জাতিসংঘে বৈঠকের সময় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি
১৮ জুলাই ২০২৪
বুধবার জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলার সময় দুই নারী গাজায় বন্দি থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ একজনের হাতে এক বন্দির ছবি, আরেকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল৷
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এর্দানের বিবৃতির পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে তখন ঐ দুই নারী চিৎকার করে জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেন৷ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনের ভেতরে বিক্ষোভের ঘটনা বিরল৷
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের জুলাই মাসের সভাপতি রাশিয়া৷ তাই লাভরভ বৈঠকটি পরিচালনা করছিলেন৷ বিক্ষোভকারীরা চিৎকার শুরু করলে লাভরভ তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, আরেকটু স্পষ্ট করে বলুন৷ আপনারা কী চান সেটা আপনাদের মধ্যে একজন স্পষ্ট করে বলতে পারেন৷ মনে হচ্ছে, আপনারা তা করতে চান না, ঠিক আছে৷’’
এরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা কর্মীরা কালো পোশাক পরা ঐ দুই নারীকে বৈঠকস্থল থেকে চলে যেতে বললে তারা চলে যান বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷
এই বিষয়ে জানতে তাইলে জাতিসংঘের ইসরায়েলের মিশন তৎক্ষণাৎ কিছু জানায়নি৷
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা করে৷ এতে ১,২০০-র মতো মানুষ প্রাণ হারান৷ প্রায় আড়াইশ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়৷
এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)
দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজাবাসী
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলে এবং মানবিক সহায়তার সুযোগ সীমিত থাকলে সেখানে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
অপুষ্টির শিকার শিশুরা
অপুষ্টির শিকার ফিলিস্তিনি শিশু ইয়ানা আয়াদের মা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে একটি ফিল্ড হাসপাতালে মোবাইলে থাকা ইয়ানার একটি ছবি দেখাচ্ছেন৷ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
গরম খাবারের অপেক্ষা
একটি দাতব্য সংস্থার রান্না করা গরম খাবার নিতে ভিড় করেছে একদল ফিলিস্তিনি৷ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণ সহায়তা ঠিকভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না৷ ছবিটি ১৯ জুন খান ইউনিসে তোলা৷
ছবি: Hatem Khaled/REUTERS
অপেক্ষায় শিশু
গাজায় খাদ্য সংকট চলছে৷ ছবিতে একটি শিশুকে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Hatem Khaled/REUTERS
বাইরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অপেক্ষা
অপুষ্টির শিকার ফিলিস্তিনি শিশু আমজাদ আল কানুকে ধরে রেখেছেন তার মা নাদা৷ গাজার বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে অপেক্ষায় আছে শিশুটি৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
ক্যানসার চিকিৎসার অপেক্ষা
ফিলিস্তিনি শিশু জোরি আল-আর ক্যানসার এবং অপুষ্টির শিকার৷ চিকিৎসার জন্য সেও গাজার বাইরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে সাধারণ গাজাবাসীরও মাসের পর মাস ধরে ভুগতে হচ্ছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
ফিলিস্তিনি মায়ের বিশ্রাম
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে অসুস্থ সন্তানের পাশে বিশ্রাম নিচ্ছেন তার মা৷ যুদ্ধের কারণে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা প্রতিনিয়তই বাড়ছে৷ হামাস গতবছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালালে জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে দেশটি৷