1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় পুনর্মিলনের উদ্যোগ

১ জানুয়ারি ২০১৩

জাতিসংঘের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির প্রস্তাবের পর কিছুটা নরম হয়েছে আসাদ প্রশাসনের সুর৷ তারা জানায়, শান্তি আনার ‘যে কোন উদ্যোগে’ তারা সঙ্গে থাকবে৷ এদিকে দামেস্কের অদূরে নতুন করে হামলা শুরু করেছে সিরীয় বাহিনী৷

U.N.-Arab League peace mediator Lakhdar Brahimi (L) of Algeria and Russia's Foreign Minister Sergei Lavrov attend a joint news conference in Moscow December 29, 2012. The international mediator seeking to end the 21-month-old conflict in Syria met Russia's foreign minister in Moscow on Saturday after talks in Damascus but expectations of progress toward a negotiated solution were low. REUTERS/Sergei Karpukhin (RUSSIA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওয়ায়েল আল-হালাকির কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক কথা শোনা গেল সোমবার৷ জাতিসংঘের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির শান্তি উদ্যোগের প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় পুনর্মিলনের উদ্যোগকে সমর্থন করছে তাঁর সরকার৷ এবং বর্তমান যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনার যে কোনো শান্তিপূর্ণ উদ্যোগে তাঁরা সাড়া দেবেন৷ তবে এক্ষেত্রে সিরিয়াতে বিদেশি হস্তক্ষেপ না করার কথাও বলেছেন তিনি৷ হালাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তার সমাধান কেবল সিরীয় জনগণই করবে৷

সিরিয়ার পরিস্থিতির সমাধানে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির প্রস্তাবের পর সিরীয় সরকারের পক্ষ থেকে বেশ ইতিবাচক কথা শোনা গেল৷ রোববার মিশরের রাজধানী কায়রোতে ব্রাহিমি এক সংবাদ সম্মেলনে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, সিরিয়াতে রাজনৈতিক সমাধান না এলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘সিরিয়ার মানুষকে সন্তুষ্ট করতে ও তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানে একটি রাজনৈতিক সমাধান দরকার৷ নইলে সিরিয়া একটি দোযখে পরিণত হবে৷''

এই সময় ব্রাহিমি আরও জানান যে, রাশিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে৷ তিনি আশা করেন, সিরিয়া নিয়ে তিনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক মহল গ্রহণ করবে৷ তবে তিনি কী ধরণের প্রস্তাব দিয়েছেন সেটি খোলাসা করে বলেন নি৷

মিশরের রাজধানী কায়রোতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহিমিছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে হাজার হাজার শরণার্থী পাশের তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে৷ দেশটির বিদ্রোহীদের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন দিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ সীমান্তবর্তী এলাকাত আকাকালেতে তিনি শরণার্থীদের দেখতে যান৷ এইসময় তাদের উদ্দেশ্যে এর্দোয়ান বলেন, ‘‘প্রতিটি জন্মেরই প্রসব বেদনা রয়েছে৷ সিরিয়ার জনগণ বর্তমানে এমনই এক জন্মের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে করে সিরীয় জনগণের হাতে সত্যকার ক্ষমতা আসে৷''

এদিকে, মুখে শান্তি উদ্যোগের প্রতি সহযোগিতার কথা বললেও বিদ্রোহীদের ওপর নতুন করে সাঁড়াশি হামলা শুরু করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দামেস্কের উপকণ্ঠে দারায়া শহরে ট্যাঙ্ক নিয়ে অভিযান চালায় আসাদ সেনারা৷ তাদের রকেট হামলায় এক শিশু হয় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী সমর্থকরা৷ তাদের একজন আবু কিনান বলেন, ‘‘গত দুই মাসে দারায়া শহরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা৷ সেনাদের একটি দল দারায়াতে এগুনোর চেষ্টা করছে, তবে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বাধার মুখে পড়েছে তারা৷''

বারজেহ শহরে ৩০ জনের লাশ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর দাবি, এই সব মানুষকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে৷ লাশগুলো চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হোম্স শহরেও সরকারি বাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করেছে৷ এছাড়া, বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত রাস্তান এলাকাও ব্যাপক বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে৷

অন্যদিকে, সিরিয়া থেকে রুশ নাগরিকদের সরিয়ে আনতে সেদেশের উদ্দেশ্যে তৃতীয় আরেকটি জাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া৷

আরআই / ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ