1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু সুরক্ষা শিকেয় তুলে রাখা যায় না

আইরিন কোয়েল/এসি৪ নভেম্বর ২০১৪

বিশ্বের জলবায়ু সংক্রান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি-র সর্বাধুনিক রিপোর্টে খনিজ তেল ও কয়লার পরিবর্তে অপরাপর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে৷

Windräder bei Frankfurt/Oder
ছবি: picture-alliance/dpa

ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃ-সরকার পরিষদের রিপোর্ট নিয়ে যে পরিমাণ দরাদরি হয়েছে, সে তুলনায় এই রিপোর্টে নতুন বলে বিশেষ কিছু নেই৷ দরাদরি আসলে ছিল আক্ষরিক বয়ান নিয়ে, সেই বয়ানের তীব্রতা ও জরুরি আবেদন নিয়ে, যা-তে শীঘ্রই বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তা-তে প্রতিফলিত হয়৷ বিশ্বের সরকারবর্গের সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার জন্য প্রণীত নথিটি আয়তনে কিন্তু বিশেষ বড় নয়৷

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষ ও পরিবেশ বিপন্ন

আইপিসিসি-র রিপোর্ট পড়ার পর আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে; মানুষই তার জন্য দায়ী; জলবায়ু পরিবর্তনের ফলশ্রুতি ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা রোখার সম্ভবত আর কোনো পন্থা নেই৷ আইপিসিসি-র রিপোর্টে ‘‘মানুষ এবং পরিবেশের জন্য আন্তরিক, ব্যাপক এবং অপরিবর্তনীয় ফলশ্রুতির'' কথা বলা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও যে সব দেশের প্রচুর তেল সম্পদ আছে, তারা রিপোর্টের বয়ানের এই ‘তীব্রতা' কমানোর চেষ্টা করেছে৷ অথচ সমস্যা সেটাই: তেল ও কয়লার উপর নির্ভরশীলতা – এবং সেই অর্থে খনিজ তেল শিল্প ও কয়লা শিল্পের লবিইং৷

জ্বালানি বদল

আইপিসিসি-র রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে: বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি যা-তে বিপজ্জনক মাত্রা অতিক্রম না করে, সেজন্য ঠিক কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অস্কাইড বাতাসে ছাড়া যেতে পারে৷ মানবজাতি ইতিমধ্যেই তার সিওটু বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশ খরচ করে বসে আছে৷ বলতে কি, সিওটু নির্গমন ২০২০ সালের পরে বাড়ার পরিবর্তে কমা প্রয়োজন, যদি জলবায়ুর পরিবর্তনকে চলতি আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় রাখতে হয় – যা হওয়ার সম্ভাবনা নিতান্ত কম৷ ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বের বিদ্যুতের চাহিদার একটা বড় অংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে মেটানোর কথা – যার ধারে-কাছে আমরা নেই৷ ২১০০ সালের মধ্যে অশ্বীভূত জ্বালানি বর্জন সম্পন্ন হওয়ার কথা – যদি না কার্বন ডাই-অক্সাইড ‘জমিয়ে রাখার' প্রযুক্তিতে ব্যাপক প্রগতি অর্জিত হয়৷

আইরিন কোয়েল, ডয়চে ভেলেছবি: DW

কিছু একটা ঘটা দরকার

বিশ্বের সব দেশ মিলে এমন একটি জলবায়ু চুক্তি সৃষ্টি করতে হবে, যা-তে জ্বালানি পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শর্তাবলী মেনে চলার গ্যারান্টি থাকবে৷ এক্ষেত্রে শিল্পোন্নত দেশগুলি এবং জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর দেশগুলিকে সর্বাগ্রে সক্রিয় হতে হবে – কয়লা উৎপাদনকারী দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পরবর্তী বৈঠক যার আদর্শ স্থান হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ