সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তদন্ত প্রস্তাবে আবারো ভেটো দিয়েছে রাশিয়া৷ এতে ঐ হামলায় শতাধিক নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর তদন্ত আরো কঠিন হয়ে পড়লো৷ এ বিষয়ে এ নিয়ে ১১ বার ভেটো দিল রাশিয়া৷
বিজ্ঞাপন
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন যৌথ তদন্ত পদ্ধতি বা জেআইএম-এর তদন্তের সময় বাড়াতে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার ভেটো দিয়েছে মস্কো৷ স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদে এই ভেটো দেয় সিরিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত রাশিয়া৷
রাসায়নিক হামলা নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে তারা৷ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ নিয়ে জাতিসংঘের যৌথ তদন্ত দলের কার্যক্রম শেষ হওয়ার সময়সীমা ছিল শুক্রবার মধ্যরাতে৷ এরপর কার্যক্রম আরো ৩০ দিন বাড়াতে খসড়া প্রস্তাবটি তুলেছিল জাপান৷ ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১২টি৷ বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া ও বলিভিয়া৷ তবে ভোটদানে বিরত ছিল চীন৷ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হতে ১০ ভোটের পাশাপাশি স্থায়ী সদস্যদের কোনো ভেটো থাকা চলবে না৷
রাশিয়ার দাবি হলো জেআইএম যে পদ্ধতিতে কাজ করছে, সেই ধারা বদলাতে হবে৷ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, জেআইএমকে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে দিতে হবে৷
সিরিয়ায় আসলে কারা, কাদের বিরুদ্ধে লড়ছে?
মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ২০১১ সালের সেই আরব বসন্তের জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়৷ গত ছয় বছরে সেই সংঘাতের বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে, যোগ হয়েছে নতুন মিত্র, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পুরনো শত্রুতা৷
আসাদের প্রতি অনুগতরা
সিরিয়ার সেনাবাহিনী, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ান আরব আর্মি (এসএএ) হিসেবে পরিচিত, ২০১১ সালের শরতে তারা বড় এক জটিলতার মধ্যে পড়ে যায়৷ সেনাবাহিনীর একটি অংশ বিদ্রোহ করে আসাদ বিরোধী ‘অ্যান্টি-আসাদ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে৷ তবে এসএএকে ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সসহ আসাদপন্থি বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ সমর্থন দিচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/V. Sharifulin
মডারেট দল
আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ সহিংস রূপ নিলে ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ তৈরির পথ প্রশস্ত হয়৷ জিহাদি নয়, এমন বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে মিলে তারা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াই করছে৷ উদ্দেশ্য হচ্ছে, সিরিয়ায় গণতান্ত্রিক পথে সরকার গঠন করা৷ তবে বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে হারার পর সেই দলের অনেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে চলে যায়৷
ছবি: Reuters
সন্ত্রাসের নতুন রূপ
সিরিয়ায় বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে সে দেশ এবং ইরাকের একটা বড় অংশ দখল করে নিজেদের তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস)’৷ নিজের কালো পতাকাতলে ইসলামের উগ্রতম রূপ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অসংখ্য মানুষকে অত্যাচর এবং হত্যা করেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ রাকা শহরে গোষ্ঠীটি শক্ত অবস্থান গড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এক পুরনো জিহাদ
তবে আইএসই সিরিয়ায় অবস্থান নেয়া একমাত্র জঙ্গি গোষ্ঠী নয়৷ আল-কায়দার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল-নুসরা ফ্রন্টসহ আরো কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী সিরিয়ায় লড়ছে৷ আল-নুসরা ফ্রন্ট নিজেদের মধ্যে লড়াই ছাড়াও আসাদ এবং মডারেট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেও লড়ছে৷ সম্প্রতি জঙ্গি গোষ্ঠীটি সমমনা আরো কয়েকটি গোষ্ঠীকে নিয়ে জোট গড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Nusra Front on Twitter
আসাদের এক শক্তিশালী মিত্র
প্রেসিডেন্ট আসাদের শক্তিশালী মিত্র ক্রেমলিন৷ সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে কয়েকবছর ধরে রসদ সরবরাহের পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়া সংঘাতে যোগ দেয় রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী৷ তবে রাশিয়ার বিমান হামলায় অনেক বেসামরিক প্রাণহানির কারণে মাঝেমাঝেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়ে মস্কো৷
ছবি: picture-alliance/AP/Russian Defense Ministry
অনাগ্রহী পশ্চিম
আসাদের সমালোচনা এবং নীরবে মডারেট বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন জানালেও তাদের হয়ে আসাদের বিরুদ্ধে লড়তে পদাতিক বাহিনী পাঠাতে আগ্রহী নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো ন্যাটোভুক্ত দেশ৷ তবে ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রায় ষাটটি দেশের মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক জোট সে দেশে ইসলামিক স্টেট এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর আস্তানায় বিমান হামলা চালাচ্ছে৷
ছবি: AFP/Getty Images/John Macdougall
সীমান্তে নিরাপত্তা
সিরিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলো নিজেদের সীমান্ত রক্ষার স্বার্থেই এই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে৷ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটে থাকা তুরস্কও আসাদবিরোধী জোটকে সহায়তা করছে৷ তবে কুর্দি যোদ্ধাদের মার্কিনিদের সহায়তা নিয়ে সে দেশের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে তুরস্কের, কেননা কুর্দরা নিজেদের রাষ্ট্র চায়, যা তুরস্ক সমর্থন করে না৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Suna
প্রক্সি ওয়ার
সিরিয়ার সংঘাতে কার্যত এক প্রক্সি লড়াইও চলছে, যেখানে একদিকে রয়েছে রাশিয়া এবং ইরান, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্ক৷ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে চায় ইরান৷ ফলে রাশিয়ার পাশাপাশি সে দেশও কৌশলগত সহায়তা, সামরিক প্রশিক্ষণ, এবং পদাতিক সেনা দিয়ে দামেস্ককে সহায়তা করছে৷
ছবি: Atta Kenare/AFP/Getty Images
যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই
ছয় বছর হয়ে গেলেও সিরিয়ায় বহুমুখী লড়াই বন্ধের কোনো সুস্পষ্ট ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তৈরি বিভিন্ন শান্তি চুক্তি করা হলেও তা তেমন একটা সফল হয়নি৷ ফলে প্রতিদিন সে দেশে নানা হামলায় মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের মধ্যে শিশু, নারীসহ অনেক বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন৷
9 ছবি1 | 9
ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, ‘‘এই ভেটো এটাই প্রমাণ করে যে জেআইএম-এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সদস্যরা যে চেষ্টা করছে সে ব্যাপারে রাশিয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই৷''
হোয়াইট হাউজের প্রেসসচিব সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘‘এই তদন্তের বিরোধিতা করে রাশিয়া একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে, আর সেটা হলো, রাসায়নিক অস্ত্রে কত মানুষ মারা গেলো তার কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে৷''
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনসিয়া বলেছেন, ‘‘এখানে তদন্তের চেয়ে মুখ্য হলো রাজনৈতিক চাপ৷ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র এখানে মুখ্য বিষয় নয়৷ এটাকে একটা নাট্যমঞ্চ বানানো হয়েছে এবং খুব খারাপ মানের নাটক হচ্ছে৷''
সিরিয়ায় রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানোর অভিযোগ করেছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ এ অভিযোগ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের তদন্ত দল, আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র পরিদর্শক এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডাব্লিউ) এর সমন্বয়ে জেআইএম গঠন করা হয় ২০১৫ সালে৷ এতে সমর্থন দেয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷ ২০১৬ সালে এর মেয়াদ বাড়ানো হয় এক বছর৷
জেআইএম-এর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, সিরিয়ায় আসাদ সরকার ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করে খান সেইখুনের তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল৷ এই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২০০ জন, যাঁরা আজও স্নায়ু সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছেন৷ গত ৪ঠা এপ্রিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘সারিন' ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে৷
সিরিয়া বরাবরই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে আসছে৷ অন্যদিকে, রাশিয়া বলছে, জেআইএম ভুল তদন্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে৷
সিরিয়ায় ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা বন্ধ
সিরিয়ার দামেস্ক শহরের শিশু হাসপাতালে ক্যানসার ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা ওষুধ ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে শিশুদের চিকিৎসা দিতে পারছেন না৷ তবে এটা যে শুধুমাত্র সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে হচ্ছে, তা নয়৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
যুদ্ধাবস্থায় হাসপাতালের পরিস্থিতি
চিকিৎসা সেবায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একসময় বেশ সুনাম ছিল সিরিয়ার৷ কিন্তু ছয় বছরের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ অর্ধেকেরও কম হাসপাতাল ঠিকমত কাজ করছে দেশটিতে৷ দামেস্কের হাসপাতালগুলোতে প্রতি সপ্তাহেই ভিড় করছে কমপক্ষে ২০০ শিশু, যাদের ৭০ ভাগই আসছে রাজধানীর বাইরে থেকে৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
নিষেধাজ্ঞার কারণে ওষুধপত্র অপ্রতুল
দামেস্কের শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে রোগীরা৷ স্থানীয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাবের কারণ হিসেবে সিরিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করছে৷ কেননা বেশিরভাগ ওষুধপত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকেই আসতো সিরিয়ায়, যেগুলো তারা আর আসতে দিচ্ছে না দেশটিতে৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
ব্যয় কমিয়েছে সরকার
যুদ্ধ মানেই তা ব্যয়বহুল৷ আর এই ব্যয়ের কারণে সরকার স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কমিয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থের দাম পড়ে গেছে সিরিয়ায়৷ আর বিদেশি ওষুধ না পেয়ে রোগীরা দিন কাটাচ্ছে অসহায় অবস্থার মধ্যে৷ যুদ্ধ শুরুর আগে দেশে ব্যবহৃত ৯০ ভাগ ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করত সিরিয়া৷ তবে ক্যানসারের ওষুধগুলো বরাবরই আমদানি করতে হতো৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
স্বাস্থ্যখাতে বাজেট কম
একটি অসুস্থ শিশুর দেখভাল করছেন এক নার্স৷ সিরিয়ার অবস্থানরত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর সিরীয় সরকার স্বাস্থ্যখাতে বাজেট কমানোর কারণে বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করা কঠিন হয়ে পড়েছে৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
সিরিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এলিজাবেথ হফ জানান, দেশটির উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্যানসারবিরোধী বিশেষ কিছু ওষুধ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
চিকিৎসার জন্য রোগীদের অপেক্ষা
ক্যানসারের রোগী ফাহাদ মোবাইল ফোন নিয়ে খেলছে আর তার মা বসে আছেন বিছানায়৷ চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন এরা৷ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে সিরিয়ায়৷ তাই ওষুধপত্র না থাকায় ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা৷
ছবি: Reuters/O.Sanadiki
চিকিৎসায় বিলম্ব
বেসরকারি সংস্থা ‘বাসমা’ দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য ক্যানসারের ওষুধ কিনতে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে৷ সংস্থাটির নির্বাহী ব্যবস্থাপক রিমা সালেম বললেন, ‘‘যুদ্ধ শুরুর পর সাহায্যপ্রার্থী পরিবারের সংখ্যা ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে৷’’ কিন্তু চিকিৎসা শুরু হতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ সময়৷ তাই উদ্বিগ্ন সালেম জানান, ‘‘চিকিৎসা দিতে দেরি হলে যে কোনো দিন মারা যেতে পারে যে কোনো শিশু৷’’