বিশ্বের অনেক বড় শহর বায়ুদূষণের সমস্যায় জর্জরিত৷ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এই সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
জনসংখ্যার চাপ
জাকার্তা ও তার আশেপাশের শহরগুলি ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও নাগরিক পরিষেবার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে৷ জনসংখ্যা ও যানবাহনের বেড়ে চলা চাপের কারণে অবশ্যই বায়ুদূষণের মতো নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ তবে শুধু মোটরগাড়ির কারণেই বায়ুদূষণ ঘটছে না৷ শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য ও আবহাওয়াও নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে৷
এয়ার ভিশুয়াল নামের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ সাইটের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের মানদণ্ডে জাকার্তা শহর শীর্ষ স্থান দখল করছে৷ এই সমস্যার ভিত্তিতে ‘কোয়ালিশন অফ ক্লিন দ্য ইউনিভার্স' বা ইবুকোটা নামের পরিবেশপন্থি জোট গত জুলাই মাসে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে৷ ‘অ্যাডভোক্যাসি ফর লিগাল এইড' সংগঠনের কর্মকর্তা নেলসন নিকোডেমুস সিমামোরা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘যে সব মানুষ ভালো ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং জাকার্তাবাসীদের স্বাস্থ্যের অধিকার নিয়ে চিন্তিত, তাদের প্রতিনিধিরা উদ্যোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ আমরা ৭টি পক্ষের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছি৷’’
জাকার্তায় বায়ু বিশুদ্ধকরণের লড়াই
06:01
প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ
বিবাদীদের মধ্যে দেশের প্রেসিডেন্ট, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কয়েকজন গভর্নরও রয়েছেন৷ তাঁরা জাকার্তার নাগরিকদের নির্মল বাতাস গ্রহণের অধিকার অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ বাস্তবে প্রতি বছর জাকার্তার বায়ুর মানের অবনতি ঘটছে৷ গ্রিনপিস সংগঠনের ইন্দোনেশিয়া শাখার বোন্ডান আন্দ্রিয়ানু বলেন, ‘‘বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ায় বায়ুদূষণের প্রসঙ্গ তুললে বলতে হয়, আমাদের নাগালের মধ্যে বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে৷ জাকার্তা শহরেই সরকারের চারটি বায়ু মনিটরিং স্টেশন রয়েছে৷ তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই ডিভাইস পিএম দুই দশমিক পাঁচ দূষণের মাত্রা মনিটর করতে পারে না৷ জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের মনিটরিং স্টেশন থেকে আমরা পিএম দুই দশমিক পাঁচ দূষণের মাত্রা ডাউনলোড করেছিলাম৷ এয়ার নাউ ওয়েবসাইটেই সেটা করা সম্ভব৷ আমরা লক্ষ্য করলাম, যে ২০১৮ সালে তার আগের বছরের তুলনায় নিম্ন মানের বায়ুর দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে৷ পরিবেশ ও বনসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্রও একই তথ্য দিচ্ছে৷ তাদের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জাকার্তা শহরে ১৮৬ দিন অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং মাত্র ৩৪ দিন বায়ুর মান স্বাস্থ্যকর ছিল৷’’
বায়ুদূষণ রোধে যে দেশগুলোর রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা
ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে বায়ুদূষণ রোধের চেষ্টা করছে৷ কিন্তু ইউরোপের বাইরের অনেক দেশেরই এ বিষয়ের উদ্যোগ সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না৷ চলুন জেনে নিই ছবিঘরে৷
ছবি: Imago/imagebroker
চীনে হাঁটার জন্য সহজ পথ
চীনের বড় বড় শহরগুলো বায়ুদূষণের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে৷ চেংডু, চীনের পঞ্চম বৃহত্তম শহর৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন, যাতে আবাসিক এলাকায় মানুষ যানবাহনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সহজে হাঁটাচলা করতে পারে৷ এই পরিকল্পনার আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ রাস্তা গাড়িমুক্ত করার চিন্তা করছেন তারা৷ চীন এখন পর্যন্ত ৩০০টি ইকো-শহর নির্মাণ করেছে৷
ছবি: Imago/Photoshot/Construction Photography
কলম্বিয়ায় গাড়িবিহীন দিন
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বাস পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে৷ ১৯৭৪ সাল থেকে এই শহরের মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন সপ্তাহে একদিন ১২০ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো গাড়ি চলবে না৷ এর পাশাপাশি শহর কর্তৃপক্ষ কয়েকশ’ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণ করছেন৷ ফলে গাড়িবিহীন দিনগুলোতে এখানে সাইকেল আরোহীদের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: Transmilenio Colombia
দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা
দক্ষিণ কোরিয়ার শহর ইনচেনের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক এলাকা সংদোতে গাড়ির তুলনায় সাইকেল চালকদের প্রাধান্য দেয়া হয়৷ গণপরিবহণের পাশাপাশি যাতে বিপুল সংখ্যক সাইকেল নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেজন্য এই এলাকার রাস্তাগুলোকে চওড়া করা হয়েছে৷ আবাসিক এলাকার ভবনগুলো এমন দূরত্বে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে হেঁটে যাওয়া যায়৷ ২০২০ সাল নাগাদ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই শহরের নির্মাণকাজ শেষ হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
বিশুদ্ধ বাতাসের শহর
২০২০ সাল নাগাদ স্যান ফ্রান্সিস্কো মার্কেট এলাকায় সব ধরনের গাড়ি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছেন কর্তৃপক্ষ৷ এই প্রস্তাবের আওতায় ঐ এলাকায় গণপরিবহণকে প্রাধান্য দেয়া হবে৷ এছাড়া এই এলাকাটি সাইকেলআরোহী এবং পথচারীবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে৷ আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যান নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Imago/imagebroker
মেক্সিকো সিটির পরিকল্পনা
বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলোর একটি হলর মেক্সিকো সিটি৷ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ২০২৫ সাল নাগাদ সব্ ধরনের ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধের অঙ্গীকার করেছে শহরটি৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
ভারতে বৈদ্যুতিক রিকশা
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ক্রমাগত বাড়ছে বায়ুদূষণ৷ ইলেকট্রিক রিকশা এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ রোধে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ২০৩০ সাল নাগাদ নতুন সব বাহন হবে বিদ্যুৎচালিত এবং রাজধানীতে গ্যাস চালিত যান নিষিদ্ধ করা হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
6 ছবি1 | 6
স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
বায়ুদূষণের দুটি অংশ রয়েছে – গ্যাস এবং পার্টিকেল বা কণা৷ গ্যাসের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে৷ তখন অক্সিজেন গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে৷ সেইসঙ্গে শ্বাসযন্ত্রেও যন্ত্রণা হতে পারে৷ পার্টিকেল বা কণার পরিণাম বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এর ফলে ক্যানসার হতে পারে৷ ইন্দোনেশিয়ার ফুসফুস রোগের চিকিৎসক সমিতির প্রধান আগুস দ্বি সুশান্ত বলেন, ‘‘পার্টিকুলেট ম্যাটারের আকারের রকমভেদ হতে পারে৷ আকার অনুযায়ী পিএম উপরের শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে নীচের অংশেও চলে যেতে পারে৷ এমনকি রক্তনালী প্রণালীতেও প্রবেশ করতে পারে৷ শ্বাসনালীতে যে কণা প্রবেশ করে, তার মাপ হতে হবে ১০ মাইক্রনের কম, পোশাকি ভাষায় যাকে পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ বলা হয়৷ নীচের শ্বাসনালীতে পৌঁছে সেটি রক্তনালীর মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ এই সব পার্টিকেল খুব যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে৷ তার অনেক উপাদান টক্সিক অথবা ক্ষতিকর হয়৷ তার মধ্যে এমনকি ফ্রি ব়্যাডিকালও থাকে৷ কয়েকটি কণা আবার ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়৷’’
বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট নানা রোগ প্রতিহত করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ নিয়মিত ব্যায়াম, যথেষ্ট বিশ্রাম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে হয়৷ পৌর এলাকায় বৃক্ষরোপণের মতো পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে৷
নতুন প্রজন্মকে ঘিরে আশা
জাকার্তা শহরের পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত অনেক সংগঠন এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে৷ শহরের বায়ুর মানের উন্নতি করতে তারা বৃক্ষরোপণ করে৷ রিভার রেঞ্জার কমিউনিটির প্রতিনিধি সিয়াহিক বলেন, ‘‘আমি শিশুদের আমন্ত্রণ জানাই, যাতে তারা পরিবেশের প্রতি মনোযোগ দেয়৷ তাছাড়া জাকার্তা এখন বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে৷ শিশুরা গাছ লাগাতে এলে আমি চাই, তারা যেন পৃথিবী এবং এই শহর বাঁচাতে অংশ নিতে পারে৷’’
কাঁচা বয়স থেকেই পরিবেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা শেখানো উচিত, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পৃথিবী সংরক্ষণ করে এবং এই গ্রহের দেখাশোনা করতে পারে৷
ইউসুফ পামুনচাক/এসবি
বায়ুদূষণে মৃত্যুতে বাংলাদেশ পঞ্চম
বাংলাদেশের শতভাগ মানুষই মাত্রাতিরিক্ত দূষিত বায়ুতে বসবাস করছে৷ এজন্য ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ‘দি স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট ২০১৯’ এ এমন তথ্য উঠে এসেছে৷
ছবি: bdnews24.com
বায়ুদূষণে ঝুঁকি
বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যু ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ৷ দূষিত বায়ু গ্রহণের কারণে হৃদযন্ত্রের অসুখ, শ্বাসকষ্টজনিত জটিল সমস্যা, ফুসফুস সংক্রমণ ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগছে মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/S. Ziese
মৃত্যুর কারণ
বিশ্বে যেসব কারণে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি তৈরি হয় বায়ুদূষণ তার মধ্যে পঞ্চম৷ ২০১৭ সালে ৪৯ লাখ মানুষ দূষিত বায়ুর কারণে মারা গেছে৷ মোট ১৪.৭ কোটি বছর সুস্বাস্থ্যে কাটানোর সুযোগ হারিয়েছে৷
ছবি: Greenpeace/V. Zalevskiy
দূষণের শিকার বেশিরভাগ মানুষ
একটি দেশের বায়ু স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী তা পরিমাপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডাব্লিউএইচও’র মানদণ্ড রয়েছে৷ সে অনুযায়ী ৯০ ভাগ মানুষই এমন অঞ্চলগুলোতে বাস করে যেখানকার বায়ু সুস্বাস্থ্যের উপযোগী নয়৷ ডাব্লিউএইচও-র সবচেয়ে নীচের লক্ষ্যমাত্রাটিও পূরণ করতে পারছে না এমন এলাকায় বাস করে অর্ধেকের বেশি মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Swarup
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায়
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু দক্ষিণ এশিয়ায়৷ ডাব্লিউএইচও’র মাত্রা অনুযায়ী ২০১৭ সালে সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল নেপালে৷ এরপর রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান৷ এই অঞ্চলে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বায়ু আছে ভুটানে৷ ডাব্লিউএইচওর নীচের মাত্রাটির কাছাকাছি তাদের অবস্থান৷ অঞ্চল ভিত্তিতে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণে দক্ষিণ এশিয়ার পরে আছে সাব সাহারা আফ্রিকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Swarup
বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ
ডাব্লিউএইচওর মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্বের যেসব দেশের শতভাগ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করছে তার একটি বাংলাদেশ৷ একই পরিস্থিতি পাকিস্তান, ভারত, চীন, নাইজেরিয়া ও মেক্সিকোতেও৷
ছবি: Pavel Rahman/AP/dapd
বায়ুদূষণে বাংলাদেশে মৃত্যু
দূষিত বায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়া শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ৷ ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বায়ুদূষণে মারা গেছে৷ প্রথম চারটি দেশের মধ্যে আছে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া৷
ছবি: bdnews24.com
দূষণ রোধে গড় আয়ু বাড়বে
বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যহানি আর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে৷ প্রতিবেদন বলছে এখন বিশ্বে যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে, গড়ে তারা কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ মাস কম আয়ু পাচ্ছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় যা ৩০ মাস৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে তাই গড় আয়ুও বাড়বে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Ning
গড় আয়ু বেশি বাড়বে বাংলাদেশ
স্বাস্থ্যকর বায়ু নিশ্চিত করার সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে বাংলাদেশ৷ জন্ম নেয়া শিশুদের গড় আয়ু তখন ১.৩ বছর বেড়ে যাবে৷ এমন সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে থাকবে ভারত, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান৷ তাদের গড় আয়ু ১ বছর বেড়ে যাবে৷