জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন বারাক ওবামা
২৬ নভেম্বর ২০০৯ওবামার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইইউ এবং ইউএন নেতারা
জলবায়ু সম্মেলনে বারাক ওবামার যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের নেতারা৷ তবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের হার কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম৷ অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রার কথা প্রকাশ করলো বুধবার৷ হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সম্মেলনে ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর ঘোষণা দিবেন ওবামা৷ যা ইইউ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম৷ ইইউ দেশসমূহ ২০২০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নির্গমন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার কাছাকাছিই রয়েছে ক্যানাডার কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা৷ এছাড়া অন্যান্য বিশ্বনেতা সম্মত হলে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টেফেন হ্যার্পারও কোপেনহেগেন সম্মেলনে অংশ গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷
চীনের গড়িমসি
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটিতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন এর বাইরে ৬৫টি দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতই আন্তর্জাতিক স্তরে সবচেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টিকারী দেশ চীন এখন পর্যন্ত জানায় নি তারা এই সম্মেলনে যোগ দেবে কিনা৷ অবশ্য, জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে সত্যিকার অর্থেই যাতে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয় সেই দাবি জানাবে চীন, এমন খবর দিয়েছে সেদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া৷
জলবায়ু বিষয়ে চীনের একজন আলোচককে উদ্ধৃত করে সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে৷ তবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে আইনি বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে ২০১০ পর্যন্ত অপেক্ষার পক্ষেই অবস্থান নিতে যাচ্ছে দেশটি৷ ''আমরা সম্মেলনকে সফল করার চেষ্টা চালিয়ে যাব৷ সম্মেলন থেকে শূন্য ফলাফল বা তথাকথিত রাজনৈতিক ঘোষণা মানবো না আমরা,'' চীনের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিফর্ম কমিশন' - এনডিআরসি কর্মকর্তা লি গাও একথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, ''ওই সম্মেলনের ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয়৷''
কোপেনহেগেনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এদিকে, কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির সরকার৷ সম্মেলন চলাকালে যে কোন ধরনের সহিংস ঘটনা এড়াতে সরকার নতুন আইনও প্রণয়ন করেছে৷ ডেনমার্কের সরকারি মুখপাত্র কিম অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, সম্মেলন চলাকালে বিক্ষোভ করে রাস্তাঘাট বন্ধ বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ রুখতে নতুন আইন অনুযায়ী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রাখা যাবে বা বিচারে সাজা হলে ৪০ দিন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়াসহ ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে৷ ওই আইনের বিরুদ্ধে সারা ইউরোপের পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়