জাতিসংঘের এক কমিটিতে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার অবসান ও গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়ে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করা এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে৷ ওআইসি ও ইউরোপিও ইউনিয়নের আনা এ প্রস্তাব বুধবার সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে (সোশাল, হিউম্যানিটারিয়ান অ্যন্ড কালচারাল) সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা প্রস্তাবটি অনুমোদনের সময় বলেন, ‘‘জাতিসংঘে এবারই প্রথম সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল রোহিঙ্গা রেজুলেশন, যা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন৷
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ও অং সান সু চি সহ বেসামরিক নেতাদের আটকের খবরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
ছবি: AFP via Getty Images
বাংলাদেশ
‘‘মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছি৷ এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও ধারাবাহিক প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে,’’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷ ‘‘আমরা আশা করি, এই প্রক্রিয়াগুলো সঠিক ও আন্তরিকভাবে চলতে থাকবে,’’ বলেও বিবৃতিতে আশা করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Pacific Press Agency/B. H. Rana
চীন
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমারের সব পক্ষ সাংবিধানিক ও আইন মেনে তাদের মধ্যকার মতপার্থক্যের একটি সমাধান খুঁজবে বলে মিয়ানমারের বন্ধু প্রতিবেশী দেশ চীন আশা করছে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/L. Zheng
ভারত
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমরা মিয়ানমারের খবর দেখেছি৷ মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভারত সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Nv
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের প্রতি বার্মার জনগণের প্রত্যাশার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আছে৷ সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত পালটাতে হবে৷’’
ছবি: Carlos Barria/REUTERS
হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি জানানো হয়েছে৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পালটে দেয়া বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র৷’’ মিয়ানমারে নতুন করে সিদ্ধান্ত না বদলালে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি৷
ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance
জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারে যা ঘটেছে তা ‘গণতান্ত্রিক সংস্কারের উপর মারাত্মক বাধা’৷ তিনি সব নেতৃবৃন্দকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার ও মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন৷
ছবি: Michael Sohn/AP Photo/picture alliance
জার্মানি
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল ও সেইসঙ্গে আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি৷ সামরিক বাহিনীর এই কার্যক্রম মিয়ানমারে এতদিন যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উন্নতি এসেছে তা ঝুঁকিতে ফেলবে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/T.A. Clary
ব্রিটেন
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি মিয়ানমারে অভ্যুত্থান ও অং সান সু চিসহ অন্যদের বেআইনিভাবে আটকের নিন্দা করছি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘জনগণের দেয়া ভোটকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং বেসামরিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে৷’’
ছবি: Paul Grover/AFP/Getty Images
ইউরোপীয় কাউন্সিল
কাউন্সিলের প্রধান চার্ল মিশেল টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷’’
ছবি: Aris Oikonomou/dpa/picture-alliance
9 ছবি1 | 9
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি' শীর্ষক এ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং জরুরি অবস্থা জারির পরের পরিস্থিতি৷
এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে৷ শীর্ষ রাজনীতিকদের গ্রেপ্তার করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়৷ তারপর থেকেই দেশটিতে চলছে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা৷ সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে প্রাণ গেছে হাজারো মানুষের৷
জাতিসংঘ জানিয়েছে, থার্ড কমিটির অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নাগরিকদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখাতে দেশটির নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি যেন আহ্বান জানানো হয়৷ এবং গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর, আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং জরুরি অবস্থার অবসানের আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে৷
প্রস্তাবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে দেশের নাগরিকদের ভোগার কথা এবং সেনাবাহিনীর চালানো সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিবরণও তিনি বক্তৃতায় তুলে ধরেন৷ মিয়ানমারের পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে এবং হাজারো বেসামরিক নাগরিক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে বলে তিনি জানান৷
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে৷ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ' হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘ৷ কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় ৷ আগে থেকেই বাংলাদেশে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা ছিল ৷ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি৷
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, থার্ড কমিটিতে পাস হওয়া প্রস্তাবে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে সম্পৃক্ত করে একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে৷
‘‘ রেজুলেশনে রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মিয়ানমার, ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে৷''
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন৷ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে৷''
এবারের প্রস্তাবটি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ যোগাবে এবং ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা' রাখার আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘‘একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেট নিয়ে এবারের রেজুলেশন গৃহীত হলো যা রোহিঙ্গাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করবে৷''
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সংকট অবসানের এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ মোট ১০৭টি দেশ৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
ভাসান চর কি রোহিঙ্গাদের জন্য স্বর্গ?
প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ৷ তবে দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ হওয়ায় তা রোহিঙ্গাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: DW/A. Islam
মূল ভূখন্ড থেকে দূরে
বিশ বছরেরও কম সময় আগে ভাসান চর জেগে উঠেছিল৷ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে এটি ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ সেখানে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ৷
ছবি: DW/A. Islam
যাওয়া সহজ নয়
ভাসান চরে যেতে সাধারণ মানুষের উপযোগী কোনো বাহন নেই৷ ঐ দ্বীপের কয়েকজন দোকানি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বর্ষার সময় সাগর উত্তাল থাকায় সাধারণ মাছ ধরার নৌকায় করে ভাসান চরে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়৷
ছবি: DW/A. Islam
তিন মিটার উঁচু বাঁধ
উঁচু ঢেউ ও বন্যার হাত থেকে ভাসান চরকে বাঁচাতে সরকার ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিন মিটার উঁচু বাঁধ নির্মাণ করেছে৷ এক দোকানি জানালেন, মাসে দু’বার বাঁধের বাইরের দিকে থাকা বাজার এক মিটার পর্যন্ত ডুবে যায়৷
ছবি: DW/A. Islam
একইরকম ভবন
রোহিঙ্গাদের জন্য ১,৪৪০টি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে৷ প্রতিটি ভবনে ১৬টি ঘর রয়েছে৷ ১২x১৪ ফুটের একেকটি ঘরে একটি পরিবারের অন্তত চার জন সদস্যকে থাকতে হবে৷ ঘূর্ণিঝড়ের সময় ব্যবহারের জন্য ১২০টি চারতলা আশ্রয়কেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
সৌরশক্তি
ভবনগুলোর জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সেগুলোতে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ এছাড়া প্রয়োজনের সময় ব্যবহারের জন্য দুটি ডিজেল জেনারেটর ও বিশাল এক মাঠে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ খাবার পানির জন্য রয়েছে নলকূপ৷ আরও আছে বৃষ্টির পানি থেকে খাবার পানি পাওয়ার ব্যবস্থা৷
ছবি: DW/A. Islam
ক্ষয় রোধের ব্যবস্থা
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে ২০০২ সালে প্রথম এই দ্বীপের অস্তিত্বের কথা জানা যায়৷ এরপর কয়েকবার এটি স্থান পরিবর্তন করেছে৷ ভূমিক্ষয় ঠেকাতে সরকার চরটিতে তিন স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে৷
ছবি: DW/A. Islam
দ্বীপটি কি বাসযোগ্য?
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, দ্বীপটি এখনও বসবাসের উপযোগী নয়৷ তবে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত মনে করছেন, বাঁধের উচ্চতা যদি সাড়ে ছয় থেকে সাত মিটার করা যায় তাহলে দ্বীপটি বসবাসযোগ্য হতে পারে৷ তবে ভাসান চরে ফসল ফলানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: DW/A. Islam
রোহিঙ্গাদের ভয়
কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গারা ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁদের ভাসান চরে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁরা মারা যেতে পারেন৷ তবে প্রকল্পের প্রধান স্থপতি আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘‘চরটি রোহিঙ্গাদের জন্য এক স্বর্গ৷’’
ছবি: DW/A. Islam
রোহিঙ্গারা কি ভাসান চরে যাবেন?
কয়েকটি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে যে, নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে৷ তবে রোহিঙ্গারা সেখানে না গেলে গৃহহীন বাংলাদেশিদের ভবিষ্যতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে৷