সম্প্রতি একাধিক মসজিদের উপর আক্রমণ ও বহিরাগত বিদ্বেষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির অভিবাসী সম্প্রদায় শঙ্কিত৷ অভিবাসী নেতৃবর্গ পুলিশসহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অধিকতর সাহায্য ও সহমর্মীতা প্রত্যাশা করছেন৷
বিজ্ঞাপন
বার্লিনের সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সংসদীয় নেতা রায়েদ সালেহ বলেছেন, ‘‘আমি বাস্তবিক উদ্বিগ্ন৷ আমি দেখছি, ইসলাম বিদ্বেষ কিভাবে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে, দশ বছর আগেও যা অকল্পনীয় ছিল৷’’
সালেহ নিজে ধর্মপ্রাণ মুসলমান, আবার আন্তঃধর্ম সংলাপের ক্ষেত্রেও তিনি সক্রিয়৷ ক্রয়েৎসব্যার্গ আর নয়ক্যোলন এলাকা দু'টির মধ্যে ৮০ বছর আগে নাৎসিরা যে সিনাগগটি ধ্বংস করেছিল, বার্লিনের ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সেটিকে আবার গড়ে তুলতে চান সালেহ৷
জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ
জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদটির নির্মান কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে, কোলনে৷ ২০১৭ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে৷ ইতোমধ্যে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এই মসজিদ নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker
ইউরোপের অন্যতম বড় মসজিদ
কোলনের কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে পরিচিত এই মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ৷ এটির আয়তন ৪৫০০ বর্গমিটার৷ এতে একসঙ্গে দুই থেকে চার হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে৷ জার্মানিতে তুর্কি মুসলিমদের সংগঠন ডিটিব মসজিদটি নির্মাণ করেছে৷ নামাজের পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংলাপ, খেলাধুলা আয়োজনের ব্যবস্থা এবং দোকান ও লাইব্রেরি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ভিন্ন ডিজাইনের মসজিদ
‘নন-অটোমান’ ডিজাইন অনুসরন করে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে৷ এতে কংক্রিট এবং কাঁচের দেয়াল ও গম্বুজ রয়েছে৷ দু’টি মিনারতের উচ্চতা ৫৫ মিটার করে৷ আর মসজিদের ভেতরে দেয়ালে বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফি রয়েছে৷
ছবি: Picture alliance/dpa/M. Becker
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন
কোলনে বসবাসরত তুর্কিরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন এক মসজিদের স্বপ্ন দেখছিলেন৷ তবে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ এমনকি ২০১১ সালে বিপুল প্রতিবাদের মুখে এটির নির্মাণকাজ কিছুদিনের জন্য মন্থরও করা হয়৷ অভিবাসীবিরোধী চক্র এটি নির্মাণের বিরোধিতা করে৷ তবে পত্রিকার এক জরিপে দেখা যায়, শহরের ৬৩ শতাংশ বাসিন্দা এটি তৈরির পক্ষে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চোখে পড়ার মতো স্থাপনা
জার্মানিতে প্রায় পাঁচ মিলিয়নের মতো মুসলমান বাস করেন৷ তাঁদের একটি বড় অংশই তুর্কি বংশোদ্ভূত৷ কোলনে বসবাসরত সোয়া লাখ মুসলমানের জন্য সত্তরটির মতো মসজিদ রয়েছে৷ অধিকাংশ মসজিদই এমন জায়গায় তৈরি যা সচরাচর চোখে পড়েনা৷ তবে এই মসজিদটি ব্যতিক্রম৷
ছবি: Picture alliance/dpa/O. Berg
খরচ কম নয়
মসজিদটি তৈরিতে কমপক্ষে সতের মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে৷ তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে৷ এই অর্থের অধিকাংশই দিয়েছে ডিটিব৷ কিছু অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে একটি গির্জা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Geisler
পল ব্যোম, স্থপতি
কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদটির নকশা করেছেন পল ব্যোম৷ তিনি এবং তাঁর বাবা মূলত গির্জার ডিজাইন করার জন্য বিখ্যাত৷ তবে সমজিদটি তৈরির মাধ্যমে তিনি তাঁর দক্ষতাকে অন্যস্তরে নিয়ে গেছেন৷
ছবি: AP
প্রার্থনার এক স্বচ্ছ ঘর
‘উন্মুক্ত’ এবং ‘উজ্জ্বল’৷ মসজিদটির ডিজাইন সম্পর্কে এই দুটো শব্দই উচ্চারণ করেছেন ব্যোম৷ মসজিদটির মধ্যে প্রাকৃতিক আলো নিশ্চিত করতে দেয়ালে প্রচুর কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে৷ আর মসজিদটি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও উন্মুক্ত৷ যেকেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারেন৷
ছবি: Lichtblick Film GmbH/Raphael Beinder
জার্মান স্টাইলে তৈরি মসজিদ
কোলনের মানুষ মসজিদটিকে স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘ক্যোলশ ম্যুশি’৷ আর মসজিদটির ডিজাইনেও জার্মান ছোঁয়া রয়েছে৷ প্রচলিত তুর্কি মসজিদগুলো যেরকম, এই মসজিদটি মোটেও সেরকম নয়৷
ছবি: picture alliance / dpa
কিছু শর্ত
কোলন কর্তৃপক্ষ মসজিদটি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সেখানে জার্মান ভাষা শিক্ষার আয়োজন থাকতে হবে৷ পাশাপাশি ইমামকে জার্মান ভাষায় দক্ষ হতে হবে৷ আর খুতবা দিতে হবে এমন ভাষায়, যা নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বুঝতে পারেন৷ মোটের উপর, প্রার্থনায় অংশ নিতে আসা পুরুষ এবং নারীদের সমান মর্যাদা দিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
বিভিন্ন মসজিদের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণ ও জার্মানির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট জেহোফারের ইসলামবিরোধী মন্তব্য নতুন করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আন্তঃধর্ম সংলাপ ঠিক কতটা দুরূহ৷ ‘‘মসজিদের উপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না৷ মসজিদ, সিনাগগ বা গির্জার উপর আক্রমণ চিরকালই গোটা সমাজের উপর আক্রমণ,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন সালেহ৷
‘হেট ক্রাইম’
সাধারণভাবে জার্মানিতে অপরাধের সংখ্যা কমতির দিকে৷ গতবছর কোনো কোনো রাজ্যে তা সবনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়৷ তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরাধ বাড়ছে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জার্মানিতে ‘হেট ক্রাইম’-এর সংখ্যা ৩,৭৭০ থেকে ১০,৭৫১-য় পৌঁছেছে৷ বিশেষ করে ‘ধর্মীয় ও বিদেশি মতাদর্শ’ বিভাগে অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে৷ অপরদিকে এই সময়ে বিদেশে বিভিন্ন সংঘাতের দরুণ জার্মানিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরাধের সংখ্যা ১২০ থেকে বেড়ে ৪০৪-এ দাঁড়ায়৷ ধর্মীয় মতাদর্শ প্রণোদিত অপরাধের সংখ্যা বাড়ে ২৪৮ থেকে ১,৫১৬-তে৷
২০১৭ সালের পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশিত না হলেও, বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় যে, এই প্রবণতা অক্ষুণ্ণ৷
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে পুলিশ পাহারা?
ভবিষ্যতে কি জার্মানিতে মসজিদ আর সিনাগগগুলির জন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে? এদেশে কি ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অধিকতর সুরক্ষার প্রয়োজন?
জার্মানির সব মসজিদ যেদিন সবার জন্য খোলা
তেসরা অক্টোবর৷ এই দিনে জার্মানির প্রায় এক হাজার মসজিদ দরজা খুলে দেয় অতিথিদের জন্য, ‘শুভ সম্প্রদায়, উন্নততর সমাজ’, এই আদর্শ নিয়ে৷ দিনটি আবার দুই জার্মানির পুনর্মিলন উপলক্ষ্যে জার্মান ঐক্য দিবসও বটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Baumgarten
জার্মানির মসজিদ – জার্মান ঐক্য
১৯৯৭ সাল থেকে জার্মান পুনরেকত্রীকরণ দিবসটিকে ‘মুক্ত মসজিদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে৷ পুনরেকত্রীকরণ দিবস সরকারি ছুটির দিন৷ কেন্দ্রীয় মুসলিম পরিষদের বিবৃতি অনুযায়ী, জার্মান জনগণের সঙ্গে মুসলিমদের যোগসূত্র এবং জার্মান ঐক্যের অঙ্গ হিসেবে মুসলিমদের তুলে ধরার জন্য এ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়৷ এ দিন প্রায় এক লক্ষ অতিথি বিভিন্ন মসজিদে আসেন৷ ছবিতে বার্লিনের সেহিৎলিক মসজিদের সামনে অতিথি সমাগমের দৃশ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
মসজিদ সবার জন্য
এদিন জার্মানির মুসলিমরা অতিথিদের ইসলাম সম্পর্কে স্পষ্টতর ধারণা দিতে চায়৷ এছাড়া মসজিদ যে শুধু প্রার্থনার জায়গা নয়, বরং সম্প্রদায় তথা সমাজের জন্য দেখাসাক্ষাৎ ও মেলামেশার স্থান, সেটাও তুলে ধরা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Paul Zinken
আচার অনুষ্ঠান
যে কোনো ধর্মকে চিনতে হলে, তার আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন৷ গির্জার সঙ্গে মসজিদের একটি তফাৎ হলো এই যে, মসজিদে ঢুকতে গেলে জুতো খুলে ঢুকতে হয়৷ এছাড়া নামাজ পড়ার আগে ওজু করার প্রথা রয়েছে৷ মুক্ত মসজিদ দিবসে জার্মান অতিথিরা এই সব রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Baumgarten
স্থাপত্য ও ইতিহাস
কোলনের কাছে হ্যুর্থ-এর এই মসজিদটির মতো অনেক মসজিদেই অতিথিদের ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা থাকে৷ ফলে অতিথিরা ইসলামি স্থাপত্য, ইতিহাস ও সেই সঙ্গে মসজিদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে একটা ধারনা পান৷ জার্মানির মুসলিমদের সমাজজীবনে মসজিদের ভূমিকাও তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Baumgarten
জার্মানির অন্যতম বড় মসজিদ
ডুইসবুর্গের মেরকেজ মসজিদ হলো জার্মানির অন্যতম বড় মসজিদ৷ মসজিদটি খোলা হয় ২০০৮ সালে৷ ডুইসবুর্গের মুসলিম সমাজ মুসলিমদের জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্তির উপর বিশেষ জোর দেয়৷ অতিথিরা মসজিদটি ঘুরে দেখার, এছাড়া নামাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান৷ সবশেষে এক পেয়ালা চায়ের আমন্ত্রণও বাদ যায় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Skolimowska
অলিন্দ থেকে
তেসরা অক্টোবর অতিথিরা সেহিৎলিক মসজিদের ভিতরের বারান্দা থেকে মুসল্লিদের নামাজ পড়া দেখা ও শোনার সুযোগ পান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Hanschke
তসবিহ
ফ্রাংকফুর্টে মুক্ত মসজিদ দিবসে একটি তসবিহ পেলো এক কিশোর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
শুধু এদিনই দুয়ার খোলা নয়
জার্মানির মসজিদগুলি বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য অন্যান্য উপলক্ষ্যেও অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়ে থাকে৷ ছবিতে মানহাইমের ইয়াভুজ সুলতান সেলিম মসজিদটিতে এসেছেন ক্যাথলিক যাজিকারা; তাঁরা একটি ক্যাথলিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য মানহাইমে এসেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভুল ধারণা দূর করা
ড্রেসডেনের মসজিদগুলিও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানে সচেষ্ট৷ আল-মোস্তাফা মসজিদের কর্মকাণ্ডে রয়েছে ইসলাম সম্পর্কে মসজিদের ইমামের মনোজ্ঞ ভাষণ৷ এছাড়া বার্তালাপ, আলোচনার পাশাপাশি স্বভাবতই থাকে অতিথি আপ্যায়নের জন্য খাবারদাবারের ব্যবস্থা৷ যে শহরে ইসলামবিরোধী পেগিডা আন্দোলন মাথা চাড়া দেয়, সেখানে এই উদ্যোগের গুরুত্ব অসীম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert
9 ছবি1 | 9
তুর্কি সমীক্ষা ও অন্তর্ভুক্তি গবেষণা কেন্দ্রের ইউনুস উলুসয়-এর মতে, প্রত্যেকটি মসজিদ বা তুর্কি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয় – বিশেষ করে জার্মানিতে মসজিদের সংখ্যা যখন ২,০০০ অতিক্রম করেছে৷
দক্ষিণপন্থি চরমপন্থা, বর্ণবাদ ও ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সক্রিয় আমাদেউ আন্তোনিও নিধির বিশেষজ্ঞদের মতে, মসজিদগুলির বর্ধিত পুলিশ পাহারা প্রয়োজন, কিন্তু পুলিশ সুরক্ষা দিয়ে অন্তর্নিহিত সমস্যাটির সমাধান করা যাবে না৷
অভিবাসী সম্প্রদায়গুলির বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ পর্যন্ত সরকারি তরফে কেউ যোগাযোগ করেনি, অথচ অভিবাসী সমিতি ও পুলিশের মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা সর্বাগ্রে প্রয়োজন বলে তুর্কি ও অপরাপর অভিবাসী সংক্রান্ত নিধির কর্মকর্তাদের অভিমত৷
সহানুভূতির অভাব
দৃশ্যত পুলিশ অভিবাসী বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভাবনা-চিন্তা বা ভয়-ভীতিকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয় না এমন- একটি ধারণা বা অনুভূতি বিরাজ করছে৷ ‘গির্জার উপর আক্রমণ হলে কি পুলিশের এমন প্রতিক্রিয়া হতো?’ প্রশ্ন তুলেছেন তুর্কি সম্প্রদায়ের সদস্যরা৷
সবুজ দলের রাজনীতিক মেমেৎ কিলিচ ফেডারাল অন্তর্ভুক্তি পরিষদের সদস্য৷ কয়েক বছর আগে কিলিচ ও তাঁর পুত্র অন্তর্ভুক্তি পরিষদের এক সাবেক সদস্যের কাছ থেকে খুনের হুমকি পেতে থাকেন৷ পুলিশ কিন্তু গোটা ব্যাপারটাকে পরিষদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে গণ্য করে ও কিলিচকে কোনো আইনজীবীর কাছে যেতে বলে৷ ‘‘আমার মনে হয়, রাষ্ট্র যেন আমাকে বর্জন করেছে,’’ বলেন কিলিচ৷
অথচ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতের ফলশ্রুতি হিসেবে জার্মানির অভিবাসী সম্প্রদায়গুলির মধ্যে যে দ্বন্দ্ব দানা বাঁধছে, তা থেকে বহ্নি, এমনকি দাবানল সৃষ্টি হবার বিপদ থাকতে পারে বলে কিলিচ সাবধান করে দিয়েছেন৷