1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানি কমিকের কল্যাণে ফরাসি ওয়াইনের রমরমা

৪ অক্টোবর ২০১০

জাপানি মাঙ্গা কমিক আর ফরাসি ওয়াইনের মধ্যে আদৌ কি কোন সম্পর্ক আছে? কিন্তু জাপানে নাকি সম্প্রতি এই মাঙ্গা কমিকই ফরাসি ওয়াইনের বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছে৷ বিষয়টা খানিক খটমট ঠেকছে নাকি!

Deutschland Manga Ausstellung in Frankfurt
জাপানের মাঙ্গা কমিকছবি: AP

জানা গেছে, জাপানি টেলিভিশনেও এই মাঙ্গা কমিক টিভি সিরিয়াল বনেছে৷ কমিক আর প্রচারিত টিভি সিরিয়াল, দুইখানেই ভিনটেজ ফরাসি ওয়াইন নিয়ে গল্প ফাঁদা হয়েছে৷ ‘দ্য ড্রপস অফ গড' নামের এই কমিক আর টিভি ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে৷ ৭ মিলিয়ন মানুষ এই কাহিনী দেখেছে টিভিতে৷ আর কান টানলে মাথা আসার মত কমিকের কাহিনীতে থাকা ফরাসি ওয়াইনের কল্যাণে জাপানি আর কোরিয়ানদের নজর এখন কমিকের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে থাকা ফরাসি ওয়াইনের ওপরে হামলে পড়েছে৷ ব্যস, সহজ হিসেব, এতেই বিক্রি বেড়ে গেছে তার৷

জাপান থেকে হাজার কয়েক মাইল দূরের সব ঘুমন্ত গাঁ-গেরাম, এই সুস্বাদু ওয়াইনের সূতিকাগার৷ সেখানকার ওয়াইন তৈরির কারিগররা স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না যে, সুদূর জাপানে এই ওয়াইন প্রীতি হঠাৎ কেনইবা এমন বেড়ে গেছে!

জার্মান বিয়ার আর ফরাসি ওয়াইনছবি: dpa

এদিকে ফরাসি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এক ওয়াইন প্রস্তুতকর্তা জানিয়েছেন, হঠাৎই সেদিন তাকে নাকি একজন ইমেইলে ১৫০টি ওয়াইনের চাহিদা জানিয়েছেন৷ আবার সেদিন জাপানে তাদের এক পরিবেশক ফোনে জানিয়েছেন – তাদের ওয়াইন, ‘ড্রপস অফ গড' নামে জাপানি বাজারে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ কেবল তখনই তিনি এর গুমরটি বুঝতে পেরেছিলেন৷

এর মাঝে অবশ্য এই মাঙ্গা কমিকের লোকজন ফ্রান্সে এসে সেই ওয়াইন কর্তার বাড়িতেই হাজির হয়েছিলেন৷ সেখানে তাদের সম্মানার্থে এক সন্ধ্যায় ১৯১৭ সালের ভিনটেজ ওয়াইনের ছিপি খোলা হয়েছিল৷ ওয়াইন তো সেই সন্ধ্যায় চেটেপুটে সবাই খেয়েছিলেনই, ফেরার পথে খালি বোতলটিও নাকি ‘স্মারক' হিসেবে পকেটে পুরেছিলেন!

এদিকে আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, শয়ে শয়ে বোতল বিক্রি আর তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েও কিন্তু ফরাসি সেই ওয়াইন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি পাস্কাল আমোরোও বিন্দুমাত্র খুশি হন নি৷ তারা যে ওয়াইনটি ১৮ ইউরো বা ২৪ ডলারে বিক্রি করেন৷ সেটি এখন হংকং এর বাজারে এক হাজার ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে!

এতে তাঁদের খুশি হওয়ারই কথা, অথচ তারা নাকি উল্টো জানিয়ে দিয়েছেন, খুব শিগগিরিই বাজার থেকে তাদের সব ওয়াইন তারা তুলে নেবেন৷ তারা চান না হুজুগে ভীড় তাদের এই ঐতিহ্য চাখুক৷ বরং এই ‘ড্রপস অফ গড' যেন সমঝদারের জিভে গিয়ে শান্তি পেতে পারে সে লক্ষ্যেই তাঁরা ওয়াইনের মজুদ রাখতে চান৷ কে জানে, আভিজাত্যের এমন অনেক রহস্যমাখা গুমরই বোধহয় পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ এটি তারই একটি৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ