সহিংসতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
১৭ নভেম্বর ২০১২সেক্টর কমান্ডাররা বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি জামায়াত-শিবিরের এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত না করতে পারে, তাহলে মুক্তিযোদ্ধারাই নিজের হাতে তা করবে৷ আর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যুদ্ধপরাধের বিচার যারা বানচাল করার চক্রান্ত করছে, তারাও একই অপরাধে অভিযুক্ত৷
দেশ জুড়ে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং যুদ্ধপরাধীদের বিচার দ্রুত করার দাবিতে যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে মানববন্ধন করেছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম৷ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে৷ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেছেন, জামায়াত-শিবিরের এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি এদের প্রতিহত করতে না পারে, তাহলে মুক্তিযোদ্ধারাই নিজের হাতে তা করবে৷
আরেকজন সেক্টর কমান্ডার ও পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেছেন, তারা সারাদেশে ঘুরে জনমত সৃষ্টি করবেন, যাতে দেশের মানুষ জানতে পারে এদের বিচার হওয়া প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, বিচারের পর তাদের শাস্তিও নিশ্চিত করা হবে৷
মানববন্ধনে যোগ দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানও বলেন, তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই৷ তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াত-শিবিরকে ছাড় দিলে আমরাও আপনাদের ছাড় দেব না৷ তিনি বলেন, যুদ্ধপরাধের বিচার যারা বানচাল করার চক্রান্ত করছে তারাও একই অপরাধে অপরাধী৷
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক রীতি-নীতি ভঙ্গ করে যে সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে সরকারকে শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলেই হবে না, আইনগত ব্যবস্থাও নিতে হবে৷
আর আইন মন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, জামায়াত-শিবির যে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে, তার জন্য সমগ্র জাতির তাদের ধিক্কার জানানো উচিৎ৷ তিনি বলেন, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তাদের মার্জনা করার সংস্কৃতিতে এই সরকার বিশ্বাস করে না৷ তাদের বিচার হবেই৷