ছাত্রদের পাশে বলিউড
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পাশে দাঁড়াল বলিউড৷ সেই সঙ্গে পুলিশি বাড়াবাড়ির নিন্দায়৷ দিয়া মির্জা, রাজকুমার রাও, অনুভব সিনহা, আয়ুষ্মান খুরানা, রীতেশ দেশমুখ, মনোজ বাজপেয়ী, ভিকি কৌশল, অনুরাগ কাশ্যপ, মহেশ ভাট, রিচা চাড্ডা, রেবতী, সিদ্ধার্থের মতো একের পর এক অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক টুইট করে নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন৷ প্রত্যেকেই ছাত্রদের আন্দোলন সমর্থন করে বলেছেন, প্রতিবাদের অধিকার তাঁদের আছে৷
সাধারণত, বলিউডের অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সম্পর্কে বলা হয়, তাঁরা এমন একটা দুনিয়ায় বাস করেন, যেখানে সাধারণ মানুষের সমস্যা, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের কথা পৌঁছয় না৷ সময় বদলের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, এই ধারণাও বদলানো দরকার৷ বিশেষ করে বলিউডের তরুণ অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকরা যে ভাবে সোমবার সারাদিন ধরে প্রতিবাদ করেছেন, তাতে স্পষ্ট, রিল লাইফের দুনিয়া ছেড়ে তাঁরা রিয়েল লাইফ নিয়েও ভাবিত৷ ছাত্রদের আন্দোলন তাঁদের অনেককেই নাড়িয়ে দিয়েছে৷ যেমন, রেণুকা সাহানে৷ তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করে বলেছেন, দয়া করে আপনার লোকেদের, আইটি সেলকে বলুন চুপ করে থাকতে৷ তারাই ঐক্য ও ভাতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে৷
অধিকাংশ বলিউড তারকা যখন ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন, তখন আন্দোলনকারী ছাত্রদের ব্যাঙ্গ করে একটি টুইটে লাইক দেন অক্ষয় কুমার৷ সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়৷ পরে অবশ্য অক্ষয় কুমার বলেছেন, ভুল করে 'লাইক' হয়ে গিয়েছিল৷ তিনি স্ক্রোল করছিলেন৷ সে সময় অজান্তেই 'লাইক' হয়ে যায়৷ জানার পরে তিনি 'আনলাইক' করে দিয়েছেন৷ ততক্ষণে অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক জোরদার হয়ে গিয়েছে৷ অক্ষয়ও জানিয়েছেন, ''আমি এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না৷''
ভুল হতেই পারে৷ অক্ষয় কুমার সেই ভুল স্বীকার করে নিয়ে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন৷ ঘটনা হল, বলিউডও প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছে ছাত্র আন্দোলনে৷ এখন দেখার তাদের এই খোলাখুলি মতপ্রকাশ সরকারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে কি না৷
জেএইচ/ এসজি