1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া ও চীনের ভেটো

২০ জুলাই ২০১২

সিরিয়ার জনগণের উপর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর হত্যা-নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রস্তাবে তৃতীয়বারের মতো ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন৷

ছবি: dapd

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ এবং বিক্ষোভ দমনে সরকারি বাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা ১৭ মাসে গড়িয়েছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে বেশ কয়েক দফা পদক্ষেপ নিয়েও কোনো কাজ হয়নি৷ তাই জাতিসংঘ সনদের সাত নম্বর অধ্যায়ের আওতায় বাশার আল-আসাদ সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ কিন্তু প্রথম দু'বারের মতোই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তৃতীয় বারের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরুদ্ধেও ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করল স্থায়ী সদস্য রাশিয়া এবং চীন৷ এছাড়া ভোট দান থেকে বিরত ছিল পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চারকিন বলেন, ‘‘সপ্তম অধ্যায়ের আওতায় কোনো প্রস্তাবনা আমরা এত সহজে গ্রহণ করতে পারি না৷ কারণ এর ফলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে চাপ প্রয়োগের সুযোগ থাকে এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাহির থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ করার পথ খুলে দেয়৷'' আর জাতিসংঘে চীনা রাষ্ট্রদূত লি বাউডং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কিছু দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার, উস্কানি দেওয়ার এবং আরো বেশি সংকট সৃষ্টি করতে আগ্রহী৷ আমরা তাদের নীতির ব্যাপারে আবারো ভেবে দেখার আহ্বান জানাই৷''

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে বেশ কয়েক দফা পদক্ষেপ নিয়েও কোনো কাজ হয়নিছবি: Reuters

জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে সিরিয়ার সংকট নিরসনে শুধুমাত্র সেদেশের সরকারের উপর একপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু যারা প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেষ্টা করছে সেসব বিরোধীদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপের কথা নেই বলে সমালোচনা করেন রাষ্ট্রদূত বাউডং৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘সিরিয়ার সংকট সমাধানে যে এমন প্রস্তাব সহায়ক নয় তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে এবং এটি সংকট আরো বাড়িয়ে দেবে ও ঐ অঞ্চলের অন্যান্য দেশকেও এর সাথে জড়িয়ে ফেলবে৷''

তবে রাশিয়া এবং চীনের এমন অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অপর তিন স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স৷ এছাড়া ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন বেয়ার্ড রাশিয়া ও চীনের অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘তারা সিরিয়ার জনগণের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ মুহূর্তেও পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে৷'' জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও এতে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন৷

এদিকে, তুরস্কের সাথে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বাব আল-হাওয়া বিদ্রোহী সেনারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রায় ১৫০ জন সশস্ত্র বিদ্রোহী যোদ্ধা সীমান্ত পথ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়৷

এএইচ / ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ