1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামিন শুনানিতে হাইকোর্ট বিব্রত, তারপর?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ৷ ফলে জামিন শুনানি পিছিয়ে গেছে৷ নতুন জামিন শুনানি কিভাবে হবে? কতদিন লাগবে?

Bangladesch Dhaka Verhaftung Aktivist Shahidul Alam
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

গত ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমতে তাঁর বাসা থেকে আটক করা হয়৷ আর ৬ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইনের লঙ্ঘন করেছেন৷ তাঁকে আটকের পর বিভিন্ন আদালতে কয়েক দফা জামিনের আবেদন করা হয়েছে৷ কিন্তু জামিন মেলেনি৷ সর্বশেষ হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি ছিল মঙ্গলবার৷ কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন শুনানিকালে বিব্রত বোধ করেন৷ তাই জামিন শুনানি হয়নি৷ নিয়ম অনুযায়ী, এখন শহিদুলের আবেদনটি  প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে৷ প্রধান বিচারপতি আবেদনটির শুনানির জন্য অন্য আরেকটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন৷ তবে সেটা কতদিনের মধ্যে হবে, তা সুর্নিষ্ট নয়৷

হাইকোর্টে শহিদুল আলমের জামিন শুনানির জন্য ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ড. শাহদীন মালিক ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷ আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, বিশ্বজিৎ দেবনাথ৷

‘যারা এ রকম করছেন, তারা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল আইনের শাসন অনুসরণ করতে চান না'

This browser does not support the audio element.

ব্যারিস্টার সারা হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আদালতের বিব্রত হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাদের জানানো হয়, বিব্রত বোধ করার কারণ জাননোর রেওয়াজ নেই৷ আমরা জানতে চাই এ কারণে যে, আমরা কেন শুনানি করতে পরব না৷ আদৌ শুনানির সুযোগ পাব কিনা? আমাদের বলা হলো, আমরা চাইলে আবেদনটি ফিরিয়ে নিতে পারি৷ অথবা প্রধান বিচারপতির কাছে আরেকটি বেঞ্চের জন্য আবেদন করতে পারি৷ আমরা সেই আবেদন করেছি৷ এখন জানি না প্রধান বিচারপতি কী নির্দেশ দেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমরা শহিদুল আলমকে আটকের প্রথম দিনই জামিন চেয়েছি৷ সেদিন ম্যাজিষ্ট্রেট জামিনের শুনানি না করেই কোর্ট থেকে চলে যান৷ তারপর আমরা সেশন জজ কোর্টে জামিনের আবেদন করি৷ কিন্তু এক মাস পরে শুনানির তারিখ ফেলেন, যা অযৌক্তিক৷ শহিদুলকে মাত্র একটি বক্তব্যের জন্য আটক করা হয়েছে৷ তাঁর জামিন আবেদন শুনতে কেন একমাস লাগবে? আমরা দুইবার জজ আদালতে জামিন শুনানি এগিয়ে আনার আবেদর করেছি৷ কিন্তু আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি৷ জামিন নাকচ করলে আমরা উচ্চ আদালতে যেতে পারতাম৷ কিন্তু জামিন আবেদন শোনাই হবে না, এটা কেমন কথা! তাই আমরা হাইকোর্টে গেলাম৷ সেখানেও এই অবস্থা হলো৷ আদালত ব্রিবত হলেন৷''

ব্যারিস্টার সারা হোসেন আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘জামিন তো পরের কথা, আমাদের জামিন আবেদনই শোনা হচ্ছে না৷ অথচ ঈদের আগে ৫৭ ধারার মামলায় প্রায় সবাইকে জামিন দেয়া হয়েছে৷ ৫৭ ধারা হলো কথা বলার অপরাধ৷ অন্য কোনো অপরাধ এই ধারায় যুক্ত করার সুযোগ নেই৷ তিনি এমন কী বক্তব্য দিয়েছেন যার জন্য তাঁকে আটকে রাখতে হবে?''

সারা হোসেন আরো বলেন,‘‘তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷তাঁর ওপর নির্যাতনের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনো পরীক্ষাও করা হয়নি৷ আমরা জেল খানায় তাঁর জন্য ডিভিশনের আবেদন করেছিলাম৷ আদালত দিতেও বলেছেন৷ কিন্তু তার জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমোদন লাগবে৷ কিন্তু তিনি গত ৫দিন ধরে সই করছেন না৷'' 

‘শহিদুল আলম জামিন পাবেন কি পাবেন না সেটা আদালতের বিবেচ্য বিষয়’

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘যারা আসলে এ রকম করছেন, তারা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল৷ তারা আইনের শাসন অনুসরণ করতে চান না৷''

অন্যদিকে অ্যার্টর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিচারকরা ব্রিবত হতেই পারেন৷ এটা তাঁদের অধিকার৷ আর তাঁরা কেন বিব্রত হন, তা জানাতে বাধ্য নন৷ তবে প্রধান বিচারপতি জানতে চাইলে তাঁকে বিচারপতিরা জানান৷''

তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রক্রিয়া হলো প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন গেলে তিনি আরেকটি বেঞ্চ ঠিক করে দেবেন শুনানির জন্য৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘শহিদুল আলম জামিন পাবেন কি পাবেন না সেটা আদালতের বিবেচ্য বিষয়৷ একই ধরনের মামলায় অনেকে জামিন পেলেও অপরাধের তো গুরুত্ব আছে৷ এটা কোর্ট বিচার করবেন৷ আমি তো আর বলতে পারিনা, তিনি জামিন পেয়ে যাবেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ