1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

শুক্রবার জুম্মার নামাজকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে ১২টি সমমনা ইসলামি দল ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে৷ হামলার জন্য দায়ী জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ১২টি ইসলামি দল রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷

Police throw teargas during a clash with activists from 12 Islamist parties in Dhaka February 22, 2013. One person has died and over 100 people were injured, including journalists and policemen, as different Islamist organisations clashed with police and pro-government activists all over the country after Friday prayers. Some Islamist groups called for nationwide rallies demanding the punishment of the "anti-religious" bloggers of the Shahbagh movement, they were also protesting against the ban on Islamist political outfits, which they termed as a "conspiracy", local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST RELIGION)
ছবি: Reuters

শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবেই সহিংস অ্যাকশনে গেল জামায়াত-শিবির ও তাদের সহযোগীরা৷ ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে কথিত কটূক্তির কথা বলে তাদের ভাষায় ‘মুরতাদ-নাস্তিকদের' ফাঁসির দাবিতে আগেই শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কর্মসূচি দেয়৷ আর আজ জুম্মার নামাজের আগেই তারা তাণ্ডব শুরু করে৷

দুপুর ১২টার পর পরই ঢাকার বায়তুল মেকাররম জাতীয় মসজিদে তারা সমবেত হয়ে উস্কানিমুলক স্লোগান দেয় এবং পুলিশকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে৷ পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে মসজিদের বাইরের গেট আটকে দিলে তার গেট ভেঙে সামনের রাস্তায় চলে আসে৷ হামলা চালায় সাংবাদিকদের ওপর৷ পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ৷ এখানে ৫ জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন৷

শাহবাগ বিরোধীরা ইটপাটকেল ছাড়াও হাতবোমা এবং ককটেল ছুড়ে মারে৷ এরপর তাদের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের গোলাগুলি৷ তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের দিকে এগোতে থাকলে সংঘর্ষ পল্টন হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে৷ ককটেল, গুলি আর টিয়ার গ্যাসের সেলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়৷

প্রায় একই সময়ে ঢাকার কাঁটাবনে শাহবাগ বিরোধীরা রাস্তায় নামে৷ তারাও শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে৷ সেখানেও পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ আহত হন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা৷

জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নানা নামে, নানা ব্যানারে ঢাকার কারওয়ান বাজার , মিরপুর, চানখারপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নাশকতার চেষ্টা করে৷ পুলিশ জানায়, তাদের এই নাশকতার ষড়যন্ত্রের খবর তারা আগেই জানতে পেরেছিলেন৷ কিন্তু নামাজ শুরুর অনেক আগেই তারা বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে পড়ে৷

বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় জামায়াতের হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আলী আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, জামায়াত-শিবিরের এই হামলা পরিকল্পিত৷ তারা আগে থেকেই হামলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল৷

দুপুর ১২টার পর পরই ঢাকার বায়তুল মেকাররম জাতীয় মসজিদে তারা সমবেত হয়ে উস্কানিমুলক স্লোগান দেয়ছবি: AFP/Getty Images

ঢাকার বাইরে চট্টগামের প্রেসক্লাবে হামলা হয়েছে৷ তাদের হামলায় পুলিশ এবং সাংবদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন৷ বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, চাঁদপুরে গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালায় তারা৷ হামলা চালায় সিলেট শহীদ মিনারে৷ সেখানে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ গাইবন্ধায় ২ জন এবং ঝিনাইদহে জাগরণমঞ্চ বিরোধীদের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন৷

এদিকে এই তাণ্ডবের পর শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে লোকজন আবার ভিড় করতে শুরু করেছেন৷ তারা দাবি তুলেছেন, কোন নির্দিষ্ট সময় নয় – দিন রাত, ২৪ ঘণ্টা তারা এখানে অবস্থান করতে চান৷ হামলাকারী জামায়াত সহ ১২টি ইসলামি দল রোববার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ