1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এরশাদ-রওশন দ্বন্দ্ব চরমে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জাতীয় পার্টিতে এখন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের মধ্য দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে৷ এর ফলে এরশাদ রওশনের আস্থাভাজন দুই নেতাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ থেকে অপসারণ করেছেন৷

রওশন সরকারের সমর্থনে এরশাদকে দলে কোণঠাসা করে ফেলেছেনছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

মূলত রওশনকে ঠেকাতেই এরশাদ এসব ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ কারণ রওশন সরকারের সমর্থনে এরশাদকে দলে কোণঠাসা করে ফেলেছেন৷

গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর থেকেই এরশাদ এবং রওশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়৷ এরশাদ নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হন রওশন৷ রওশন এরশাদ শেষ পর্যন্ত দলকে নির্বাচনে নিতে সক্ষম হন৷ এমনকি এরশাদও সংসদ সদস্য হয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত৷ আর রওশন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী৷

নির্বাচনের পর থেকেই এরশাদ দলে কোণঠাসা৷ এমনকি জাতীয় পার্টির ৩৪ জন সংসদ সদস্যের অধিকাংশই এখন রওশনপন্থি৷ আর সরকারের নীতি-নির্ধারকরা রওশনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে এরশাদকে হটিয়ে সরাসরি দলের প্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন রওশন৷ আর একারণে এর আগে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দেন এরশাদ৷ তার জায়গায় মহাসচিব করা হয় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে৷

এবারের সংকট ঘনীভূত হয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা নিয়ে৷ এরশাদ চাইছেন তাঁর অনুগত জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে উপনেতা করতে৷ আর রওশন চাইছেন কাজী ফিরোজ রশীদকে৷ এনিয়ে দু'জনই সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলীয় উপনেতার ব্যাপারে রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত৷

আর এতেই ক্ষিপ্ত হন এরশাদ৷ এই ক্ষোভের অংশ হিসেবে বুধবার রওশনের আস্থাভাজন জাপার দুই নেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ৷ তাছাড়া এ দুই নেতার জেলা রংপুর ও কুড়িগ্রামে জেলা কমিটিও বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন তিনি৷

জানা গেছে এই ঘটনার পর তাজুল ও রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এরশাদের বিরুদ্ধে নালিশ করেন৷ এরশাদ এর আগে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদ থেকে কাজী ফিরোজ রশিদকে সরিয়ে দেন৷

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘‘আমরা এখনো কোনো চিঠি পাইনি৷ পেলে তখন ভেবে দেখব কী করা যায়৷'' তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘‘এরশাদ মহাসচিবকে উপনেতা করতে আমাদের সমর্থন না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷''

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘‘দুজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে ম্যাডাম (রওশন) ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন৷'' তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘দু-এক দিন পার হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে৷''

এদিকে সড়ক, পরিবহণ ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন এরশাদের জাতীয় পার্টিতে এখন উভয় সংকট চলছে৷ তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে অভ্যন্তরীণ যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, তা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে৷

এর পেছনে সরকারের কোনো হাত আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘সংসদে আওয়ামী লীগের দুই তৃতীয়াংশের ওপরে আসন রয়েছে৷ তাই জাতীয় পার্টির ভাঙনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো লাভ নেই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ