জার্মানদের প্রিয় রুফুস আর নেই
১৪ মে ২০২০অতিরিক্ত ওজনের কারণে রুফুস দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদরোগে ভুগছিল৷ ওজন কমাতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেটির ব্যায়ামের ব্যবস্থাও করেছিল৷ কিন্তু তাতে অবস্থায় কোনো উন্নতি হয়নি৷ বরং প্রাণীটি দিন দিন আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছিল৷ অবশেষে শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে প্রাণীটিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান কর্মকর্তারা৷
২০১৮ সালে প্রথম মানুষের নজরে আসে রুফুস৷ সেবার প্রাণীটির একটি ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়৷ নাদুসনুদুস রুফুসকে নিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম খবর প্রচার করে৷ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ভিত্তিক একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ তাদের বিজ্ঞাপনে রুফুসের ছবি ব্যবহার করে৷
সাধারণত বনবেড়ালের ওজন ১৬ থেকে ৩০ কেজি হয়৷ জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানায়, রুফুসের সর্বোচ্চ ওজন ছিল ৪৩ কেজি৷ বুধবার চিড়িয়াখানার পরিচালক টমাস লিয়ের বলেন, ‘‘সে মোটা ছিল৷''
ওজন কমাতে রুফুসকে লো-ফ্যাট খাবার দেওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করানো হচ্ছিল৷ শেষ কয়েক মাসে প্রাণীটি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ হৃদরোগ ছাড়াও সেটি ঠিকমত শ্বাস নিতে পারতো না৷
চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘নিবিড় চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখার পরও শেষ দিকে প্রাণীটির অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছিল৷ পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেটির কষ্টের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷''
গত মার্চ মাসে রুফুসকে মেরে ফেলা হলেও বুধবার প্রথম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশ করে৷ এদিন সেটির পঞ্চদশ জন্মদিন ছিল৷ বনে একটি বনবেড়াল সাধারণত এরকম জীবনই পায়৷ কিন্তু চিড়িয়াখানায় ২৬ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে৷
বংশবিস্তার প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে সুইডেন থেকে রুফুসকে জার্মানিতে আনা হয়েছিল৷ ২০১৩ সালে বন্ধ্যাত্ব করণের পর সেটির ওজন বাড়তে শুরু করে৷ ২০১৫ সালে পায়ে আঘাত পাওয়ার পর সেটি চলাচল ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে৷ যার ফলে ওজন আরো বাড়তে থাকে৷
অবশ্য ২০১৮ সালে ভাইরাল হওয়া ছবিতে রুফুসকে যতটা মোটা দেখাচ্ছে প্রাণীটি তত মোটা ছিল না৷
এসএনএল/কেএম