1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানদের তুলনায় কম আয় অভিবাসীদের

১৮ জুলাই ২০২৫

জার্মানিতে নতুন জীবন শুরু করা অভিবাসীরা স্থানীয়দের অর্থাৎ জার্মানদের তুলনায় অনেক কম আয় করেন৷ গবেষকেরা বলছেন, এই আয়বৈষম্য মূলত উচ্চ মজুরির কাজে অসম সুযোগের কারণে তৈরি হয়৷ আর তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলছে৷

পানি সরবরাহ লাইন মেরামতের কাজ করছেন এক অভিবাসী কর্মী৷
গবেষকেরা বলছেন, একই কাজের জন্য অসম মজুরি দেয়া হয় না অভিবাসীদের৷ কিন্তু তারপরও এত বড় পার্থক্যের তিন-চতুর্থাংশ তৈরি হয়েছে উচ্চ মজুরির শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে না পারা, উচ্চ পদে কাজ না পাওয়া এবং অভিবাসীদের জন্য সুযোগ কম থাকার কারণে৷ছবি: Sven Hoppe/dpa/picture alliance

জার্মানির ন্যুরেমব্যর্গের জার্মানি'স ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ (আইএবি) এর করা গবেষণাটি ‘নেচার' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ এতে দেখা গেছে, জার্মানিতে বসবাসরত অভিবাসীরা স্থানীয় জার্মান কর্মীদের তুলনায় অন্তত ২০ শতাংশ কম আয় করেন৷

গবেষকেরা বলেছেন, একই কাজের জন্য বিদেশে জন্ম নেয়া বা অভিবাসী কর্মীদের অন্যায্যভাবে বেতন দেয়া হয়নি৷ কিন্তু উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা৷ আর তাতেই তৈরি হয়েছে এই আয়-বৈষম্য৷

কী রয়েছে এই সমীক্ষায়?

জার্মানিতে প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীদের সঙ্গে জার্মানদের মজুরি বৈষম্য ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ৷ গবেষকেরা বলছেন, একই কাজের জন্য অসম মজুরি দেয়া হয় না অভিবাসীদের৷ কিন্তু তারপরও এত বড় পার্থক্যের তিন-চতুর্থাংশ তৈরি হয়েছে উন্নত মজুরির শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে না পারা, উচ্চ পদে কাজ না পাওয়া এবং অভিবাসীদের জন্য সুযোগ কম থাকার কারণে৷

গবেষণায় আটটি পশ্চিমা দেশের সঙ্গে জার্মানির অবস্থানকে তুলনা করা হয়েছে৷ পশ্চিমা দেশগুলো হলো: ক্যানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এসব দেশগুলোর সবকটিতে অভিবাসী এবং স্থানীয়দের মধ্যে আয়বৈষম্য রয়েছে৷

তবে, অন্য দেশগুলোর তুলনায় সুইডেন এবং ক্যানাডার মতো দেশগুলো দ্রুত সময়ে এই বৈষম্য অনেকটা দূর করতে পেরেছে৷ বিশেষ করে, অভিবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্মে এসে আয়বৈষম্যের ফারাক অনেকটা কমে এসেছে৷

জার্মানিতে দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের ক্ষেত্রেও মজুরি-বৈষম্য এখনও গড়ে সাড়ে সাত শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক গড় পাঁচ দশমিক ৭ শতাংশের চেয়েও বেশি৷

জার্মানির ভিসায় কড়াকড়ি বাড়ছে: যা যা জানা দরকার

01:17

This browser does not support the video element.

গবেষণাটি বলছে, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসীদের পরবর্তী প্রজন্ম এখনও সুবিধাবঞ্চিত রয়ে গেছেন৷ গবষেণার সহ-লেখক মাল্টে রাইশেল্ট বলেছেন, জার্মান সমাজে ‘‘সফলভাবে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়েই মূলত উচ্চ মজুরির চাকরিতে যোগ দেয়ার বাধা ভেঙে ফেলা সম্ভব৷’’

এই বৈষম্য কমাতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন গবেষকেরা৷ এগুলো হলো: ভাষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বিদেশের শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি, পেশাদার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং তথ্য ভাগাভাগি করা৷

প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজুরি-বৈষম্য দেখা যায় ইউরোপের দেশ স্পেনে৷ এখানে বৈষম্য ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ৷ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ক্যানাডায় এই পার্থক্য ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ৷ তৃতীয় অবস্থানে থাকা নরওয়েতে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ,  চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানিতে বৈষম্যের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং সুইডেনে এই বৈষম্য তুলনামূলক কম৷

দ্বিতীয় প্রজন্মে এসে ক্যানাডায় এই ফারাক অনেকটাই কমে গেছে৷ এক্ষেত্রে অভিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মজুরি-বৈষম্য মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ৷ আর নরওয়েতে এখনও সেই পার্থক্য ৮ দশমিক ৭ ভাগ৷

রিচার্ড কনর/টিএম/এপিবি

প্রথম প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫ ইনফোমাইগ্রেন্টস

অভিবাসী বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস তিনটি প্রধান ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্লাটফর্ম৷ প্লাটফর্মটিতে রয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স মিডিয়া মোন্দ, এবং ইটালিয়ান সংবাদ সংস্থা আনসা৷ এই প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ