1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমরণ অনশন চলছে

২৯ মার্চ ২০১৩

দাবি একটাই, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে৷ এই দাবিতে ২৬শে মার্চ রাত থেকে একদল তরুণ শুরু করেছেন আমরণ অনশন৷ তাঁরা রাজনীতি বোঝেন না, শুধু বোঝেন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে৷ সেটা যেভাবেই হোক৷

ছবি: Soumik Kundu

২৬শে মার্চ রাত সাড়ে দশটা থেকে ঊনত্রিশে মার্চ দুপুর দু'টো পর্যন্ত হিসাব করলে হয় প্রায় ৬০ ঘণ্টা৷ সাত তরুণ এই পুরোটা সময়ই অনশন পালন করেছেন৷ এতটুকু পড়ে ভেবে বসবেন না, শুক্রবার দুপুর দুটোয় বুঝি তাঁরা অনশনে ইস্তফা দিয়েছেন৷ মোটেই না, বরং এই সময় ডয়চে ভেলেকে একান্ত সাক্ষাৎকার প্রদান করেন অনশনরতদের একজন৷ তাঁর নাম সাদাত হাসান নিলয়৷ ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড'-এর আহবায়ক তিনি৷ এই তরুণ জানালেন, ‘‘তাদের অনশনে কর্মসূচিতে আরো কয়েকজন যোগ দিয়েছেন৷ রাজশাহী থেকে আজ (শুক্রবার) সকালে শাহবাগে এসেছেন গৃহিনী সুমি৷ যোগ দিয়েছেন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশনে৷''

ইতোমধ্যে মানিক সূত্রধর নামের এক অনশনকারীর অবস্থা বেশ কাহিল হয়ে পড়েছে৷ তাঁকে অনশনস্থলের কাছেই অবস্থিত বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও এখনো (শুক্রবার দুপুর অবধি) অনশন ভাঙতে রাজি হননি সূত্রধর৷ তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে৷ নিলয় নিজেও অনশন করছেন ২৬শে মার্চ রাত থেকে৷ তবে তাঁর উপর ধকল একটু বেশি যাচ্ছে৷ স্কোয়াডের আহবায়ক হিসেবে নিয়মিত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে তাঁর৷ অনশনরত অবস্থায় কাজটি কষ্টের৷

জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশন চলছে

This browser does not support the audio element.

নিলয় টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার চাইলে অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে পারে৷ রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই সেটা করা সম্ভব৷ আমরা চাই, সরকার দ্রুত এই পন্থায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করুক৷''

‘শহীদ রুমী স্কোয়াড'-এর এই আমরণ অনশন শুরুর পর বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল৷ অনেকে বলতে শুরু করেন, শাহবাগের আন্দোলন বিভক্ত হয়ে গেছে৷ গণজাগরণ মঞ্চের ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচিতে অনশনের বিষয়টি নেই৷ এখন আলাদাভাবে অনশন কর্মসূচি হচ্ছে বিভক্তির প্রকাশ৷

কিন্তু স্কোয়াডের সদস্যরা এই বিভ্রান্তির জবাব দিয়েছেন শক্তভাবে৷ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গণজাগরণের দাবিকে আরো বেগবান করতেই এই অনশন তাদের৷ গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে তাদের কোন বিরোধ নেই৷ মঞ্চের আহবায়ক ইমরান এইচ সরকারও অনশনরত তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷ তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন৷ ফলে আন্দোলনরত তরুণরা এখন আরো উদ্দীপ্ত৷

অনশনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে আসছেন অনেকেইছবি: Soumik Kundu

নিলয়রা রাজনীতি বোঝেন না৷ তবে এতটুকু বোঝেন, ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ইস্যুটি ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ তাই রাজনৈতিক দলগুলো এই ইস্যুটিকে মানবিকতা বা নৈতিকতার দিক থেকে বিবেচনা করছে না৷ নিলয়ের ভাষায় ‘রাজনীতির এই খেলার' অংশ নয় ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড'৷ ফলে অনেক সংবাদমাধ্যম তাদের এই অনশন কর্মসূচির খবর তেমন একটা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে না৷

সংবাদমাধ্যমে নিলয়দের অনশনের খবর গুরুত্ব না পেলেও আমজনতার মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগে কিন্তু এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে৷ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এই অনশন কর্মসূচিকে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন৷ এমনকি বিদেশে অবস্থানরত কেউ কেউ এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনশন করছেন৷ ফেসবুক জানাচ্ছে সেসব খবর৷ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আরো জানাচ্ছে, নিলয়দের পাশে আছেন অনেকে৷ বিশেষ করে যারা শুধুমাত্র ‘মানবিক এবং নৈতিক দিক' বিবেচনা করে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চান, তারা৷

সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ