ভারতীয় বিয়েতে লাগামহীন ব্যয়ের উপর রাশ টেনে ধরতে গত মাসে একটি নতুন বিল উত্থাপন করা হয়েছে সংসদে৷ আগামী অধিবেশনে বিলটির ওপর আলোচনা হতে পারে৷ বিলটি যিনি তুলেছেন সেই সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷
বিজ্ঞাপন
ভারতে প্রায়ই আলোচিত হয় নানা ব্যয়বহুল বিয়ের আয়োজন৷ আর এ ধরনের বিয়েতে ব্যয় কমাতেই ফেব্রুয়ারিতে বিল উত্থাপন করা হয় সংসদে৷ এটি লোকসভায় অনুমোদিত হলে ভারতীয় বিয়ে শিল্পে বড় ধরনের অপচয় রোধ সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ প্রস্তাবিত বিল পাশ হলে তা শুধু বিয়ের খরচই কমাবে না, বরং ব্যয়বহুল বিয়ের ওপর বসবে বড় ধরনের ট্যাক্স বা করও৷ অর্থাৎ পাঁচ লাখ রুপি মোট খরচ হলে তার ওপর ট্যাক্স হবে আরো শতকরা ১০ ভাগ৷
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ব্যয়বহুল বিয়ের আয়োজনে সমালোচনা দেখা দেয়ার পর এ ধরনের একটি বিল এলো ভারতের সংসদে৷ গত বছরই বিলটি নিয়ে আলোচনা হয়৷ ভারতে কয়েক বছর ধরে বিয়েতে প্রচুর খরচ করতে দেখা যাচ্ছে ধনীদের৷ বিয়েতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হয়৷ পাঁচ তারকা হোটেলে বিয়ের আয়োজন, বলিউড তারকাদের অংশগ্রহণ, হেলিকপ্টারে করে বর আগমন-এমন নানা ধরনের আয়োজন দিন দিন বাড়ছে৷ সে তুলনায় গরিব পরিবারের বিয়েতেও এর সঙ্গে পাল্লা দেয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ আর সেই রাশ টানতেই নতুন এ বিল৷
বিয়ে আয়োজন করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দেয়া হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ বিয়ের অনুষ্ঠান হয়৷ আর এ সব বিয়েতে খরচ হয় ২ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার, প্রতি বছর যে ব্যয় শতকরা ৩০ ভাগ বাড়ছে৷ মূলত বিয়ে হয়ে উঠেছে সম্পদ প্রদর্শনের এক মাধ্যম৷
বিভিন্ন ধর্মের ও অঞ্চলের বিয়ের রীতি
অনেকে বলবেন, প্রেম পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে৷ আবার কেউ বলবেন না, বিয়ে মানে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা৷ বিবাহের গূঢ় অর্থ যাই হোক না কেন, একেক ধর্মে এর রীতিনীতি আলাদা৷ অঞ্চলভেদেও বিরাট ফারাক এর নিয়মকানুনে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
মুসলিম বিয়ে
সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়৷ দেনমোহর ধার্য করা হয় ছেলের আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী৷ বিয়ের সময় একজন উকিল থাকেন৷ তিনি প্রথমে কনেকে জিজ্ঞাসা করেন, সে বিয়েতে রাজি আছে কিনা৷ কনে রাজি থাকলে বরকেও একই প্রশ্ন করা হয়৷ এরপর দোয়া কালাম করে সম্পন্ন করা হয় বিয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP
হিন্দু বিয়ে
বিয়ে হয় বেশ কিছু আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৷ প্রচলিত নিয়মে প্রথমে বাগদান পর্ব এবং সেখানেই পাটিপত্রে বর-কনের স্বাক্ষর৷ তারপর একে একে আশীর্বাদ, গায়ে হলুদ, তারপর বিয়ের আসর৷ সেখানে দু’টি পর্ব – সাজ বিয়ে ও বাসি বিয়ে৷ সাজ বিয়েতে সাতবার প্রদক্ষিণ শেষে কনে আর বরকে বরণ করে নেয়া হয়৷ হয় মালাবদল৷ আর বাসি বিয়েতে দেবদেবীর অর্চনা শেষে কনের কপালে সিঁদুর দেয় বর৷ তারপর উভয় মিলে সাতবার অগ্নি দেবতাকে প্রদক্ষিণ করেন৷
ছবি: DW/U. Fatima
খ্রিষ্টান বিয়ে
বিয়ের তিন সপ্তাহ আগে পুরোহিতের কাছে বর-কনে নাম লেখান৷ এরপর ‘বান প্রকাশ’ অনুষ্ঠানে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়৷ বিয়ের আগ পর্যন্ত অপশক্তির নজর থেকে রক্ষার জন্য দুজনকে ‘রোজারি মালা’ পরতে হয়৷ বিয়ের দিন ভোরে কনের বাড়ি গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয়৷ এসময় বরপক্ষ থেকে দেয়া পয়সা ঘরের মধ্যে ছুড়ে দেন কনে৷ এর অর্থ, বাড়ি ছেড়ে গেলেও, বাড়ির লক্ষী ঘর থেকে চলে যাচ্ছে না৷ এরপর গির্জায় বর-কনে দু’জনের মধ্যে আংটিবদল করা হয়৷
ছবি: Getty Images/J.Moore
বৌদ্ধ বিয়ে
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের পর সামাজিকভাবে সবাইকে জানিয়ে তারিখ ঠিক করে বৌদ্ধবিহারে পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করা হয়৷ ত্রি-স্বরণ পঞ্চশীল পূজার মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুকের আশীর্বাদ গ্রহণের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷ এরপর একজন গৃহী তাঁদের সামাজিক অনুশাসন প্রদান করে৷
ছবি: dapd
ঢাকাইয়া বিয়ে
‘পানচিনি’ অনুষ্ঠানে ঘটকের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর ‘মোতাসা-রাই’ বা ‘পাকাকথা’ অনুষ্ঠানে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়৷ বিয়ে অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে দুই বাড়িতে আলাদাভাবে ‘হলদি’ বা ‘তেলাই’ অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর অবিবাহিত অবস্থায় নিজের বাড়িতে বর বা কনের শেষ খাওয়া হিসেবে দুই বাড়িতে ‘আইবুড় ভাত’ নামের অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর হয় মূল বিয়ের অনুষ্ঠান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N.Islam
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিয়ে
চট্টগ্রামের বিয়ে সাধারণত বেশ আড়ম্বরপূর্ণ হয়৷ বিয়ের প্রাথমিক কার্যকলাপ অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সম্পন্ন হয়৷ তবে বিয়ের আগে আয়োজন করা হয় ‘বউ জোড়নি’ অনুষ্ঠান৷ বর ও কনের মধ্যে আলাপ করিয়ে দেয়াই এর মূল লক্ষ্য৷ চট্টগ্রামের আরেকটি বিচিত্র আয়োজন হচ্ছে ‘ঘরজামাই বিয়া’৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
রাজশাহী অঞ্চলের বিয়ে
এই অঞ্চলের বিয়েতে থাকে পিঠার জয়জয়কার৷ বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হওয়ার পর আঞ্চলিক গীতের তালে তালে বর-কনেকে নিজ নিজ বাড়িতে মিষ্টিমুখ করানো হয়৷ এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় ‘থুবড়া’৷ সাধারণত ক্ষীর ও আন্ধাষা (তেলে ভাজা রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পিঠাবিশেষ) তৈরি করা হয়৷ এই মিষ্টি সাধারণত পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তৈরি করে পাঠানো হয় বর-কনের বাড়িতে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
শেষ কথা
এতক্ষণ রীতির কথা বলা হলো৷ কিন্তু সব মানুষের পক্ষে সব নিয়ম পালন করা সম্ভব হয় না৷ কারণ তাঁদের সেই সামর্থ্য থাকে না৷ আবার এর উলটোটাও ঘটে৷ যাঁদের অনেক সামর্থ্য আছে, তাঁরা রীতির বাইরেও জাঁকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করে থাকেন৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
8 ছবি1 | 8
ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি লক্ষ্মী মিত্তালের মেয়ের বিয়েতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার৷ দিল্লির এমপি রনজিত রঞ্জন, যিনি বিলটি এনেছেন সংসদে, তার মতে বিয়েটা এখন নিজের সম্পদ দেখানোর বিষয়ে পরিণত হয়েছে৷ এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে৷ এক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য দরকার৷ কারণ এটি সমাজের জন্য ভালো নয়৷
ডয়চে ভেলে: এ ধরনের বিল উত্থাপন করার পেছনে আপনার মূল উদ্দেশ্যটা কী?
রনজিত রঞ্জন: সমস্যাটা হচ্ছে বিত্তবানদের বিয়ে দেখে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণদের মধ্যেও এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়, তারাও স্বপ্ন দেখে বিশাল আয়োজনে বিয়ে করার৷ একজন মানুষ তার সারাজীবনের সঞ্চয়ের এক পঞ্চমাংশ খরচ করে বিয়েতে৷ কখনও কখনও জমি বন্ধক রাখে৷ এ ধরনের অপচয়ের কোনো মানে হয় না৷ তাই আমি এই বিল উত্থাপন করেছি৷
এই বিলের গুরুত্বটা কী?
কোনো পরিবার যদি বিয়েতে ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে চায়, তাকে আগেই সেটা জানাতে হবে এবং সেটার উপর ১০ ভাগ কর দিতে হবে, যেটা জমা হবে সমাজ কল্যাণ তহবিলে৷ আর এই অর্থ দেয়া হবে গরিব পরিবারগুলোকে যারা তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছে৷ এছাড়া এই বিলের আওতায় বিয়েতে অতিথির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে এবং খাবারের কয়টা ‘আইটেম' বা পদ থাকবেও সেটাও সীমিত করে দেয়া হবে৷ কেননা এ সব বিয়েতে প্রচুর খাবার অপচয় হয়৷
কিন্তু যেসব বিত্তবান মানুষ তাদের সন্তানের বিয়েতে ‘শো-অফ' করতে চায় এই বিল তাদের বিপক্ষে যাচ্ছে না?
এটা এমন একটি দেশ যেখানে অনেক মানুষের দুইবেলা দুমুঠো খাবার জোটে না, এমনকি লাখো মানুষ অভুক্ত থাকে, সেখানে এ ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের কোনো মানে হয় কি? গত নভেম্বরেই মেয়ের বিয়েতে পাঁচদিনের অনুষ্ঠান করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জি জনার্দন রেড্ডি৷ ধারণা করা হয় তাতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচশ কোটি রুপি৷ এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে৷
যদি বিলটি অনুমোদিত হয় এবং আইনে পরিণত হয়, তাহলে কি আসলেই বিয়েতে ব্যয়ের পরিমাণ কমবে বলে আপনার ধারণা?
জাম্মু-কাশ্মীরের সরকার কিন্তু এরই মধ্যে এ ধরনের বিশাল আয়োজনের বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ আমরা যেসব পদক্ষেপের কথা বলছি, তারা আগামী এপ্রিল থেকে সেটা কার্যকর করবে৷ ছেলে ও মেয়ে বিপক্ষে নিমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০ মধ্যে রাখতে হবে৷ তারা যদি এটা করতে পারে, তাহলে ভারতের বাকি অংশে কেন এটা সম্ভব নয়?
স্বামী পাচ্ছেন না? কিনে নিন!
বিয়ে রসিকতার ব্যাপার নয়৷ কিন্তু সুজানে হাইনৎস এমন বিষয় নিয়ে রসিকতাই করে চলেছেন৷ বিয়ে বিয়ে খেলার একটা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেখছেন এই পৃথিবীতে তাঁর অনেক সমব্যথী৷ ছবিঘরে থাকছে এই নিয়েই মজার এক গল্প৷
ছবি: Suzanne Heintz
যেন এক আদর্শ পরিবার
এক সময় সবাইকেই একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় – ‘বিয়ে কবে করছো?’ এ প্রশ্ন যে কত অস্বস্তিকর, যাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর মনে প্রশ্নটি যে কত চাপ তৈরি করে, তা কেউ ভাবেনই না৷ এ চাপ থেকে মুক্তি পেতে ফটোগ্রাফার সুজানে হাইনৎস কাপড়ের দোকানের পোশাক পরানো কিছু মূর্তি, অর্থাৎ ম্যানেকুইন্স দিয়ে সাজিয়েছেন নিজের পরিবার৷ স্বামী চঙ্কি, মেয়ে মেরি মার্গারেটের সঙ্গে তাঁর ছবিটি দেখুন৷ যেন সুখী পরিবার, তাই না!
ছবি: Suzanne Heintz
ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো
এভাবে নকল পরিবার সাজিয়ে, ছবি তুলে, সেই ছবি দিয়ে বানানো কার্ডের মাধ্যমে প্রিয়জনদের বিশেষ বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছেন সুজানে হাইনৎস৷ এভাবে বিয়ে নিয়ে সবার সঙ্গে মজা করার প্রকল্পটির নাম দিয়েছেন ‘প্লেয়িং হাউস প্রজেক্ট : লাইফ ওয়ান্স রিমুভড’৷
ছবি: Suzanne Heintz
সপরিবারে প্যারিস সফর
চঙ্কি আর মার্গারেটকে কিনে এনে নিজের পরিবার গড়েছিলেন সুজানে৷ এক সময় মনে হলো, পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বেড়াতে যাওয়া দরকার৷ প্রথম সফরটা হলো প্যারিসে৷ সেখানে আইফেল টাওয়ার থেকে শুরু করে যত দর্শনীয় স্থান আছে সব জায়গায় গিয়েছেন সুজানে৷ চঙ্কি আর মার্গারেটের সঙ্গে এমন সব ছবি তুলেছেন, যেন তাঁরা সত্যি সত্যিই সুখী পরিবার৷ এই ছবিটি তোলা হয়েছিল নোত্র দাম-এর সামনে৷
ছবি: Suzanne Heintz
বংশীবাদক
প্যারিস সফরটা ছিল দারুণ৷ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সুজানে বললেন, ‘‘আমি ছিলাম প্যারিসের বংশীবাদক৷’’ তাঁর পেছনে শত শত কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমেছিল – এটা বোঝাতেই এমন বলা৷ ‘প্লেয়িং হাউস প্রজেক্ট: লাইফ ওয়ান্স রিমুভড’ প্রকল্পটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিয়ে নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা সুজানেকে জানাচ্ছেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে৷
ছবি: Suzanne Heintz
পুরুষদেরও একই হাল
সুজানে হাইনৎস বললেন, ‘‘‘প্লেয়িং হাউস’ শুধু মেয়েদের জন্য নয়৷’’ বিয়ে হচ্ছেনা কেন, কবে হবে – এ সব প্রশ্ন একটা সময় পুরুষদেরও শুনতে হয়৷ তাই এখন পুরুষরাও সুজানেকে জানাচ্ছেন তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা৷
ছবি: Suzanne Heintz
এবার চলচ্চিত্র নির্মাণ
ঘুরে ঘুরে ছবি তুলে আনন্দ দেয়া-নেয়ার মধ্যেই আর বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ রাখছেন না সুজানে হাইনৎস৷ ভাবছেন, একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন৷ ছবিতে থাকবে তিনটি পর্ব৷ প্রথম পর্বে প্যারিস সফরের মজার সব অভিজ্ঞতা, দ্বিতীয় পর্বে উঠে আসবে বিয়ে সম্পর্কে তাঁর পরিবর্তিত ভাবনা আর শেষে থাকবে বিয়ে নিয়ে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের মনের কথা৷ এমন ছবি কে না দেখতে চাইবে, বলুন?