‘জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কাঠামো এতই মজবুত যে, কখনোই তাদের জনপ্রিয়তা কমবে না বরং বাড়বে...৷' ডয়চে ভেলের ফেসবুকে এই মন্তব্য একজন পাঠকের৷ এছাড়া যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে-বিপক্ষেও নানা মন্তব্য জানিয়েছেন অনেক বন্ধু৷
বিজ্ঞাপন
জামায়াতে ইসলামী কোথায় টাকা পায় জানেন? এই প্রশ্ন পাঠক ইউসুফ মুজাহিদের৷ উত্তরটি অবশ্য তিনি নিজেই দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘সারা দিন কাজ করে যদি ১০০ টাকা কামায়, তাহলে সেখান থেকে ১০ টাকা জামাতকে দিয়ে দেয় তাদের কর্মীরা৷ আর ইসলামী ব্যাংককে টাকা দেওয়া লাগে না৷''
‘মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হলেও জামায়াতে ইসলামী শেষ হয়ে যাবে না' – এমনটা করেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ও টিভি টকশো'র সঞ্চালক গোলাম মোর্তোজা৷
ফেসবুকে মো. আশিক লিখেছেন, ‘‘সব অপরাধেরই বিচার একদিন না একদিন হয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘স্বাধীন দেশে ৪২ বছর পর যদি মিথ্যা সাক্ষী বানাইয়া যুদ্ধাপরাধী নামে বিরোধী রাজনীতির নেতাদের হত্যা করা হয়, ৫০ বছর পরে হইলেও একটা স্বাধীন দেশে গণহত্যার বিচার হবেই শেখ হাসিনা এবং তাঁর দুষ্ট সহযোগীদের৷''
আপিলেও বহাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি
অনেকের জন্য গত কয়েকটি দিন ছিল অধীর আগ্রহ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষার৷ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়৷ মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
৯টি অভিযোগ প্রমাণিত, চারটিতে মৃত্যুদণ্ড
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে৷ এর আগে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়৷ ৯টির মধ্যে চারটি অপরাধের জন্যয় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত৷ তবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন৷ বুধবার আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেই চার অভিযোগ
যে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো, চট্টগ্রামের কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠিাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের তিনজনকে, রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে এবং চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা করা৷
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/Getty Images
সাকা’র ছেলের দাবি
আপিলের রায় ঘোষণার পর সালাহদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (মাঝে) বলেন, ‘‘আমার বাবা একজন নির্দোষ মানুষ৷ আশা করি, একদিন না একদিন প্রমাণ হবে যে তিনি নির্দোষ৷’’
ঢাকার শাহবাগে আপিলের রায় ঘোষণার আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ৷ তাই ‘সাকার ফাঁসির আদেশ বহাল থাকছে’ – এই খবর পৌঁছানোর পর সেখানেও শুরু হয় আনন্দ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
‘সাকা’র শাস্তি না হলে জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হতো’
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘‘সাকা চৌধুরীর ফাঁসির এই রায় প্রত্যাশিত ছিল৷ এ শাস্তি না হলে পুরো জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হতো৷ এখন বাকি আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই রায় রাস্তবায়ন হবে৷’’ তিনি আরো জানান, ‘সাকা চৌধুরী একাত্তরে দেশে ছিলেন না’ – এমন বক্তব্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রহণ করেনি৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
আইনজীবীর আশা
তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন যে, রায়ের কপি পেলে তাঁরা রিভিউ আবেদন করবন৷ তিনি বলেন, ‘‘যেসব অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, আমরা আশা করি, রিভিউ-এর মাধ্যমে সেগুলো থেকে সাকা চৌধুরী খালাস পাবেন৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
7 ছবি1 | 7
‘‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে যে, জামায়াতের ভোট তারা পাবে, তবে ভুল৷ যতদিন জামায়াত ভিন্ন নামে না আসবে, ততদিন জামায়াতের ভোট বিএনপির বাক্সে জমা হবে৷'' – এ মন্তব্য মো. জাহাঙ্গীরের৷
তানভীর হোসেন মনে করেন, ‘‘যুদ্ধপরাধের বিচার শেষ হয়ে গেলে বিচার শুরু হবে পরবর্তী প্রজন্মের, তখন খুন হত্যা আর ধর্ষণের মামলায় বিচার হবে আওয়ামী লীগের৷ আমার জানা মতে খুন ও ধর্ষণে ছাত্র রাজনীতিকদের মধ্যে ছাত্রলীগ যতখানি এগিয়ে, তার খুব সামান্য অংশও শিবিরের মধ্যে নেই৷ তবুও বিভিন্ন বাহানায় তাদের হত্যা, জেল-জুলুম চলছে! আমার অনুরোধ, বিচারকে বিচারের জায়গায় নিয়ে সকলের জন্য সমান অধিকার দেওয়া হোক৷''
‘‘পুরো লেখাটি পড়ে বোকা বনে গেলাম৷ একই সঙ্গে মাহমুদুল হক মুন্সীকে ধন্যবাদ আমাকে এটি বুঝতে সাহায্য করার জন্য কিভাবে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাতে হয়৷ এতদিন ভাবতাম, বিএনপি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটায়? আজ মুন্সী সাহেব হাতে-কলমে বিএনপির কাজটি দেখিয়ে দিলেন৷ ‘যে আমি ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে ‘ইভেন্ট' খুলে আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম, সরে আসি সেই সন্তানকে ত্যাগ করে৷' – এই বাক্যটি পড়ে আমাকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ডয়চে ভেলের সম্পাদকীয় নীতিটি আসলে কী!....যাচাই-বাছাই না করে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় এবং দায়ত্বশীল গণমাধ্যম এ ধরনের মিথ্যাচারকে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে? আপনি কোন ইভেন্টটি খুলেছিলেন? ইতিহাস আপনি ভুলে গেলেও মাত্র তিন বছর আগের ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি৷ ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের আহবায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন বেলা ১২:১৭ মিনিটে৷ সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশটটি আমার কাছে আছে, কিন্তু এখানে কমেন্ট অপশনে ছবি যোগ করা যায় না, তাই সেটি এখানে আপলোড করতে পারলাম না৷ একই দিনে রাজাকার কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের প্রতিবাদে এবং সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সকলকে শাহাবাগে আসার আহবান জানিয়ে একটি ইভেন্ট খোলা হয় ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের (বোয়ান) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে৷ ২০১৩ সাল থেকে আজ অবধি কখনোই আপনি বোয়ান-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন ছিলেন না, এ কথা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি৷ আপনি ছিলেন, এই মর্মে কোনো প্রমাণ যদি আপনার কাছে থাকে, তবে তা দেবেন, না হলে ইতিহাস নিয়ে এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের জন্য আরেকটি লেখা দিয়ে ক্ষমা চাইবেন৷''
ডয়চে ভেলের তরফ থেকে এটুকুই বলতে পারি, ‘আলাপ' কিন্তু আপনাদেরই পাতা৷ আপনারা প্রতি সপ্তাহে একটি ‘ট্যাবু' বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করতে পারেন৷ বিষয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্নও করতে পারেন৷ লেখাটি ব্লগপোস্ট হলে, আশা করবো লেখক নিজে আপনাদের উত্তর দেবেন৷
মুজাহিদের ফাঁসি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে বুধবার (১৭.০৭.১৩) ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
‘আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে’ মৃত্যুদণ্ড
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির রায় দিয়েছেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২৷ বুধবার (১৭.০৭.১৩) দেওয়া রায়ে তাকে ‘আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে’ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Kumar Dey
আমৃত্যু কারাদণ্ড
মাত্র দু’দিন আগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নব্বই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১৷ বয়স বিবেচনায় এনে আযমকে মৃত্যুদণ্ড দেননি আদালত৷
ছবি: Nashirul Islam/AFP/Getty Images
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ এবং সেসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দুই লাখের মতো নারীকে ধর্ষণ করেছে৷ তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, মুক্তিযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ প্রাণহানি হয়েছিল৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷
ছবি: AP
আলবদর কমান্ডার
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে আলবদর বাহিনী গঠন করে হত্যা, গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ধর্ষণ ও লুটতরাজসহ পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে৷ ২০১০ সালের ২৯শে জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Stringer
‘‘মানুষ হত্যা করেছেন মুজাহিদ’’
যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মুজাহিদ শুধু বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং গণহত্যার পরিকল্পনাকারীই ছিলেন না, তিনি নিজেও সরাসরি গুলি করে মানুষ হত্যা করেছেন৷ ফরিদপুর এলাকায় তার নৃশংসতার সাক্ষী এখনো আছে৷’’ এই রায়ে সন্তুষ্ট বাদল৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: AP
ফেসবুক প্রতিক্রিয়া
ওয়াসেক বিল্লাহ সৌধ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এই রায় মানি৷’’ আর শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘‘যে যাই বলুন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমি শতভাগ তৃপ্ত না হলেও এ পর্যন্ত যা পেয়েছি তাতেও আমি অনেক খুশি৷’’ তবে তপু হোসেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এটা ভুয়া রায়... মানিনা মানবো না৷’’
ছবি: Reuters
‘‘এটি প্রহসনের রায়’’
জামায়াতে ইসলামী এই রায় ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে৷ মুজাহিদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এটি প্রহসনের রায়৷ রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি৷’’ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান ইসলাম৷
ছবি: Reuters
দুই দিনে নিহত ৯
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ১৫ ও ১৬ জুলাই সহিংসতায় কমপক্ষে নয় ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে৷ জামায়াতে ইসলামী এই সময় হরতাল পালন করেছে৷ মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে চার ব্যক্তি৷ আর সোমবার পাঁচ ব্যক্তি৷ দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশ করেছে এই তথ্য৷
ছবি: Reuters
ট্রাইব্যুনালের ষষ্ঠ রায়
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে এই রায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ষষ্ঠ রায়৷ এর আগে ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদকে ফাঁসি, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসি, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি এবং সর্বশেষ সোমবার গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, সরকার বিরোধী দলকে দুর্বল করতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷