1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়েতের অপপ্রচারের নতুন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে: ইত্তেফাক

৭ জুলাই ২০১০

জামায়াতের তৈরি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় আওয়ামী লীগের ৭৭ জন নেতার নাম রয়েছে৷ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে মন্তব্য করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ৷

Matiur Rahman Nizami
জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীছবি: Mustafiz Mamun

দৈনিক ইত্তেফাক'এর ইন্টেরনেট সংস্করণের একেবারে শীর্ষে বেশ চাঞ্চল্যকর একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ জামায়াতের প্রচারণা কার্যক্রমের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অপপ্রচার চালানোর নানা তথ্য প্রমাণ জব্দ করেছে৷ ইত্তেফাক লিখছে, ‘‘জামায়াতের তৈরি করা যুদ্ধাপরাধীদের একটি তালিকা রয়েছে, যাতে আওয়ামী লীগের ৭৭ জন নেতার নাম রয়েছে৷ আওয়ামী লীগের এই নেতাদের ছবিসহ পোস্টার ছাপিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার কথা অপচেষ্টা চালাচ্ছিল৷''

দৈনিক ইত্তেফাক'এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘‘রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের গাড়ি বহরে হামলা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হয়েছিল বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রমাণ পেয়েছেন৷ গ্রেফতারকৃত জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রাষ্ট্রপতির গাড়িবহরে হামলার মামলা, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচার মামলা, নিজামী শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে পতেঙ্গা সার কারখানা থেকে ১১৮২ টন রক সালফার পাচার হওয়ার ঘটনা, জেএমবি সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনা নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বের এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ তবে অধিকাংশ প্রশ্নের জবাবদান থেকে তারা বিরত থাকে৷

দৈনিক কালের কণ্ঠ'এর সম্পাদকীয়র শিরোনাম ‘আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ!'৷ ঐ সংবাদপত্র লিখেছে, ‘‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবার হানাহানি৷ আবার শিরোনাম হলো ছাত্রলীগ৷ আওয়ামী লীগের একসময়ের অঙ্গসংগঠন, এখন সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আবার রক্তাক্ত হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়৷ ছাত্র-রাজনীতির নামে যে সন্ত্রাসী তৎপরতা এখন চলছে, তা নতুন নয়৷ সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে অতীতেও ছাত্র-রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৎপরতা লক্ষ করা গেছে৷ নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরস্পরবিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো একে অন্যের ওপর চড়াও হয়েছে৷ এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক সাধারণ ছাত্রের করুণ মৃত্যুর ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই ছাত্রলীগের ওপর চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ কিন্তু ছাত্রলীগ যেন অরাজকতা সৃষ্টির লাইসেন্স নিয়ে ফেলেছে৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিছু দিন আগে বলেছেন, ছাত্রলীগের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না৷''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ