1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতের সঙ্গে টানাপোড়েন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ এপ্রিল ২০১৪

বিএনপি এখন ঘর গোছানোর দিকেই মনযোগী৷ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে এক ধরণের দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাদের৷ তাই জুনের আগে সরকারবিরোধী কোনো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি৷

ছবি: picture-alliance/dpa

গত ৫ই জানুয়ারির এক তরফা নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি ১৮ দলীয় জোটভূক্ত ইসলামী দল, বিশেষ করে জামায়াতের সঙ্গে এক ধরণের দূরত্ব বাজায় রাখছে৷ তাই নির্বাচনের পর জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য কোনো সাংগঠনিক বৈঠকও হয়নি বিএনপির৷ বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে এককভাবে৷ নির্বাচনের আগে সহিংস সরকার বিরোধী কর্মসূচি এবং মৌলবাদকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যাপক সমালোচনা করায় বিএনপির এই নিরাপদ দূরত্ব৷

উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই দূরত্ব আরো বেড়েছে৷ কারণ জামায়াত অনেক জায়গায় বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা উপেক্ষা করে প্রার্থী দিয়েছে৷ চেয়ারম্যান পদে তো বটেই, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের প্রার্থী দেয়ার প্রবণতা ছিল সবচেয়ে বেশি৷ যা জামায়াতকে উপজেলা নির্বাচনে সাফল্যও এনে দিয়েছে৷ এ নিয়ে নির্বাচন চলাকালে জামায়াতকে সমঝোতার কথা মনে করিয়ে দিলেও, তা আমলে নেয়নি জামায়াত৷ ফলে রুষ্ট হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড৷

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলের কাছে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্বের কথা স্বীকার করেছেন৷ তাঁর কথায়, এই দূরত্ব জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে৷ তবে তারা জোটে আছেন এবং সাংগঠনিকভাবে সম্পর্ক ঠিকই আছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘ ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর জোটের কোনো বৈঠক হয়নি৷ সে কারণে জামায়াতের সঙ্গেও কোনো বৈঠক হয়নি৷''

৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাজায় রাখছেছবি: Nashirul Islam/AFP/Getty Images

এদিকে জোটের অন্য ইসলামিক দলগুলোও এখন নিষ্ক্রিয়৷ হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা আহমেদ শফির অনুসারী যেসব দল ১৮ দলীয় জোটে আছে, তারও নিষ্ক্রিয়৷ এছাড়া গত সপ্তাহে আহমেদ শফি প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু৷

উপজেলা নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলনের কথা বলা হলেও, এ অবস্থায় বিএনপি আপাতত সরকারবিরোধী বড় কোনো আন্দোলনে যাচ্ছে না৷ খালেদা জিয়ার কথাতেও তা স্পষ্ট৷ আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘দল শক্তিশালী না হলে বড় কোনো আন্দোলন সফল হয় না৷ তাই দলকে গোছানোর ওপরই খালেদা জিয়া এখন জোর দিচ্ছেন৷ বিশেষ করে জেলা-উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে দল গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে৷'' তিনি জানান, ‘‘জুনের পরে জাতীয় কাউন্সিল হতে পারে৷ এরপরই হয়ত কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি৷''

ওদিকে জামায়াতও আপাতত সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনের কথা ভাবছে না বলে জানা গেছে৷ তারা যদি নতুন করে চরম কোনো বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে, তাহলে আপাতত চুপচাপই থাকতে চায় তারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ