জার্মানিতে অজগর নিয়ে আতঙ্ক
২৪ এপ্রিল ২০২৩বিটবুর্গের পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তারা দেখে, হলুদ ও সাদা রঙের অ্যালবিনো অজগরকে গলায় ঝুলিয়ে মানুষটি হাঁটছে। পুলিশ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তির জবাব, অজগর তার পোষা। তাকে নিয়ে তিনি একটু হাওয়া খেতে বেড়িয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, খুব কাছ থেকে পরীক্ষার পর বোঝা যায়, ওই অজগর ভয়ের কারণ হতে পারে না। তাকে রাখার জন্য বিশেষ অনুমতির দরকার নেই।
অজগর সাপ দিয়ে গা মালিশ
গা ম্যাজম্যাজ করছে? মাসাজ, অর্থাৎ মালিশ করাতে চান? একটা অজগর সাপ যদি আপনার গায়ের ব্যথা দূর করে দেয়, কেমন হয়? ভয় পেলেন? ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-এ কিন্তু অজগরের ‘সেবা’ নেন অনেকেই৷ দেখুন ছবিঘরে...
শরীর মালিশে অজগর কেন?
অজগর কীভাবে বড় বড় প্রাণী শিকার করে, জানেন? কাছাকাছি পেলে প্রথমে শিকারকে সারা শরীর দিয়ে জড়িয়ে ধরে অজগর৷ তারপর যত জোরে সম্ভব চেপে ধরে৷ বড় ভয়ানক সেই চাপ৷ ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সেই প্রাণী৷ তারপর ধীরে ধীরে প্রাণীটিকে গিলে ফেলে অজগর৷ তো এমন ভয়ংকর এক সাপকে দিয়ে কেন মানুষের শরীর মালিশ করানো হয় বালি দ্বীপের ওই স্পা-এ? এর উত্তর এখনো অনেকেরই অজানা৷
তবে ভয়ের কিছু নেই
বলা হচ্ছে, অজগর দিয়ে যেভাবে মাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই৷ কারণ প্রথমত, মাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়৷ পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, মাসাজের আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না৷
অজগরের মাসাজ উপকারী?
যত অভয়ই দেয়া হোক না কেন, গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই৷ সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়৷ তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার!
মনেরও উপকার
অজগরকে কে না ভয় পায়! মাসাজ শেষ হলে সেই ভয়ের জায়গায় মনে ঠাঁই নেয় এক ধরনের মুক্তির আনন্দ৷ কেউ কেউ জানিয়েছেন, মাসাজ নেয়ার আগে তারা সাপের নাম শুনলেই ভয় পেতেন৷ কিন্তু মাসাজ নেয়ার পরে নাকি সেই ভয় কেটে গেছে৷
যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন
বিশ্বে এমন মানুষের অভাব নেই, যাঁরা বিপদ ভালোওবাসেন৷ অন্যরকম কিছু করে বাড়তি আনন্দ পান তারা৷ এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য নাকি অজগরের মাসাজ আরো বেশি উপকারী৷ অজগর পিঠে চড়লে নাকি তাদের হরমোনের নিউট্রোট্রান্সমিটার ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায়৷
আছেন রক্ষাকর্তা
মাসাজের সময় কোনো মানুষকে কখনোই জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা ছেড়ে দেয়া হয় না৷ সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন৷ তার কাজই হলো, অজগর কখনো থেমে যাচ্ছে কিনা, কোনো বিপদ ঘটাতে চাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা৷
ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও...
শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও সাপ দিয়ে মাসাজ করানো হয়৷ যাবেন নাকি?
তবে অজগর দেখেই মানুষ খুব ভয় পেয়ে যায়। আতঙ্ক তৈরি হয়। সেজন্যই অনেকে বারবার করে পুলিশকে ফোন করেন।
রোববার বিটবুর্গে এই ঘটনা ঘটেছে।
কোন প্রাণী কত বেশি ঘুমায়
সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ঘুম খুব দরকার৷ তা কোন প্রাণীর জন্য কতটা ঘুম দরকার? জেনে নিন ছবিঘরে....
বাদুড়
নিশাচর প্রাণী বলে বাদুড়কে সারা দিন ঘুমিয়েই কাটাতে হয়৷ পুরোটা রাতও তারা জাগে না৷ বাদুড় তাই গড়ে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা ঘুমায়৷
অজগর
অজগর সাপও খুব ঘুমকাতুরে৷ বিরাট শরীরটা নিয়ে তাই তারা প্রতি দিন গড়ে ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়৷
বাঘ
বাঘও কম যায় না৷ তাদের দিনে অন্তত ১৬ ঘণ্টার ঘুম দরকার৷
কাঠবিড়াল
এমনিতে খুব চঞ্চল এই প্রাণী দিনের অন্তত ১৪ দশমিক নয় ঘণ্টা খুব শান্ত থাকে৷ কেন? কারণ, তখন তারা ঘুমিয়ে থাকে৷
সিংহ
‘বনের রাজা’ সিংহ দিনে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা নিশ্চিন্তে ঘুমায়৷
ইঁদুর
সিংহের তুলনায় যত ছোট তত কম কিন্তু ঘুমায় না ইঁদুর৷ দিনে ১২ দশমিক ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে পারলে ওরা চনমনে থাকে৷
বিড়াল
সুযোগ পেলে বিড়াল দিনে সাড়ে ১২ ঘণ্টা ঘুমায়৷
খরগোশ
বিড়ালের চেয়ে একটু কম ঘুমায় খরগোশ৷ তাদের দিনে অন্তত ১১ দশমিক ৪ ঘণ্টার ঘুম দরকার৷
চিতা বাঘ
দিনে ১০ দশমিক আট ঘণ্টা ঘুমাতে হয় চিতা বাঘকে৷
কুকুর
কুকুরের প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়৷
বেবুন
দিনে ১০ দশমিক তিন ঘণ্টা ঘুমায় বেবুন৷
শিম্পাঞ্জি
শিম্পাঞ্জিকে দিনে অন্তত নয় দশমিক সাত ঘণ্টা ঘুমাতে হয়৷
শূকর
শূকর দিনে সাত দশমিক আট ঘণ্টার মতো ঘুমায়৷
ছাগল
ছাগল খুব কম ঘুমায়৷ দিনে মাত্র পাঁচ দশমিক তিন ঘণ্টা৷
গরু
গরুর ঘুম আরো কম৷ তারা মাত্র তিন দশমিক নয় ঘণ্টা ঘুমায়৷
এশিয়ান হাতি
এদেরও মাত্র তিন দশমিক নয় ঘণ্টা ঘুমালেই চলে৷
ভেড়া
ভেড়া ঘুমায় তিন দশমিক আট ঘণ্টা করে৷
আফ্রিকান হাতি
আফ্রিকা অঞ্চলের হাতিকে সুস্থ থাকতে দিনে অন্তত তিন দশমিক তিন ঘণ্টা ঘুমাতে হয়৷
গাধা
যেসব প্রাণী খুব কম ঘুমায় তাদের মাঝে গাধাও আছে৷ তারা দিনে মাত্র তিন দশমিক এক ঘণ্টা ঘুমায়৷
ঘোড়া
সবচেয়ে কম ঘুমানো প্রাণীদের মধ্যে ঘোড়াকেও রাখতেই হবে, কারণ তারা ঘুমায় মাত্র দুই দশমিক নয় ঘণ্টা করে৷
জিরাফ ঘুমায় কখন?
দিনে ২২ দশমিক এক ঘণ্টা জেগে থাকে জিরাফ৷ হ্যাঁ, বাকি মাত্র এক দশমিক নয় ঘণ্টা ঘুমায় তারা৷
এবং মানুষ
বিজ্ঞানীরা বলেন, সুস্থ থাকতে সব মানুষের দিনে অন্তত আট ঘণ্টা প্রয়োজন৷
জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)