরাষ্ট্র আগ্রহী নয়৷ বরঞ্চ তারা কার্বন নির্গমনের মাত্রার বিষয়ে আলোচনা করতে বেশি আগ্রহী৷
তিনি বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে ভারত, ব্রাজিল বা চীন এর মতো দ্রুত উন্নয়নশীলদেশগুলো কি পরিমাণ কার্বন নির্গমন করবে বা তারা কোন আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে আসবে কি না এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশি চিন্তিত৷ এদিকে সকালে নরওয়ে জলবায়ু তহবিল গঠন নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাবনা আলোচনার টেবিলে উপস্থাপন করলেও আলোচনা সাময়িক ভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত আসেনি৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক