শিশু মালেয়া এমার বয়স মাত্র সাত বছর৷ কিন্তু যারা তাকে না দেখে তার গান শুনেছেন, তাদের পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব না, এমার বয়স মাত্র সাত বছর৷
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের সকার ফ্র্যাঞ্চাইজি এলএ গ্যালাক্সির এক ম্যাচের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত ‘স্টার স্প্যাঙ্গলড ব্যানার' গাওয়ার সুযোগ পায় এই শিশু৷
নাম ঘোষণার সময়ই তার অসামান্য প্রতিভার একটু পরিচয় দিয়েছিলেন উপস্থাপক৷ মাঠের মাঝখানে এসে দাঁড়ায় ‘টাইনি বাট মাইটি' অর্থাৎ ক্ষুদ্র হলেও শক্তিশালী মালেয়া এমি৷
মাইক্রোফোন হাতে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে একবার গ্যালারিভর্তি দর্শক আর একবার ক্যামেরার দিকে তাকায়৷ তখনও হাজার হাজার দর্শক বুঝতে পারেনি এই সাত বছরের মেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের হৃদয় জয় করতে চলেছে৷
প্রথম লাইন গুনগুন করে গেয়ে যখন জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করলো এমা, তখন পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ৷
দুই মিনিট পর উল্লাসে ফেটে পড়ে তুমুল করতালিতে দর্শকরা স্বাগত জানান অসামান্য এই খুদে গায়িকাকে৷
সাধারণত ভক্তরাই ফুটবলের সংগীত বা অ্যানথেম ঠিক করেন৷ এখানে এমন পাঁচটি গানের কথা বলা হলো যেগুলো আপনি বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল স্টেডিয়ামে শুনতে পাবেন৷ যদিও গানগুলোর সঙ্গে ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইয়েলো সাবমেরিন: দ্য বিটলস
রিঙ্গো স্টারের বিখ্যাত মেলোডিটি খুবই সাধারণ, কেননা, গান গাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনোই খুব একটা ভালো ছিলেন না৷ কিন্তু ফুটবল ভক্তদের কাছে সেটা কোনো ব্যাপারই নয়৷ ইয়েলো সাবমেরিনের কোরাস অংশটুকু স্টেডিয়ামে গাওয়ার জন্য একেবারেই যথার্থ এবং গানের কথাগুলো যেকোনো ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Naden
গুয়ানতানামেরা: খোসেইতো ফার্নান্দেজ
এই গানটি প্রায় ৯০ বছরের পুরনো, কিন্তু ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে হঠাৎ করেই ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি৷ ব্যান্ড রোকা’র এই গানটি মূলত কিউবার ক্লাসিক ‘হিট সং’৷ যদিও বেশিরভাগ মানুষ একটা লাইনই মনে রেখেছে এটার, সেটা হলো: ‘দেয়ার’জ ওনলি ওয়ান রুডি ফ্যোলার’, জার্মান ফুটবল কিংবদন্তিকে স্মরণ করে গাওয়া৷
রোমের নীল আকাশ নিয়ে লেখা এই গানটি ইটালির অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ ফুটবলের সাথে এর কোনো সংগতি নেই৷ কিন্তু কোরাসের সময় ‘ভোলারে’ শব্দটি এমনভাবে গাওয়া হয় শুনলে মনে হয় ‘ফিনালে’ অর্থাৎ ‘ফাইনাল’ গাওয়া হচ্ছে৷ তাই বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে যায়, তাদের জন্য ভক্তরা এই গান গেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Publifoto
গো ওয়েস্ট: ভিলেজ পিপল
স্টেডিয়ামের এই সংগীতটি ব্যাপক সফল৷ এ কারণে বিভিন্ন ক্লাব এবং দেশে এটা গাওয়া হয়৷ কেননা, যেকোনো পরিস্থিতি ও দেশের সাথে এটা খাপ খেয়ে যায়৷ যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড সমর্থকরা গেয়ে ওঠেন ‘ওলে ইয়েটস্ট কমট ডেয়ার বেভেবে’ অর্থাৎ ‘ওরে বিভিবি আসছে’ , তখন লন্ডনে আর্সেনাল ভক্তরা গাইছেন ‘ওয়ান-নিল টু দ্য আর্সেনাল’৷ এসব দল একে অপরের শত্রু হলেও ‘গো ওয়েস্ট’ সব দলের জন্যই প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন: জেরি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স
‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ যেটি মূলত রজার্স অ্যান্ড হ্যামারস্টাইন মিউজিকের একটি গান৷ এই গানটি কিছুটা ‘দুখ জাগানিয়া’, তাই ফুটবলের সাথে তেমন একটা যায় না৷ আর এ কারণে এটি বেশ দীর্ঘ৷ অন্য ফুটবল সংগীত থেকে ভিন্ন হলেও গানের কথাগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ ষাটের দশকে লিভারপুলের ভক্তরা প্রথম এই গান গাওয়া শুরু করে৷ আর বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব স্টেডিয়ামে এই গান গাওয়া হয়৷