1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বরফ গলার ইঙ্গিত

৯ এপ্রিল ২০১২

শীর্ষ সম্মেলন নয়, ঘোষণাপত্র নয় – পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির নিছক ব্যক্তিগত ভারত সফর রাজনৈতিক দিক থেকে কত গুরুত্বপূর্ণ৷

ছবি: AP

শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই সফর অবদান রাখতে পারে, এমনটাই মনে করছে ভারতের পত্রপত্রিকা ও জনমত৷ তবে সন্ত্রাসবাদের কাঁটা নির্মূল করা জরুরি৷

আজমিঢ়শরিফ দর্শনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির একদিনের ভারত সফরকে তীর্থ-কূটনীতি আখ্যা দিলেও ভারতের পত্রপত্রিকা দুদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বরফ গলার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে৷

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং প্রেসিডেন্ট জারদারির আলোচনার পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আলোচনার সারাংশ তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য জারদারিকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি মুম্বই সন্ত্রাসী কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী হাফিজ সাঈদের বিষয়ে সঠিক অবস্থান নেবার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান৷

জারদারি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া দরকার৷ হাফিজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার মত যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই৷ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জারদারি কাশ্মীরসহ সিয়াচেন, স্যার ক্রিক ইস্যুর সন্তোষজনক সমাধানের কথা বলেন৷ উভয় পক্ষ ধাপে ধাপে সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবার কথা বলেন৷ অগ্রাধিকার দিতে হবে দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর৷ সেই লক্ষ্যে ভিসা নিয়ম উদার করতে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইন্দ্রনীল বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন. পাকিস্তানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ আসছে বিভিন্ন দিক থেকে৷ ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার পাকিস্তান৷ এই সুযোগে ভারতও চাপ বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে৷ ভারতের সঙ্গে একটা সমঝোতায় না আসলে অস্বস্তি বাড়বে পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন তথা সরকারের৷

সেজন্য চীনের মডেল অনুসরণ কোরে বিতর্কিত ইস্যুগুলি সরিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াবার পথে হাঁটতে চায় পাকিস্তান৷ ভারতকে এত বছর পর তাই সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিয়েছে পাকিস্তান৷

জারদারির ভারত সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং বিরোধী দল পিডিপির সুপ্রিমো মুফতি মহম্মদ সাঈদ৷ স্বাগত জানিয়েছে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ