‘সিলভার অ্যারোজ মেরিন' নামের একটি ব্রিটিশ কোম্পানি জার্মান মার্সিডিজ কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতায় এমন একটি বোট তৈরি করেছে, যা দেখলে আর চড়লে মনে হবে যেন মার্সিডিজ ক্যাব্রিও চড়ছেন!
বিজ্ঞাপন
মার্সিডিজ সিলভার অ্যারো৷ না, গাড়ি নয়, বোট; চলে পানিতে৷ আইডিয়াটা এসেছে কিন্তু ‘সিলভার অ্যারোজ মেরিন' নামের একটি ব্রিটিশ কোম্পানির মাথায়, যারা ইয়ট তৈরিতে স্পেশালিস্ট৷ মার্সিডিজ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে৷ এই ইয়টে চড়লে নাকি মার্সিডিজ ক্যাব্রিও চড়ার মতো ফিলিং হবে৷
‘সিলভার অ্যারোজ মেরিন'-এর সিইও জাকোপো স্পাদোলিনি বলেন, ‘‘এটা গাড়ির মতো হতে পারে না, কেননা সাগর তো আর রাস্তা নয়; পটভূমি সব সময়ে বদলে যাচ্ছে৷ কিন্তু সত্যিই আপনার মনে হবে যেন আপনি দিব্যি আরামে গাড়ি চালাচ্ছেন৷''
চালকহীন মার্সিডিজ বাস
আগামীতে ইউরোপের রাস্তায় এ ধরনের বাস দেখা যাবে৷ এমন একটি বাস যা আপনা আপনি চলবে কোনো চালক ছাড়াই৷ ছবিঘরে থাকছে চালকবিহীন বাস ও মিনিবাসের ছবি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
ভবিষ্যতের গাড়ি
জার্মানির অটোমোবিল কোম্পানি মার্সিডিজ বেঞ্চ চালকবিহীন একটি বাস বানিয়ে রাস্তায় ছেড়েছে৷ নেদারল্যান্ডস-এর রাজধানী আমস্টারডামে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে৷
ছবি: Daimler
গাড়ির গতি
এই গাড়ি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে চলে৷
ছবি: Daimler
ড্রাইভার বসে আছে
বাসটি কিন্তু আপনা আপনি চলছে৷ ড্রাইভার কেবল বসে আছে দেখার জন্য কখনো কোন গণ্ডগোল বা দুর্ঘটনা হয় কিনা৷ কেননা এখন তো কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে৷
ছবি: Daimler
শত বছর পুরোনো ইঞ্জিন
ভবিষ্যতের বাস বলা হলেও এর ইঞ্জিন কিন্তু একশ’ বছরের পুরোনো৷ বাসে ১০টি ক্যামেরা লাগানো আছে, যা বাসের চোখ হিসেবে কাজ করে৷
ছবি: Daimler
ট্রাফিক আইন মেনে চলা
বাসটির মধ্যে যে ‘সেন্সর’ লাগানো আছে তা থেকে সে ঠিকই বুঝে যায়, কখন তাকে থামতে হবে আর কখন চলতে হবে৷ কোন লেন-এ চলতে হবে সেটাও যেমন বুঝতে পারে, আবার কেউ সামনে এসে পড়লে গতি কমাতেও জানে এটি৷
ছবি: Daimler
মিনি বাস
এটিও এমন একটি বাস যেটায় কোন ড্রাইভার বা চালক নেই৷ ফরাসি কোম্পানি নোভা বানিয়েছে এই মিনিবাসটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
ট্যাক্সির সুবিধা
এই মিনিবাসে ট্যাক্সির মতো সুবিধা আছে৷ আপনি যেখানে চাইবেন ফোন করে ডেকে নিতে পারেন এটিকে৷ ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলে এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
7 ছবি1 | 7
মার্সিডিজ এস-ক্লাসের ক্যাব্রিও মডেলটির অনুকরণে এই ইয়টটি বানানো হয়েছে৷ বোটে চড়ে ক্যাব্রিও-তে চড়ার অনুভূতি – এটাই ছিল ডিজাইনের প্রেরণা৷ গর্ডেন ভাগেনার এই ডিজাইনের স্রষ্টা৷ ২০০৮ সাল থেকে তিনি মার্সিডিজ গাড়ির মডেলগুলোর ডিজাইনের দায়িত্বে৷ ভাগেনার বলেন, ‘‘বোটটা জলের ওপর অন্য যে সব বোট চলাফেরা করছে, তাদের থেকে দেখতে এতোটা আলাদা, কেননা এখানে গাড়ির ডিজাইনের ধরণটা বোটের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে৷ বোটটাকে দেখতে ‘কুল' হতে হবে৷ ‘কুল' বলতে লোকে বোঝায় – এ-রকম আমি আগে কখনো দেখিনি৷ তার অন্য দিকটা হলো ‘হট', মানে দারুণ বা সেক্সি৷''
গাড়ি তৈরির কোম্পানি যে বোট তৈরি করবে, সেটা নতুন কিছু নয়৷ বহুদিন আগে থেকেই পোর্শে, অ্যাস্টন মার্টিন, ফেরারি বা বুগাত্তির মতো কোম্পানি ছোটবড় বোট তৈরি করে আসছে৷ আইডিয়াটা হল, ভূমধ্যসাগরের উপকূলে যে সব বিত্তবানরা ইয়ট নিয়ে ঘোরেন, তাদের গাড়ি কেনাতেও আগ্রহী করে তোলা৷ যারা একটা ইয়ট কেনার জন্য ২৫ লাখ ইউরো খরচা করতে পারেন, তাদের গাড়ি কেনাতে পারলেই বা খারাপ কি, বিশেষ করে গাড়ি বেচাই যখন এই সব কোম্পানির আসল ব্যবসা?
গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসি
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
দরিদ্র দেশের প্রায় সব ট্যাক্সি চালকেরই রয়েছে জার্মানির বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি, যেগুলো ৮০ দশকের তৈরি এবং ডিজেলে চলে৷
ছবি: DW/B. Darame
গিনি বিসাউ-এর সব ট্যাক্সিই মার্সিডিজ
গিনি বিসাউ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির একটি৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলিরও অন্যতম৷ এখানে সকল ট্যাক্সি চালকেরই রয়েছে মার্সিডিজ বেনৎস-এর গাড়ি৷ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ হলেও তাঁরা চালান জার্মানির ডাইমলার বেনৎস কোম্পানির বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি৷
ছবি: DW/B. Darame
দীর্ঘদিন চলে ডিজেল মডেলের মার্সিডিজ
মালিক এবং চালকদের কাছে মার্সিডিজের এই পুরনো মডেলের গাড়ি খুবই পছন্দের, যেগুলোতে আজকের দিনের অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা নেই এবং সহজে মেরামত করা যায়৷ বলা যায় বিসাউ-এর চার লক্ষ জনসংখ্যার যানবাহন বাস এবং ট্যাক্সি – প্রায় সবই মার্সিডিজ কোম্পানির গাড়ি৷
ছবি: DW/B. Darame
আমাদু ১৯৯৯ সাল থেকে এই মার্সিডিজটিই চালাচ্ছে
জার্মান প্রবাসী এক ব্যক্তি ১৯৯৭ সালে এই মার্সিডিজটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পূর্বের শহর বাফাটাতে৷ ‘‘১৯৯৯ সালে গাড়িটি বিসাউ এ আনা হয়েছে , তারপর থেকেই আমি চালাই৷ আমি এটা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে আমার পরিবারের দু’বেলার খাওয়া-দাওয়া চলে যায়৷’’
ছবি: DW/B. Darame
যৌথ বিনিয়োগ
মার্সিডিজ ট্যাক্সির মালিক মোট ৭ জন৷ ৪২-১১-সিডি ট্যাক্সির এই নম্বরটি শহরের সবাই এক কথায় চেনে৷ গাড়ি চালানোর ব্যবসা ভালো চললে মাসে ৭৫ ইউরো রোজগার হয়, যা বিসাউবাসীদের জন্য অনেক টাকা৷ কারণ গড়ে তাঁদের আয় মাসে ৫০ ইউরোর কম৷
ছবি: DW/B. Darame
নির্দিষ্ট রুটের জন্য মার্সিডিজ ট্রাক
ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের ট্যাক্সিগুলো বিভিন্ন রাস্তায় চলে৷ মার্সিডিজ ট্রাকগুলো ট্রাকের নির্দিষ্ট রুটে চলে৷ তাছাড়া ‘টোকা-টোকা’ নামের এই হলুদ, নীল মিনিবাসগুলোও চলে৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির ব্রেমেনে ২১০ ডি মডেলের ৯৭০.০০০ গাড়ি তৈরি করা হয়েছিল৷ বর্তমানে ভারতের কারখানায় এই গাড়ি তৈরি হচ্ছে৷
ছবি: DW/B. Darame
সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি
মিনিবাস বা ট্যাক্সি যাই হোক না কেন, সব সময়ই সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি করা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাড়িগুলো প্রতিবেশী দেশ জাম্বিয়ার বন্দর হয়ে ইউরোপ থেকে আফ্রিকায় আনা হয়৷ আফ্রিকায় আসার পর সেনেগাল হয়ে বিসাউ এ আসে৷ এবং সেখানেই আফ্রিকান নাগরিকদের পছন্দমতো গাড়ির রং বদলানো হয়৷