প্লাস্টিক গোটা বিশ্বের জন্য এক বড় সমস্যা৷ প্রতি বছর কোটি কোটি টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যার এক বড় অংশ গিয়ে পড়ছে সমুদ্রে৷
বিজ্ঞাপন
প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না, টিকে থাকে শতবছর৷ ফলে পরিবেশের জন্য তা এক মারাত্মক হুমকি৷ আশার কথা হচ্ছে, প্লাস্টিকের বিকল্প আছে৷
বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও ইদানীং প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ক্রমশ সচেতন হচ্ছে৷ বনে ডয়চে ভেলের যে কার্যালয়ে বসে এই লেখা লিখছি, সেখানেও প্রায়ই দেখি, কিছু সহকর্মী কাঁচের বা স্টিলের মগ নিয়ে ক্যান্টিনে যান৷ সেখানে থাকা কফি মেশিন থেকে সাধারণত প্লাস্টিকের কাপে করে কফি নিতে হয়৷ মগ হাতে নিয়ে ঘোরা সহকর্মীরা প্লাস্টিকের কাপের বদলে নিজেদের কাঁচ বা স্টিলের মগে কফি নিয়ে নেন৷ এতে দু'টো সুবিধা; প্রথমত, প্লাস্টিকের ব্যবহার সামান্য হলেও কম হয়, দ্বিতীয়ত, প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার না করায় কফির দাম কিছুটা কমও পড়ে৷
তবে, আমার মনে হয় না শুধু পাঁচ সেন্ট কমে পাওয়া যাবে বলে আমার পরিবেশসচেতন সহকর্মীরা হাতে মগ নিয়ে ঘোরেন৷ তাঁদের কাছে আসলে পরিবেশ বাঁচানোটাই আসল কথা৷ সাধারণ মানুষের সচেতনতা এক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে৷ আমার এই সহকর্মীরা সেটাই করছেন৷
প্লাস্টিকের বিকল্প পাটের পণ্য কেন ব্যবহার করবেন?
প্লাস্টিকের বিকল্প পাটের পণ্য – এই শিরোনামে জার্মানির কোলনে হয়ে গেলো একটি কর্মশালা৷ বাংলাদেশের তৈরি পরিবেশ বান্ধব পাটের পণ্য ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরতে এই আয়োজন করে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ৷
ছবি: DW/N. Sattar
উদ্যোক্তা বাসুগ (বিএএসইউজি)
জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের সঙ্গে পরিবেশের ইউরোপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাসুগ (বিএএসইউজি) ও জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের একটি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে গত ২৩ জুন কোলনে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়৷ এতে অংশ নেন জার্মান ও অভিবাসী গবেষক, পরিবেশ কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ৷
ছবি: DW/N. Sattar
পাটের তৈরি পণ্য বেছে নিন
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ৷ তিনি বলেন, ‘‘দায়িত্বশীল নাগরিকদের উচিত সরকারকে সহায়তা করা৷পাটের ব্যবহার পরিবেশ রক্ষায় রাতারাতি কোনো সমাধান না-ও আনতে পারে৷ তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে সহায়তা করবে৷ শুধুমাত্র নিয়মিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ আশা করতে পারি৷ এখন থেকে পাটের তৈরি পণ্য বেছে নিন এবং পরিবেশ পরিবর্তনের অংশ হোন৷’’
ছবি: DW/N. Sattar
প্লাস্টিকের বিষাক্ত উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক
নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের সংসদ সদস্য বেরিভান আয়মাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ ধ্বংস করছে৷ প্লাস্টিকের বিষাক্ত উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক৷ তাছাড়া সমস্যাটি এখন রাজনীতিতে এসেছে৷ আমরা আশা করছি, এ দেশের জনগণকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ধ্বংসাত্মক পরিণতি সম্পর্কে বাসুগের মাধ্যমে পরিচালিত প্রচারাভিযান সফল হবে৷’’
ছবি: picture alliance/WILDLIFE
বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
বিশেষ অতিথি হিসেবে কোলনের মেয়র ড.রাল্ফ হাইনেন তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সাথে জার্মানির ব্যবসায়িক সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন,‘‘ জার্মানির অনেক পণ্য বাংলাদেশে তৈরি করা হয়, বিশেষ করে পোশাক৷ আমাদের বিশ্বাস, জার্মানির সাথে ফেয়ার ট্রেড বাংলাদেশে ইতিবাচক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করতে পারে৷’’
ছবি: DW/S. Burman
প্লাস্টিক, নাকি পাটের ব্যবহার?
কর্মশালায় জার্মানির সাধারণ জনগণের প্লাস্টিক ব্যবহার এবং পাটজাত পণ্যের ব্যবহার সম্পর্কে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়৷
ছবি: DW/N. Sattar
প্রায় ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর৷ কারণ, ব্যবহৃত প্লাস্টিক শেষ পর্যন্ত নদী, সাগর ও কৃষি জমিতে স্থান পায় এবং সেসব গলতে বা টুকরো হতে বহু বছর সময় লেগে যায়৷ এর ফলে মাটি ও পানির দূষণ অব্যাহত থাকবে৷
ছবি: picture alliance/PIXSELL/G. Jelavic
সোনালি আঁশের তৈরি ব্যাগ কেন ব্যবহার করবেন?
ব্যাগ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন হতে পারে পাটের মতো পরিবেশবান্ধব পণ্য দিয়ে৷ পাট যেমন স্বাস্থ্যকর সবজি, তেমনি পাট থেকে তৈরি হয় মজবুত সুতা৷ তাছাড়া পাট প্রাকৃতিক আঁশ এবং দামেও সস্তা৷ ব্যবহারের দিক থেকে তূলার পরেই পাটের স্থান৷ তাছাড়া পাট মজবুত ও টেকসই হলেও তা রিসাইকেল করাও সম্ভব৷
ছবি: DW/N. Sattar
চটের ব্যাগ
পাটের তৈরি ব্যাগ দেখতে সুন্দর, আধুনিক ও মজবুত ৷ এই ব্যাগ ব্যবহারে যেমন পকেটের পয়সা বাঁচবে, তেমনি পরিবেশ সুরক্ষা হবে৷
ছবি: DW/N. Sattar
পাটের তৈরি নানা পণ্য
কর্মশালায় ছিল বাংলাদেশের পাটের তৈরি আকর্ষণীয় নানা পণ্যের সমাহার৷
ছবি: DW/N. Sattar
প্রামাণ্যচিত্র
কর্মশালায় দেখানো হয় বাংলাদেশের ‘সোনালি আঁশ’ পাট বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র৷
ছবি: DW/N. Sattar
বাসুগ
কর্মশালায় অংশ নেন অভিবাসী গবেষক, পরিবেশ কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ৷‘প্লাস্টিকের বিকল্প পাটের পণ্য’ শিরোনামে কর্মশালাটির আয়োজনে ছিলেন বাসুগ সংস্থার সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী এএইচএম আবদুল হাই৷
ছবি: DW/N. Sattar
11 ছবি1 | 11
শুধু চা বা কফি'র মগই নয়, মাঝেমাঝে অনেককে দেখি, পুরোপুরি প্লাস্টিক মুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করতে৷ ডয়চে ভেলের বন কার্যালয়ে অনেক দেশের সাংবাদিকরা কাজ করেন৷ তাই এখানকার আরেকটি উদাহরন না দিলেই নয়৷ ইংরেজি বিভাগের কর্মী ইউলিয়া বায়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রচারণা চালাচ্ছেন৷ ‘ইসনেমেওহনে' হ্যাশট্যাগে চালানো সেই প্রচারণার উদ্দেশ্য হচ্ছে যতটা সম্ভব প্লাস্টিকমুক্ত থাকা৷ প্রচারণায় অংশগ্রহণকারীরা সুপারমার্কেট থেকে কেনাকাটার সময় প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়নি, এমন পণ্য কেনার চেষ্টা করেন৷ প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ থেকে শুরু করে সবকিছু ব্যবহারের ঘোর বিরোধী তাঁরা৷
আর শুধু জার্মানির সাধারণ মানুষের কথা বলছি কেন, এ দেশের সরকারও প্লাস্টিক তাড়াতে যথাসাধ্য উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে৷ আগে অনেক এশীয় মুদি দোকানে কেনাকাটা করলে বিনামূল্যে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেয়া হতো৷ এখন সেটা পয়সা দিয়ে কিনে নিতে হয়৷ উদ্দেশ্য, মানুষ যাতে এটির ব্যবহার কমিয়ে দেয়৷ কিছু সুপারমার্কেট ইতোমধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাগ পুরোপুরি তুলে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে তাহলে কী ব্যবহার করা হচ্ছে?
জার্মানিতে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাগজের ব্যাগ এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারোপযোগী কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা যায়৷ তবে প্লাস্টিক ব্যাগের এক ভালো বিকল্প হচ্ছে পাটের ব্যাগ৷ মানে, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ জার্মানির মতো উন্নত দেশে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে যা খোঁজা হচ্ছে, তার এক ভালো জোগানদাতা হয়ে উঠতে পারে৷ পাটের ব্যাগ শতভাগ পরিবেশবান্ধব৷ আর পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রেও পরিবেশের উপর চাপ পড়ে কম৷ ফলে পশ্চিমারা যেমন বিকল্প খুঁজছে, সেটা সবদিক থেকেই হতে পারে পাট৷
আশার কথা হচ্ছে, জার্মানিতে বাংলাদেশের পাট এবং পাটজাত পণ্য জনপ্রিয় করে তুলতে কিছু উদ্যোগও শুরু হয়েছে৷ জার্মানির নর্থরাইনওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের রাজ্য সরকারের অর্থ সহায়তায় বাসুগ নামের প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সংগঠন প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটকে তুলে ধরতে কোলন এবং ডর্টমুন্ডে একাধিক ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে৷ শীঘ্রই বন শহরে বড় আকারে এ সংক্রান্ত এক কর্মসূচি পালনের উদ্যোগও নিচ্ছে সংগঠনটি৷
বাসুগ চাচ্ছে পাটজাত পণ্য ব্যবহার করতে জার্মানদের আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি পাটজাত পণ্য আমদানিতে জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আগ্রহী করতে৷ এজন্য ওয়ার্কশপগুলোতে পাটজাত বিভিন্ন পণ্যও তুলে ধরা হচ্ছে৷ সেখানে হাজির থাকছেন বাংলাদেশি একজন রপ্তানিকারকও, যিনি জার্মানি, তথা ইউরোপে পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী৷
ছোট পর্যায়ে হলেও বাসুগ-এর এই উদ্যোগ আমাদের মনে আশা সৃষ্টি করতেই পারে৷ তবে এধরনের উদ্যোগ আরো বড় পরিসরে নিতে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে৷ বাংলাদেশের পোশাক খাত যেমন জার্মানিতে এক বড় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে, তেমনি পাটজাত পণ্যের বিস্তৃতি ঘটাতেও প্রয়োজন বড় উদ্যোগ৷ তখন শুধু প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবেই নয়, পাট পাতার সবুজ চা, এমনকি জার্মানির গাড়িশিল্পেও বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের ব্যবহার চালু করা সক্ষম হবে৷
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সরকার কি সে বিষয়ে আগ্রহী হবে?
সোনালি আঁশের সাম্রাজ্য
একসময় ছিল যখন পাট মানেই শুধু দড়ি আর বস্তা৷ কিন্তু সে চিত্র পালটে গেছে অনেক আগেই৷ জুতা, শাড়ি ছাড়াও নানা ধরনের পোশাক, এমনকি তৈরি হচ্ছে পাটের চা-ও৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শাড়ি
আহসান হাবীবের ‘ইচ্ছা’ কবিতার কথা মনে আছে? ওই যে, মনা নামের খোকা মাছ ধরতে যায়৷ ‘বোনকে দেবো পাটের শাড়ি, মাকে দেবো রঙীন হাড়ি’, মনে পড়ছে? বাংলায় এই পাটের শাড়ির চল অনেক আগে থেকেই৷ কিন্তু যুগের সাথে পছন্দ ও ফ্যাশনও পরিবর্তন হয়েছে৷ এখন তাই পাটের শাড়িতেও আসছে নানা বৈচিত্র্য৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
ফ্যান্সি ড্রেস
পাটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ৷ তাই শুধু শাড়িতে পড়ে থাকলে কি চলে? পাশ্চাত্য ঢঙেও এবার পাওয়া যাচ্ছে পাটের উপস্থিতি৷ দেখে বোঝারই উপায় নেই, সুন্দর এই পোশাকটি শুধুমাত্র পাট দিয়ে তৈরি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কল্পনারও বেশি
পাটের তৈরি নাইট গাউন! ব্লেজার! ছবি না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতেই কষ্ট হতো৷ কিন্তু কল্পনা নয়, সত্যি৷ পাট দিয়ে এখন সব ধরনের পোশাকই তৈরি করছেন কারিগররা৷ ঠান্ডা-গরম, সব আবহাওয়াতেই সমান উপযোগী এসব পোশাক৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
জুতা
শুনলে মনে হতেই পারে, পাটের তৈরি জুতা আর কতটাই বা টেকসই হবে! কিন্তু জুতার কারিগররা বলছেন, অন্য সব কাপড়ের জুতার মতোই সমান টেকসই হবে বাংলাদেশে তৈরি এই পাটের জুতা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
গয়না
পাটের শাড়ি বা জামা তো পরবেন, সাথে না হয় পাটের জুতাও পরলেন৷ কিন্তু পাটের গয়নায় যদি আপনাকে না সাজায়, তাহলে কি সাজগোজ পূর্ণতা পায়?
ছবি: DW/M. M. Rahman
হ্যান্ডব্যাগ
সাজগোজ শেষ হলে সঙ্গের জরুরি জিনিসপত্র পাটের দারুণ সব ডিজাইনের ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলুন৷ তারপর সেটি হাতে নিয়ে রওয়ানা হয়ে যান বাইরে ঘুরতে৷ নানা রং ও ডিজাইনের এসব ব্যাগ কেড়ে নেবে যে কারো চোখ৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
ব্যাকপ্যাক
ছেলেদেরও মন খারাপ করার কিছু নেই৷ পাট দিয়ে এখন মজবুত ব্যাকপ্যাকও তৈরি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ এসব ব্যাকপ্যাক টেকসই এবং কয়েক কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে সক্ষম৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
পুতুল
শুধু বড়রাই বা কেন পাবে পাটের সোনালি দিনের এমন সুবিধা৷ এখন তাই শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে পাটের খেলনা৷ পাটের তৈরি রূপসি পুতুল যে-কোনো বিচারে হার মানায় পাশ্চাত্যের জনপ্রিয় বার্বি ডলকে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
খেলনা পশু
এখন অনেকেই নিজের সন্তানকে কিনে দেন বিদেশে তৈরি টেডি বিয়ার৷ নানা ধরনের পশু-পাখির আদলে তৈরি খেলনায় শিশুদের প্রকৃতির সাথে পরিচয়ও বাড়ে৷ সে কাজে এগিয়ে এসেছে পাটও৷ পাটের জেব্রা, জিরাফ, উট, সবকিছই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
টব
হ্যাঁ, পাট এখন এতটাই টেকসই যে আপনি চাইলে পাটের টবে লাগাতে পারেন গাছের চারাও৷ তাতে পরিবেশের সাথে যেমন তৈরি হয় সামঞ্জস্য, বারান্দাতে পাটের উপস্থিতি ছড়াবে স্নিগ্ধতা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সাজিয়ে ফেলুন ঘর
সবই যখন হলো, ঘর সাজানোর জিনিসপত্রই বা বাদ পড়বে কেন! বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কার্পেট, ওয়াল ম্যাট, নানা ছোট শো পিস, সবই এখন মিলছে স্বল্পমূল্যে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
11 ছবি1 | 11
সরকারের কি এই বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত? লিখুন নীচের ঘরে৷