জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
১৯ ডিসেম্বর ২০০৯জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন এই সমঝোতাকে আইনে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেন৷ বান বলেন, আমাদের এই রাজনৈতিক সমঝোতাকে একটি আইনী অঙ্গীকারে পরিণত করতে হবে৷ আমি এখনই পরিষ্কারভাবে বলতে পারছি না কখন, তবে ২০১০ সালের মধ্যে আমরা এটাকে আইনী রূপ দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো৷
এদিকে, ভারত এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ কোপেনহেগেনে সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি শুধু ভারত নয় বরং ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং চীন তথা বেসিক জোটের জন্য ভালো সমঝোতা৷ রমেশ আরো জানান, সমগ্র উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য এই সমঝোতা কাজে আসবে৷
কোপেনহেগেনের এই সমঝোতাপত্রে বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷ একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও খাপ খাইয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০২০ সাল থেকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ তবে বিশ্বের অনেক দেশই সমঝোতার বিষয়বস্তুগুলো পুরোপুরি অনুমোদন করেনি৷ সেসব দেশকে উদ্দেশ্য করে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামদ নাশিদ বলেন, আমি আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে সবাইকে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি এই সমঝোতাকে মেনে নিতে৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুকিঁতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ৷ কোপেনহেগেনের এই সমঝোতা প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আইনী বাধ্যবাধকতাসহ একটি চুক্তি চেয়েছিলাম৷ সেটা হয়নি৷ একটি রাজনৈতিক সমঝোতা, যেটা সবাই কম করে হলেও চেয়েছিল, সেটা আলোচনায় এসেছে৷
হাছান মাহমুদ জানান, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্বীকৃতি দেবার দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ তিনি বলেন, এই মতৈক্যে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্বীকৃতি এবং তাদেরকে শরণার্থী মর্যাদা দেওয়ার জন্য আরো একটি নতুন সমঝোতার কথা বলেছিলাম৷ তা হয়নি৷
জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়া চীনের প্রতিনিধি দল অবশ্য এই সমঝোতায় বেশ খুশি৷ দলটির প্রধান সিয়ে ঝেনহুয়া জানিয়েছেন, এই বৈঠকের একটি শুভ ফলাফল পাওয়া গেল, সবাই এতে খুশি হবে৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী