‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে'
৭ অক্টোবর ২০১৬
বাংলাদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জঙ্গিবাদ বাড়ার আশঙ্কা কতটা বা দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে বা নিষিদ্ধ করা সম্ভব কিনা, এসব প্রশ্নে ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাতায় নানা মন্তব্য উঠে এসেছে৷
বিজ্ঞাপন
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা নাকি চরমপন্থা অবলম্বন করতে পারে এবং এতে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন পাঠক ‘সূর্য শিশির'৷ তাঁর মতে, জামায়াতকে স্বাভাবিক রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া উচিত৷ তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘আমরা দেখেছি তাদেরকে যখন শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ বা মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হয় তখন তারা কিন্তু পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়৷ আর যখন তাদের উপর বল প্রয়োগ করা হয় তখন তাদের সহিংসতা বৃদ্ধি পায়৷ অতএব তাদেরকে গনতান্ত্রিক স্পেস দেওয়া উচিত৷''
অনেকটা একই রকম মত সোলায়মান সুমনের৷ তাঁর ধারণা, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বাড়বে৷ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড চলে যাবে৷ সেখান থেকেই অন্য সন্ত্রাসীদের মদদ দেবে এবং নিজেরাও একই কাজে নিয়োজিত হবে৷ ফলস্রুতিতে সন্ত্রাস বাড়বে, বাড়তেই থাকবে৷''
তবে খান রাহাত মনে করেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে না৷ এ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য এরকম, ‘‘আর যা-ই হোক আত্নগোপনে যাবে না, কারণ যারা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড' দল, তাঁদের অর্থের জোগানো হয় ‘আন্ডারগ্রাউন্ড' থেকেই৷ কিন্তু জামায়াত তাঁদের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক-বীমা-ব্যবসা-বানিজ্য ছেড়ে ছুঁড়ে আত্নগোপনে চাইলেও যেতে পারবে না৷ ওরাও মানুষ ওদেরও ঘর-সংসার-বউ-বাচ্চা-মা-বাবা আছে, সেজন্যে জামায়াতের মতো ব্যবসায়িক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলে তাঁরা আত্নগোপনে যাবে এইটা অমুলক ভাবনা৷ তাহলে ওরা নিশ্চিতভাবেই তাঁদের সবচেয়ে কাছের ‘প্রিয় পাত্র' বিএনপির কাঁধেই ‘ভর' করবে এবং শিক্ষা ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে জামায়াতিরা বিএনপির চেয়ে অনেক দক্ষ৷''
১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে উপমহাদেশে জামায়াতে ইসলামীর যাত্রা শুরু হয়৷ দলটির প্রতিষ্ঠাতা সায়েদ আবুল আলা মওদুদী৷ এরপর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর গঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান৷ বাংলাদেশ অংশের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী, যার প্রধান ছিলেন গোলাম আযম৷ ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হয়৷ তবে কয়েকমাস পরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল৷
ছবি: Jamaat-e-islami.org
সুবিধাবাদী দল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক মামুন আল মোস্তফা সম্প্রতি এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘‘১৯৪১ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান সুবিধা পেলেই বদলে ফেলেছে জামায়াত৷’’ তিনি বলেন, অন্য অনেক দলের মতোই যেখানে লাভ দেখেছে, বিনা দ্বিধায় সে পথে গেছে দলটি৷ ‘‘জামায়াত পাকিস্তানের বিরোধিতা করলেও ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব পাকিস্তানে চলে যায়৷’’ আরও জানতে ক্লিক ‘+’৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/Z.H. Chowdhury
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে জাময়াতে ইসলামী৷ শুধু বিরোধিতা নয়, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আছে দলটির বিরুদ্ধে৷
ছবি: National Monument of Savar
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, তারপর আবার...
স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হয়৷ তবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে সক্রিয় হয়৷ ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান সুযোগ করে দিলে ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামে জামায়াত কাজ শুরু করে৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পালিয়ে যাওয়া গোলাম আযম ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে ফিরে এলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে কাজ শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/epa/Ahmad Fayyaz
নির্বাচনি রাজনীতিতে জামায়াত
জামায়াত বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেয় ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে৷ সেই বার তারা ১০টি আসন পায়৷ এরপর ১৯৯৬ সালে ৩টি, ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করে ১৭টি আর ২০০৮ সালে দু’টি আসন লাভ করে৷ এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জামায়াতের দু’জন নেতা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল গঠন
নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২৫শে মার্চ যুদ্ধাপরাধের বিচারে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার৷ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াত নেতাদের দণ্ড ছাড়াও দলটিকেও যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: AP
মীর কাসেমের ফাঁসি বড় ধাক্কা
যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্য জামায়াত সবসময়ই সক্রিয় ছিল৷ এ লক্ষ্যে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিচার বন্ধ ও জামায়াত নেতাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করা হয়৷ এই কাজের নেতৃত্বে ছিলেন মীর কাসেম আলী৷ তিনি মূলত জামায়াতের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখভাল করতেন৷ মীর কাসেম আলির ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জামায়াতের অর্থনৈতিক ভিত্তিতে আঘাত লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, দল নয়
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে৷ ফলে দলটি এখন আর দলীয়ভাবে এবং দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না৷ তবে দল হিসেবে জামায়াত এখনও বৈধ একটি রাজনৈতিক সংগঠন৷
ছবি: DW
নতুন আমির কে হচ্ছেন?
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ বর্তমানে মকবুল আহমেদই দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
আর জামায়াত সম্পর্কে পাঠক সালেক মোহাম্মদ লিখেছেন, ‘‘হাইকোর্ট জামাতকে সন্ত্রাসী দল বলেছে৷ জামাতকে তৈরি করার জন্য ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান একজন পুলিশ অর্থ ও সম্পদ দিয়েছিল৷ বর্তমানে জামাতের শক্তির উৎস হলো পাকিস্তান, যার পিছনে মদতদাতা সৌদি আরব, ব্রিটেন ও আমেরিকার মতো বিশ্ব শক্তি৷ সুতরাং হাসিনা ও তাঁর প্রভু ভারতের পক্ষে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও ধ্বংস করা খুব সহজেই সম্ভব না বলেই আমি মনে করি৷''
অন্যদিকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে সন্ত্রাস কেন বাড়বে তা বোঝাতে গিয়ে আহসান হাবিব বলছেন, ‘‘ অবশ্যই বাড়বে, কারণ, একটা মতবাদকে যখন জনগণের বিশাল একটা অংশ গ্রহণ করে নেয়, তখন সেটা গায়ের জোরে নিষিদ্ধ করতে গেলে তারা সন্ত্রাসের পথে পা বাড়াতে পারে৷ গনতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো বিভিন্ন মতাদর্শের সহাবস্থান, সংঘাত নয়৷''
তবে বিপরিত মত পোষণ করেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আকাশ ইকবাল৷ তিনি মনে করেন জামায়াত নিষিদ্ধ হলে ভালোই হবে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘জামায়াত নিষিদ্ধ হলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বাড়বে না, বরং কমবে, সেটা আমি মনে করি৷ জামায়াত জঙ্গিবাদীদের উৎসাহ দিচ্ছে তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে৷ বর্তমানে জামায়াত কিংবা ছাত্র শিবিরের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িত হচ্ছে৷ তাছাড়া এই পর্যন্ত যত জন জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের অনেকের সাথে জামায়াতের সাথে সোগাযোগ রয়েছে৷''
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আকাশ ইকবাল লিখেছেন, ‘‘জামায়াতকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে, কারণ, জামায়াত দেশের শত্রু, তারা সব সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে, মুক্তি যুদ্ধের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে৷''
জামায়াত বা শিবির নিষিদ্ধ হলে কিন্তু পাঠক মাহফুজ রহমানের কোনো আপত্তি নেই, বরং তিনি চান পাশাপাশি ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ করা হোক৷
ভিন্ন কথা জানাচ্ছেন কাজি মানিক৷তাঁর মতে, বাংলাদেশ যা কিছুই ঘটে, তার সবই নাকি বাইরের অর্থাৎ বিদেশের ইশারায় ঘটে৷
ধর্মের নামে মন্দির, মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় হামলা
প্রাচীন স্থাপনা ও অমুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করে চলেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ মসজিদের ওপরও হামলা হয়েছে৷ উপমহাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ইতিহাসও দীর্ঘ৷ ধর্মের নামে এমন ধ্বংসের ‘খেলা’ থামবে কবে?
ছবি: Reuters
মালিতে ধ্বংসলীলা
এক সময় মালির টিমবাকটু শহরের অন্য নাম ছিল ‘মরুদ্যানের মুক্তা’৷ সেই শহরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেই চলেছে সেখানকার ইসলামি জঙ্গি সংগঠন৷ ২০১২ সালে শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলমানদের গড়া অনেক স্থাপত্য নিদর্শনও ধ্বংস করেছে তারা৷ সম্প্রতি শহরটিকে জঙ্গিদের কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত করার দাবি করেছে মালির সেনাবাহিনী৷
ছবি: Getty Images/AFP
সন্ত্রাসপ্রীতি এবং জ্ঞানভীতি
শুধু স্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনই নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপিও ধ্বংস করেছে জঙ্গিরা৷
ছবি: DW/P. Breu
তথাকথিত আইএস-এর হামলা
সিরিয়ার পালমিরা শহরের প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো স্থাপনাগুলোও রেহাই পায়নি৷ সে দেশে চলছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর ধ্বংসযজ্ঞ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পালমিরার মন্দির ধ্বংস
এক সময় সিরিয়ার হোমস নগরীর এই স্থাপনাটিকে নিয়ে গর্ব করত সিরিয়া৷ এটি এক সময় ছিল মন্দির৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন এই উপসনালয় দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ হতেন৷ আইএস-এর হামলায় স্থাপনাটি এখন ক্ষতবিক্ষত৷
ছবি: Reuters/Stringer
ধ্বংস যখন প্রচারণার হাতিয়ার
ধর্মীয় সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক সহাবস্থানকে হুমকির মুখে দাঁড় করানোর চেষ্টায় আইএস অক্লান্ত৷ নৃশংসতা, বর্বরতা ক্রমেই আইএস-এর প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠছে৷ এভাবে পেট্রল ঢেলে স্থাপনা পোড়ালে সংবাদমাধ্যম লুফে নেয় খবর, খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে তথাকথিত জঙ্গিরাও পেয়ে যায় তাদের কাঙ্খিত প্রচার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
আয়ের উৎস
সিরিয়া ও ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ শুধু ধ্বংসই করে না, অনেক সময় কদর বুঝে সেগুলো চোরাপথে চড়াদামে বিক্রিও করে আইএস৷ প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছ থেকেও অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ আছে আইএস-এর বিরুদ্ধে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/IS/Internet
আফগানিস্তানে তালেবান বর্বরতা
আফগানিস্তানের এই বৌদ্ধ মন্দিরটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো৷ ২০০১ সালে হামলা চালিয়ে এটি প্রায় ধ্বংস করে দেয় তালেবান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Ahmed
আফ্রিকায় হামলার শিকার মসজিদ
মসজিদও অনেকক্ষেত্রে তথাকথিত ধর্মীয় উন্মত্ততার শিকার৷ ২০১৫ সালে মুসলমানদের উপাসনালয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলার খবর আসে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান থেকে৷ খ্রিষ্টান-মুসলিম দাঙ্গায় সেখানে অন্তত ৪১৭টি মসজিদ আংশিক অথবা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করা হয়৷
ছবি: ISSOUF SANOGO/AFP/Getty Images
গির্জায় হামলা
ইসলামি জঙ্গিরা আফ্রিকা অঞ্চলে গির্জাতেও প্রায়সময়ে হামলা চালায়৷ হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে৷ ওপরের ছবিটিতে কেনিয়ার এক গির্জায় হামলার পরের দৃশ্য৷
ছবি: dapd
ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের ইতিহাসের ‘কালো দিন’৷ ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার বাবরি মসজিদে সেদিনই হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে হিন্দু মৌলবাদীরা৷ মুঘল সম্রাট বাবরের নামে গড়া সুপ্রাচীন এই মসজিদের ওপর হামলার ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
বাংলাদেশে প্রতিবছরই মন্দিরে হামলা
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মূলত একাত্তরের মুক্তযুদ্ধের সময় থেকেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুরা হামলা, নির্যাতনের শিকার৷ তবে মন্দিরে মুর্তি ভাঙা, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অসংখ্য ঘটনা ঘটে প্রতিবছর৷ বৌদ্ধ মন্দিরেও হামলা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলার কারণ ধর্মীয় উগ্রতা৷ সারা বিশ্বে ধর্মের নামে ধর্মীয় উপাসনালয় বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা থামবে কবে?
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
আর এম এ হাসান যেন একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলছেন, ‘‘জামায়াত বাংলাদেশে বিলীন হয়ে গেছে ৷বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিকে ঘৃনা করে৷''
আর খুব জোর দিয়ে ফেসবুকে মো. ইসরাফিল লিখেছেন, ‘‘জামায়াত ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নয়৷ এদেশে গণতন্ত্র যাহা আছে তাহা জামায়াতেই আছে৷ তাই জামায়াতের উপর আরো যত অত্যচার আর নির্যাতনই করা হউক না কেন, যেই নামই দেওয়া হোক না কেন,এই ধরনের একটি দল কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে৷'' এক্ষেত্রে তিনি মিশর, তুরুস্ক, তিউনিসিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন৷
‘‘নিষিদ্ধ করলে কিছুই হবেনা, জামায়াত আবার নতুন নামে আসবে৷'' ডয়চে ভেলের ফেসবুকে এই মন্তব্য পাঠক জাকিরের৷
তবে ডয়চে ভেলের পুরনো বন্ধু এসএমএ হান্নান মনে করেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জঙ্গিবাদ বাড়বেনা, তবে বিএনপির দল ভারি ও শক্তিশালী হবে৷
আর মাহবুব খান, মো.রানা, বিলাল আহমেদ, রাজা, মাসুম, রায়হান, নয়ন স্যাম, সবুজ সিরাজ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন পাঠকের দৃঢ় বিশ্বাস যে জামায়তকে নিষিদ্ধ করা যাবেনা৷