1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামিন পাননি ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডি

১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন আবেদন বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷ তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেয়া হয়েছে৷

Bangladesch Gerichtshof in Dhaka
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

ডেসটিনির দুই কর্ণধার রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন জামিন পাননি৷ এর ফলে জেলেই থাকতে হবে তাদেরকে৷ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছে৷

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জামিনের জন্য ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর তাদেরকে দুইটি শর্ত দিয়েছিল আপিল বিভাগ৷ ডেসটিনির ট্রি প্ল‌্যান্টেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে অথবা অন‌্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ২৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয় তাদেরকে৷

২০১৭ সালে তারা এই শর্ত পরিবর্তনের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন যা আদালত খারিজ করে দেয়৷ শর্ত পূরণ না করেই আবারও তারা জামিন আবেদন করেছিলেন৷ দুদকের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘‘শর্ত পূরণ না করে এখন তারা আবার জামিন চাইলেন৷ আমরা তার বিরোধিতা করেছি৷ আদালত জামিন আবেদন খারিজ করেছে৷’’

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে দুদক৷ ২০১৪ সালের ৫ মে দেয়া হয় অভিযোগপত্র৷ দুইটি মামলায় মোট ৬৫ জনকে আসামি করা হয়৷ আসামিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. দিদারুল আলম ও  মো. জিয়াউল হক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রি প্ল‌্যান্টেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে৷ এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়৷ যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী৷

অন্যদিকে মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রকল্পের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল, যার ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকাই আত্মসাৎ করা হয়৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী৷

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করে পরে তা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করতেন৷ ৩৪ টি ব্যাংকে এমন ৭২২ টি হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুদক৷

উল্লেখ্য ২০০০ সালে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির৷ সেসময় তাদের ব্যবসা ছিল মাল্টিলেভেল মার্কেটিং৷ এক দশকের মধ্যে গ্রুপটি বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খোলে৷ বান্দরবানে ৮৩৫ একর জমিতে তাদের ৩৪টি বাগান রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে৷

এফএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ