1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জাতির জননী' ম্যার্কেল

আনিয়া ফেনলে / এসি২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সংসদীয় নির্বাচনে ম্যার্কেলের আকাশছোঁয়া জয়ের পর কথাটা এখন প্রকাশ্যেই শোনা যায়৷ তাদের প্রথম মহিলা চ্যান্সেলরের তাঁবে জার্মানরা প্রায় ‘শিশু মাতৃক্রোড়ের' মতোই নিশ্চিন্ত বোধ করেন৷

German Chancellor and leader of Christian Democratic Union (CDU) Angela Merkel waves to supporters after first exit polls in the German general election (Bundestagswahl) at the CDU party headquarters in Berlin September 22, 2013. REUTERS/Fabrizio Bensch (GERMANY - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

সাবেক পূর্ব জার্মানির মেয়ে, খ্রিষ্টান যাজকের কন্যা; ডক্টরেট উপাধিপ্রাপ্ত পদার্থবিদ; রাজনীতি শিখেছেন খোদ ‘জার্মান ঐক্যের চ্যান্সেলর' হেলমুট কোল-এর কাছ থেকে – লোকে তাঁকে এককালে ‘কোলস মেডশেন', মানে ‘কোল'এর খুকি' বলত৷

মহিলা হলেও, বিশেষ আবেগ-অনুভূতি দেখান না আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বক্তৃতা দেন ভালোই, কিন্তু রক্ত গরম করার মতো বক্তৃতা দেন না৷ তাহলে জার্মানদের আঙ্গেলা ম্যার্কেল প্রীতির কারণটা কী? ‘‘আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী,'' বলেন তাঁর জীবনী লেখক জাকলিন বয়জেন৷ এছাড়া তিনি সব রকমের দুর্নীতির ঊর্ধ্বে, যেটা তাঁর জনপ্রিয়তার আরো একটি কারণ৷

সবচেয়ে বড় কথা: এই আর্থিক এবং ইউরো সংকটের দিনে ম্যার্কেল হলেন অবিচ্ছিন্নতা, দিকনির্ণয় এবং স্থিরতার প্রতীক – অধিকাংশ জার্মানের কাছে৷ ম্যার্কেল হলেন জার্মানে যাকে বলে ‘ফেল্স ইন ডেয়ার ব্রান্ডুং', অর্থাৎ সাগরের তরঙ্গাভিঘাতে শিলার মতো অচল, অনড়৷

লোকে ম্যার্কেলকে এককালে ‘কোলস মেডশেন', মানে ‘কোল'এর খুকি' বলতছবি: Reuters

ম্যার্কেলের কাছে বিষয়টাই গুরুত্বপূর্ণ, আত্মশ্লাঘাটা নয়, বলে জার্মানদের বিশ্বাস৷ শুধু জার্মানদেরই নয়, জীবনীকার বয়জেন-এরও বিশ্বাস তাই: ‘‘লোকে বিশ্বাস করে যে, উনি শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকবেন না৷'' ম্যার্কেল যখন আরো একটি কর্মকাল শুরু হবার আগে বলেন, তিনি দেশের সেবা করতে চান – লোকে সেটা বিশ্বাস করে৷

জার্মানদের প্রতিচ্ছবি?

এবারকার সংসদীয় নির্বাচনে ম্যার্কেলের সিডিইউ-সিএসইউ দল গতবারের চেয়ে প্রায় আট শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে৷ তার কারণ কি এই যে, জার্মানরা ম্যার্কেলের মধ্যে তাদের নিজেদেরই প্রতিচ্ছবি দেখেন? বিদেশে মানুষজন ঠিক তাই ভাবেন, বলেন বয়জেন৷ বিদেশিদের চোখে ম্যার্কেল সময়ানুবর্তিতা এবং বাস্তববুদ্ধির মতো জার্মান গুণগত উৎকর্ষগুলির মূর্তিমান প্রতিভূ৷ এছাড়া তিনি আস্থাভাজন বলেও মনে করা হয়৷

তবে দেশে বা বিদেশে ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনা হল: তিনি সরাসরি সমস্যার মোকাবিলা না করে – অথবা নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করে না দিয়ে – সাধারণত অপেক্ষা করে দেখেন – অথবা নিজের মন্ত্রিসভার কোনো মন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে পাঠান৷ আরেকটি সমালোচনা: ম্যার্কেল ভাববিলাসী বা স্বপ্নবিলাসী নন, কঠিন বাস্তব নিয়ে তাঁর কারবার৷ অপরদিকে তিনি কোনোদিনও দেশের নাগরিকদের বুঝিয়ে বলেন না, তাঁর গৃহিত সিদ্ধান্তগুলির ফলশ্রুতি কী হবে৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে আদর করে অনেকে অ্যাঞ্জিছবি: Reuters

বয়জেন কিন্তু সেটাকে ম্যার্কেলের গুণের তালিকাতেই ফেলেন: ‘‘উনি আদর্শবাদের ধার ধারেন না; দলগত কর্মসূচির পুরনো ঐতিহ্যে বাঁধা পড়ে থাকেন না৷'' এবং দলের আধুনিকীকরণের জন্য ম্যার্কেল ঠিক এই স্বাধীনতারই সুযোগ নিয়েছেন: শিশুর বাবা-মায়েদের জন্য মাসিক ভাতার প্রচলন করেছেন; বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা তুলে দিয়েছেন; পরমাণু শক্তি বর্জনের ব্যবস্থা করেছেন৷

‘জাতির জননী'

ম্যার্কেলের মধ্যে মাতৃসুলভ একটা কিছু আছে বলে অনেক পর্যবেক্ষকের ধারণা৷ তিনি যেন গোটা জার্মানিকে বরাভয় দিচ্ছেন৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নিজস্ব কোনো পুত্র-কন্যা না থাকা সত্ত্বেও নিজের দলের লোকজনরাই তাঁর নাম দিয়েছে ‘‘মুটি'', মানে ‘মা'৷ মজার কথা, গোড়ায় নামটার পিছনে অনেকটা শ্লেষ লুকনো ছিল: ছিল পূর্ব জার্মানিতে অতিবাহিত অতীতের প্রতি ইঙ্গিত৷

কিন্তু তাঁর বিগত দুই কর্মকালে ম্যার্কেল প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিন সত্যিই ‘জাতির জননী' হবার উপযুক্ত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ