1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জার্মানদের মাথা খারাপ'

ইয়েন্স টুরাও/এসি১১ মার্চ ২০১৬

জার্মানি যে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বন্ধ করবে, ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পাঁচ বছরের মধ্যেই এ দেশে তা নিয়ে আর কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই৷ বহির্বিশ্ব একদিকে যেমন মুগ্ধ, অন্যদিকে চমৎকৃত – দেখছেন ডয়চে ভেলের ইয়েন্স টুরাও৷

Fukushima Jahrestag Proteste in Deutschland
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানিতে আজ যখন টেলিভিশনে ‘এনার্গি-ভেন্ডে'' বা ‘জ্বালানি পরিবর্তন' নিয়ে আলোচনা চলে, তখন উইন্ড টার্বাইনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধ, কিংবা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়৷ মাঝেমধ্যে যে পরমাণু শক্তি অর্থাৎ আণবিক চুল্লিগুলির কথা ওঠে না, এমন নয়, তবে ঐ পর্যন্ত৷

ইয়েন্স টুরাও, ডয়চে ভেলে

জার্মানিতে এককালে প্রায় ২০টা আণবিক চুল্লি কাজ করছিল; আজ সেখানে কাজ করছে মাত্র আটটি৷ আগামী ছ'বছরের মধ্যে সেই আটটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ এ নিয়ে জার্মান সংসদেও আর বিতর্ক হয় না; সুশীল সমাজেও নয়৷ যে প্রশ্নটা নিয়ে আজকাল মাথা ঘামানো হয়, সেটি হলো: আণবিক চুল্লিগুলি খুলে ফেলে দিতে যে কোটি কোটি ইউরো খরচ হবে, সে টাকা কে দেবে৷ শুধু জ্বালানি শিল্পের কোম্পানিগুলো? নাকি শেষমেষ করদাতাদের তার দাম চুকোতে হবে?

ম্যার্কেলের সিদ্ধান্ত

পাঁচ বছর আগে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল৷ ফুকুশিমার পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভোল পাল্টে হঠাৎ ঘোষণা করে বসেন যে, জার্মানি পরমাণু শক্তি থেকে বিদায় নিচ্ছে৷ অথচ এর কিছু আগেই তিনি আণবিক চুল্লিগুলি চালু রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন৷ এমনকি তিনি এ বিষয়ে তাঁর নিজের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের মতামতও জানতে চাননি৷ আজ যেমন তিনি উদ্বাস্তু নীতি নিয়েও দলের মতামত বিশেষ জানতে চাইছেন না৷

ফুকুশিমা যাবৎ জার্মানিতে জ্বালানি নীতির পরিবর্তন দ্রুততর হয়েছে; শেষমেষ দেশের বিদ্যুতের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ মেটাচ্ছিল নবায়নযোগ্য জ্বালানি৷ দেশ জুড়ে ইলেকট্রিক মাস্ট, অথবা মাটির তলায় কেবল্ বসিয়ে উত্তরের উইন্ড পার্কগুলো থেকে দক্ষিণে বাভারিয়া অবধি বিদ্যুৎ টানার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বায়ুশক্তি আর সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি ভরতুকি থাকায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে – তবে ভুক্তভোগীরা তা মোটামুটি মেনে নিয়েছেন, যেমন পরমাণু শক্তি থেকে বিদায় নেবার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির দুঃস্বপ্নও আজ আর কেউ দেখছেন না৷ বলতে কি, বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তায় বিশ্বের আর কোনো দেশ জার্মানির পাশে দাঁড়াতে পারবে না৷ তবুও তা নিয়ে দুশ্চিন্তা৷

বলতে কি, দুশ্চিন্তাটাও একটা জার্মান বৈশিষ্ট্য, যেমন তারা সব কাজ খুঁটিয়ে, ভালোভাবে করতে চায় ও করতে পারে৷ এ দেশে যে সূর্যালোকের প্রাচুর্য্য আছে, একথা নিন্দুকেও বলবে না; অথচ এই দেশই সৌরশক্তিতে প্রায় অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে চলেছে৷ বহির্বিশ্বেও মানুষজন ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে যে, জার্মানরা সত্যিই আণবিক শক্তি বর্জন করতে চলেছে৷ সেটা পাগলামি হতে পারতো – ‘জার্মানদের মাথা খারাপ' – যদি না জার্মানরা এতটা দক্ষতার সঙ্গে সে কাজটা করতো৷ কাজেই তার সঙ্গে যোগ হয়েছে: ‘যদি কেউ পারে, তবে ঐ জার্মানরা৷'

বন্ধুরা, আপনি কি লেখকের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ